বিধানসভার সিঁড়িতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি
বাদল অধিবেশন চলছে। আর বিধানসভার বিরোধী দলনেতার অধিবেশন কক্ষে ঢোকার অনুমতি নেই। বাইরে সিঁড়িতে বসে আছেন বহিস্কার হওয়া বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে। কারণ কিছুক্ষণ আগেই বিরোধীদের সাসপেনশন প্রত্যাহারের জন্য আনা মোশন খারিজ করে দিয়েছেন বিধানসভার স্পিকার। তিনি জানিয়েছেন, বিজেপির পক্ষ থেকে, নিয়ম মোতাবেক জমা দেওয়া হয়নি সাসপেনশন তোলার আবেদন। যদিও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের যুক্তি উড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, তিনি আগেই খবর পেয়েছিলেন, স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী পরিষদীয় দলের নেতাকে নির্দেশ পাঠিয়েছেন, সাসপেনশন প্রত্যাহারের আবেদন যেন গ্রহণ না করা হয়। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এরপর প্রশ্ন তোলেন দেশের কোথাও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিরোধী দলের মুখ্য সচেতককে বাইরে রেখে বিধানসভা অধিবেশন চলে কিনা? বিরোধী বিধায়কদের বহিস্কারের সময়েই প্রশ্ন উঠেছিল লঘু পাপে গুরু দণ্ড হয়ে গেল না? তাহলে কি উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবেই বিরোধী দলনেতাসহ ৭ বিজেপি বিধায়ককে দীর্ঘ সময়ের জন্য বহিস্কার করা হয়েছে? নাকি বিরোধী নেতার অবর্তমানেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সংশোধনী বিল পাশ করানোর ইচ্ছা সরকারের? শুভেন্দুর দাবি, কোন ভাবেই আচার্য হতে পারবেন না মুখ্যমন্ত্রী। কারণ শিক্ষা যৌথ তালিকায় আছে। সংবিধান অনুযায়ী, যৌথ তালিকা ভুক্ত বিষয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে মতপার্থক্য হলে সেক্ষেত্রে বৃহত্তর স্বার্থে কেন্দ্রীয় সরকারের মতই প্রাধান্য পায়। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কটাক্ষ, রাজ্যের নাম পরিবর্তন ও বিধান পরিষদের মত ফ্লপ সিদ্ধান্ত হয়ে থাকবে তাঁর আচার্য হওয়ার ইচ্ছা।