বাড়লো গরমের ছুটি, সমালোচনায় শিক্ষক সমাজ
আবার গরমের ছুটি। দেড়মাসের গ্রীষ্মাবকাশের পর ফের ছুটি বাড়ানোর বিজ্ঞপ্তি। আবারও সরকারি নোটিশ। এবারও শিক্ষা দফতরের সচিব মনীশ জৈনের। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অত্যধিক গরমের কারণে আরও ১১দিন বাড়তি ছুটি রাজ্যের সমস্ত স্কুল কলেজে। এবার ২৬ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হল গরমের ছুটির মেয়াদ। ডবল গরমের ছুটির বহরে ডবল খুশি হবেন ছাত্র-ছাত্রী আর শিক্ষক অশিক্ষক কর্মচারিরা। হয়তো ভেবেছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কিন্তু উল্টো গাইছেন শিক্ষক সমাজ। প্রায় সমস্ত শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে কড়া নিন্দা করা হয়েছে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের। আশ্চর্য জনক ভাবে গরমের ছুটি বৃদ্ধির নোটিশ এমন সময়ে ইস্যু করা হল ঠিক তাঁর আগের দিন পানিহাটিতে বৈষ্ণবদের এক ধর্মীয় উৎসবে, অত্যধিক ভিড়ে মারা গেছেন কয়েকজন বয়স্ক মানুষ। গরমের ছুটি বাড়ানোর সরকারি নির্দেশের কড়া সমালোচনা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার রাজ্য বিধানসভা লাউঞ্জে তিনি বলেন, রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাকে তুলে দিতেই এমন সিদ্ধান্ত। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, মিড ডে মিলের কেন্দ্রীয় টাকা মারতেই এমন সিদ্ধান্ত সরকারের। সমালোচনা করেছেন অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারাও। তাঁদের জিজ্ঞাসা শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত কারোর সঙ্গে কোন আলোচনা ছাড়াই সরকারের একতরফা সিদ্ধান্ত রাজ্যের সরকারের। পরামর্শ নেওয়া হয়নি রাজ্য ও জাতীয় আবহাওয়া দফতরের। যখন বৃষ্টি আসছে তখন এই সিদ্ধান্ত কাদের সাহায্য করতে? প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও সরকারি সিদ্ধান্তের সমালোচনা করা হয়েছের রাজ্যে বর্ষা আসে সাধারণত জুনের প্রথম সপ্তাহে। কখনও কখনও দেরিও হয়। কিন্তু বর্ষার দেরির জন্য, মধ্য এপ্রিলে ফের বাড়তি ছুটির নোটিশ। প্রায় দু'মাসের গরমের ছুটি রাজ্যে তো বটেই গোটা দেশে এক নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত। তাহলে কি রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বক্তব্য ঠিক? সরকারের টাকা নেই। শিক্ষা বাজেটের টাকা অন্য খাতে ঘুরিয়ে দিতেই এমন নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত?