Hooghly Bad Road: পঞ্চায়েতে ঘুঘুর বাসা? ঠিকাদারের TMC-র যৌথ উদ্যোগে লুঠ

বাইটঃ ...... (ফেড আউট হয়ে যাবে)
এই রাগ চিৎকারের যথার্থ কারণ আছে। বছর খানেক আগে সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছিল। ঢালাই রাস্তা হবে গোঘাটের রঘুবাটি গ্রাম পঞ্চায়েতে। ঠিকাদার রাস্তার ধারে ধারে বালি ফেলেছিলেন। কিন্তু রাস্তা সংস্কারের কাজ হয়নি।  

সম্প্রতি ঐ ঠিকাদার রাস্তার ধারে ডাঁই করে রাখা বালি তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। তাতেই ক্ষেপে আগুন গোঘাটের রঘুবাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মদিনা এলাকার বাসিন্দারা। 

বছর খানেক আগে লাগানো সাইনবোর্ডে এখনও জ্বলজ্বল করছে পরিসংখ্যান।   (সাইনবোর্ড) মজুরী বাবদ ২ লাখ তেতাল্লিশ হাজার। উপকরণ বাবদ একত্রিশ লাখ ৭০ হাজার। মোট বরাদ্দ ৩৪লাখ তেরো হাজার। কোথা থেকে কাজ শুরু হয়ে কোথায় যাবে লেখা আছে তাও। কিন্তু লেখা নেই কাজ শুরু আর কাজ শেষের দিনক্ষণ। নেই রাস্তার মাপটুকুও। (সাইনবোর্ড)

দুটো গুরুত্বপূর্ণ তথ্যই বাদ। কাজের সময়সীমা আর কাজের পরিমাণ। 
সাধারণ মানুষ বলছেন পঞ্চায়েত ঠকিয়েছে তাঁদের। দুর্নীতির শুরু ঐ খানেই। কাজ শুরু বা শেষের দিন লেখা না থাকলে অনন্তকাল ধরে চালানো যাবে। আর দেখানো যাবে কাজ হচ্ছে। আসলে ঢালাই রাস্তা বানানোর নামে, বালি নামানো ছাড়া কিছুই করেনি ঠিকাদার। এখন আবার সে বালিই উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদারের লোকজন।

গোঘাটের রঘুবাটি গ্রাম পঞ্চায়েতে মহাত্মা গান্ধী জাতীয় কর্ম নিশ্চয়তা প্রকল্পে গত অর্থবছরে ঢালাই রাস্তা তৈরির টেন্ডার ঢাকা হয়েছিল। এই অর্থবর্ষে পঞ্চায়েত বলছে, টাকা আসেনি। সেই কারণে কাজ বন্ধ। টাকা আসেনি কেন? গত অর্থ বছরের টাকা কোথায় গেল? এই প্রশ্ন তুলেই ঠিকাদারের গাড়ি আটকে চলছে পথ অবরোধ।

সাধারণ মানুষের প্রশ্ন তাহলে কি ঠিকাদার-পঞ্চায়েতের যৌথ উদ্যোগে চলছে দুর্নীতি? সব টাকা মেরে দিয়েছে পঞ্চায়েত আর ঠিকাদার? নাকি ঠিকাদারকে বালি পাচারের সুযোগ করে দিতেই ঢালাই রাস্তা করার নামে ফেলা হয়েছিল বালি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ধরপাকড় কমতেই তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বালি। অন্যত্র। 
 
ঢালাই হয়নি। রাস্তা যেমন খারাপ তেমনই খারাপ রয়ে গেছে। বরাদ্দ টাকা উধাও। মাঝখান থেকে গ্রামবাসীদের ট্যাক্সের টাকায় গড়া প্রকল্পের চুরি যাওয়া বরাদ্দে লাল হয়ে যাচ্ছে পঞ্চায়েতের বাবুরা তাঁদের পছন্দের ঠিকাদাররা। সাধারণ মানুষের বক্তব্য তৃণমূল নেতাদের সৌজন্যে রাজ্যের সব পঞ্চায়েতই এক একটি ঘুঘুর বাসায় পরিণত হয়েছে।