চোপড়ায় তৃণমূলের জমি চুরি, প্রতিবাদে বিএলআরও অফিস ঘেরাও
সিন্ডিকেট, কাটমানি, তোলাবাজি,পাট্টা দখলের অভিযোগ ছিলই। এবার অন্যের জমি নিজের বলে রেকর্ড করিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল চোপড়ার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আর তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে। চোপড়া তৃণমূল কংগ্রেসের সেক্টর কনভেনর মহম্মদ ইসমাইল। অভিযোগ এই ইসমাইলই জমির নকল দলিল বানিয়ে জমি চুরি করেছে।
উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া ব্লকের কুমারটোল গ্রামের ঘটনা। অভিযোগ বছর দুয়েক আগে, তৃণমূলের নেতা মহম্মদ ইসমাইল, তাঁর ভাই গোলাম মোস্তাফা, এবং নাজিম মিলে ১০ /১২ জন গ্রামবাসীর জমি বেহাত করেছেন। পরিমাণ প্রায় ১০ একর। শুধু কয়েকজন গ্রামবাসীর জমি নয় সরকারি জমি নদীর চড়ও হাতিয়ে নিজের নামে করে নেয় ইসমাইল। বিষয়টি নজরে আসতেই গ্রামবাসীদের মধ্যে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার তাঁরা ঘেরাও করে বিডিও অফিস।
গ্রামবাসীদের দাবি, ফিরিয়ে দিতে হবে তাঁদের জমি। খবর পেয়ে বিডিও অফিসে পৌছান আরেক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা চোপড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মহম্মদ আজাহারউদ্দিন। তিনি যাবতীয় দোষ চাপান আগের বি এল আর ও-র নামে।
যদিও গ্রামবাসীদের দাবি, কাউকেই ছাড় দেওয়া চলবে না। জমি চুরির সঙ্গে যুক্ত সব পক্ষের বিরুদ্ধেই আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার শেষে বিএলআরও জানিয়েছেন, যদি কেউ জমির নকল দলিল দেখিয়ে জমির রেকর্ড বদল করে থাকে তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, আগের বিএলআরও-র সঙ্গে যোগসাজসে লপ্তে জমির রেকর্ড বদলেছে ইসমাইল আর তাঁর পরিবার। নকল দলিল দাখিল করেই এই অপকম্ম করা হয়েছে।
কার ওপর ভরসা করবেন মানুষ?