WhatsApp_Image_2022-10-12_at_2214.20
নিয়োগ দুর্নীতির চিঠিতে এল মুখ্যমন্ত্রীর নাম।
প্রাইমারি টেটে নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার এল খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নাম।
বিপুল পরিমাণ টাকার বিনিময়ে তৃণমূলের সুপারিশে চাকরি দেওয়া হচ্ছে অযোগ্য প্রার্থীদের-গোটা বিষয়টি প্রথম থেকেই জানতেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্তত নথি তাই বলছে।
ইডি’র হাতে ধৃত মানিক ভট্টাচার্যের দুর্নীতির শিকড় খুঁজতেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে আসা নথিতে, চিঠিতে মিলেছে খোদ মুখ্যমন্ত্রীর নাম। ইতিমধ্যে সেই নথি আদালতেও জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ED।
২২ জুলাই, ২০২২। গভীর রাতে পার্থ চ্যাটার্জির গ্রেফতারি, তাঁর ঘনিষ্ঠ বান্ধবীর বাড়ি থেকে ২১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা নগদ উদ্ধারের ৭২ ঘণ্টা পরে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে প্রথমবার মুখ খুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
২৫ জুলাই, ২০২২। নজরুল মঞ্চে একটি অনুষ্ঠানে বিশিষ্টজনদের সামনেই বিরোধীদের পালটা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন,
‘‘অযথা আমার গায়ে কালি লাগানোর চেষ্টা করলে, আলকাতরা কিন্তু আমার হাতেও আছে’’।
খোদ মন্ত্রী গ্রেপ্তারের পরেও নিয়োগ দুর্নীতিতে সরকার ও দলের কোনও ভূমিকা নেই এমন অদ্ভুত দাবি করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন,
‘'যদি কেউ অন্যায় করে থাকে সেটা তার দায়িত্ব, সরকার ও দল এরসঙ্গে কোনোভাবে জড়িত থাকবে না’'
প্রথম থেকেই মুখ্যমন্ত্রী বলে আসছিলেন যদি কিছু হয়ে থাকে তা নাকি তাঁর অগোচরেই হয়েছ। টাকার বিনিময়ে চাকরির এই দুর্নীতির তথ্য সামনে আসার পরে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন,
‘'এত টাকা উঠলো আমি তো জানবো! কোত্থাও থেকে জানতে পারলাম না’'।
অথচ তদন্তকারী সংস্থার হাতে আসা একটি চিঠি বলছে— মুখ্যমন্ত্রী জানতেন টাকার বিনিময়েই চাকরি হচ্ছে প্রাইমারি থেকে মাধ্যমিক উচ্চ-মাধ্যমিকে। চাকরি পিছু কত টাকাও তা জানতেন তিনি। কতজনের কাছ কি পরিমাণ টাকা তোলা হচ্ছে জানতেন তাও। এমনকি মমতা জানতেন তাঁর দলের কোন সাধারণ সম্পাদক টাকা তুলছেন।
ইডি’র দাবি, গত ২২জুলাই অপসারিত পর্ষদ সভাপতি, তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় একটি চিঠি।
কী আছে ঐ চিঠিতে?
----৪৪ জন অযোগ্য প্রার্থীদের কাছ থেকে মাথা পিছু ৭ লক্ষ টাকা করে নেওয়া হয়েছে।
----৩ কোটি ৮ লক্ষ টাকা তোলা হয়েছে
----টাকা তুলেছেন তৃণমূলের একজন সাধারণ সম্পাদক
সেই চিঠির প্রাপক ছিলেন তৎকালীন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। ঐ একই চিঠি পাঠানো হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীর নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করে সেই টাকার বিনিময়ে চাকরি অভিযোগ জানানো হয়েছে।
অর্থাৎ মমতা জানতেন। ঐ চিঠিও জমা দেওয়া হয়েছে আদালতে।
তৃণমূল সরকারের আসার এক বছরের পর থেকেই অর্থাৎ ২০১২ সাল থেকেই নিয়োগ দুর্নীতির চক্র কাজ করতে শুরু করে। প্রাথমিক থেকে এসএসসি, শিক্ষক থেকে শিক্ষাকর্মী নিয়োগে গত এক দশকে ধরে বিপুল পরিমাণ টাকার লেনদেনের তথ্য ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। তবে নিয়োগ দুর্নীতি আরো বেশি করে সামনে আসে ২০১৯ থেকে লকডাউন পর্বে। সেই প্রসঙ্গ পরের ধাপে।
তাঁর আগে দেখে নিন ২০২১ ও ২০১১ সালে দাখিল করা মানিক ভট্টাচার্যের বিষয় আশয়
২০২১ নির্বাচনে হলফনামা--- ২ কোটি ৯৮লক্ষ টাকার সম্পত্তির মালিক মানিক ভট্টাচার্য, স্ত্রীর ২৮. ৪০ লাখ
২০১১ নির্বাচনে হলফনামা --- ১৭.৪১ লাখ মানিক ভট্টাচার্য মোট সম্পত্তির পরিমান ছিল। স্ত্রীর সম্পত্তি ৩.৯৫ লাখ
১০ বছরে মানিকের সম্পত্তি বৃদ্ধি ১৭১৬% (প্রায়)
১০ বছরে মানিকের স্ত্রীর সম্পত্তি বৃদ্ধির ৭১৮% (প্রায়)
তৃণমুলের বিধায়ক, মানিক ভট্টাচার্যের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা লড়েন মুকুল রোহতগি। যার একবার সালিশীতে দাঁড়ানোর পারিশ্রমিক ১০লক্ষ টাকার বেশি।
Tags:
SSC recruitment scam
Mamata Banerjee
Madhyom
CM Mamata Banerjee
Mamata
bangla news
Bengali news
SSC Recruitment
Teacher Recruitment
Teacher Recruitment scam
TMC MLA
Mamata Government
Manik Bhattacharya
mamata banerjee latest news
mamata banerjee news
mamata banerjee on ssc scam
Recruitment scam
bengal teacher recruitment scam
teacher recruitment scam in west bengal
Bengal Recruitment scam
recruitment scam in west bengal
teacher recruitment in west bengal
teacher recruitment scam bengal
ssc scam in bengal
Bangla khabor
ssc recruitment scam case
mamata banerjee on recruitment
mamata banerjee minister
cbi files petition against mamata banerjee
ed file charge sheet in ssc scam case
west bengal recruitment scam
manik bhattacharya tmc
manik bhattacharya mla
manik wbbpe president
cm knew scam
cm knew primary tet scam
ED on Mamata