suvendu__state_co_operative__bank
বিনা শর্তে শিক্ষা ঋণ দিতে গিয়ে লাটে রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কগুলি। ঋণের টাকা জোগাড় করতে নেমে মমতা সরকারের কোপ পড়ে রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কের বিপুল সম্পদের ওপর। ইতিমধ্য়েই ব্যাঙ্কের কোষাগার থেকে বেরিয়ে গিয়েছে ২০০ কোটি টাকা। এখন রাজ্যের নজরে ব্যাঙ্কের আরও ৫০০ কোটি! পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০-২১ আর্থিক বছরে ১০১ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা লাভ করেছিল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্কগুলি। (https://www.wbstcb.com/page/financial_parameters_of_wbscb_ccbs )
গত বছর বিধানসভা ভোটের আগে অবাস্তব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলা হয়েছিল, ছাত্র-ছাত্রীদের বিনা শর্তে ঋণ দেবে নতুন তৃণমূল সরকার। রাজ্যের সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি। ফলে চোখ পড়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের বিশাল ডিপোজিটের ওপর। এরপরই গত নভেম্বর থেকে এবছর মার্চ পর্যন্ত প্রায় ২০০ কোটি টাকার যথেচ্ছ শর্তবিহীন ঋণ দিয়েছে সরকার। বর্তমান আর্থিক বছরের পরিকল্পনা একলক্ষ ছাত্র ছাত্রীকে ঋণ দেওয়া হবে, যার পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকা।
রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কগুলি চলে প্রান্তিক মানুষের ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের ওপর। দীর্ঘদিনের অভ্যাসে গড়ে উঠেছে এই বিপুল সম্পদ। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার আশঙ্কা, আগামী দু-তিন বছরের মধ্যেই রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্কগুলি অনাদায়ী ঋণের জালে জড়িয়ে যাবে। এনপিএ বা অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ ৭ শতাংশের বেশি হলে সাধারণ মানুষকে ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা হারাবে ব্যাঙ্কগুলি। কিন্তু সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী আগামী ১৫ বছর শর্তবিহীন ঋণখেলাপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে না। নারদ-সারদা পর রাজ্যের সবচেয়ে বড় আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়াতে চলেছে রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কগুলি। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে অভিযোগ জানিয়ে শুভেন্দু আধিকারী বলেন, বড় বিপদ সাধারণ প্রান্তিক মানুষের। এখনই ব্যবস্থা না নিলে ক্ষুদ্র সঞ্চয় নিমেষে উধাও হয়ে যাবে। আরবিআই ব্যবস্থা না নিলে দেশের অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জানাবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সুপারঃ দেউলিয়ার পথে রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্ক?