হুগলির গ্যাংওয়ারে জালে শার্পশ্যুটার
পুরনো শত্রুতার জেরেই চুঁচুড়া হাসপাতালে গ্যাংওয়ার হয়েছিল। চলেছিল গুলি। ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চার দুষ্কৃতীকে ধরা হয় জলপাইগুড়ি থেকে। একজন গ্রেফতার কল্যাণী থেকে।
পুলিশ সূ্ত্রে খবর, ঘটনার দিন হুগলি থেকে ট্রেনে চেপে কাটোয়া চলে যায় অভিযুক্ত বাবু পাল ও তার সঙ্গীরা।
পুলিশ মোবাইল ট্র্যাক করতে থাকে। হোয়াটসঅ্যাপ স্কুপ কলের মাধ্যমে অভিযুক্তরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখে। এভাবেই ফাঁকি দিতে থাকে পুলিশকে । যে কারণে তাদের আইপি অ্যাড্রেস ট্রেস করতে সমস্যায় পড়ে তদন্তকারীরা। কাটোয়া পর্যন্ত ধাওয়া করেও খালি হাতে ফিরতে হয়।পরে পুলিশ জানতে পারে যে বাবু ও তার সঙ্গীরা উত্তরবঙ্গে কোন জায়গায় শেল্টার নিয়েছে। সূত্র মারফত খবর পেয়ে রবিবার রাতেই জলপাইগুড়ি পৌঁছে যায় চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের একটি দল।এসিপি ডিডির নেতৃত্বে তদন্তকারীরা হানা দেয় জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ সংলগ্ন এলাকায়।সেখানেই আত্মগোপন করেছিল দুষ্কৃতিরা। ধৃতদের জলপাইগুড়ি পুলিশের সাহায্যে সেখান থেকে বের করে নিয়ে আসে। কল্যাণী থেকে ধরা পড়ে মন্টু চৌধুরী নামে আর এক দুষ্কৃতী।
গত শনিবার ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালের মধ্যে ঢুকে হুগলির কুখ্যাত দুষ্কৃতী টোটন বিশ্বাসকে গুলি করে অন্য গ্যাংয়ের লোকেরা। টোটন সংবাদমাধ্যমকে জানায় বাবু পাল তাকে মারার জন্য লোক পাঠিয়েছিল।এরপরই পুলিশ বাবু পালের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে। রবীন্দ্রনগরে যে এলাকায় টোটনের বাড়ি সেই এলাকাতেই বাবু পালেরও বাড়ি। একসময় টোটনের দলেই ছিল বাবু পাল। পরবর্তীকালে তাদের মধ্যে শত্রুতা তৈরি হয়। দুজনেই পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে হুগলি জেলে বন্দি ছিল। বাবু জামিনে মুক্ত হলেও টোটন মাদক মামলায় জেলে থেকে যায়।জেল থেকে তোলাবাজির কাজ চালাতে থাকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, জেলে বন্দি থাকা অবস্থায় টোটোনের কারবারে হাত বসাতে চায় বাবু। এর জন্য টোটনের যারা শত্রু তাদের সঙ্গে হাত মেলায়। হুগলির কুখ্যাত টোটনকে খুন করার জন্য দুষ্কৃতিরা রোগি সেজে অপেক্ষা করছিল হাসপাতালে। সেখানেই গুলি চালিয়ে চম্পট দেয় তারা। ট্রেনে চেপে কাটোয়া হয়ে পালায় উত্তরবঙ্গে। সেখানে থেকেই তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে হাসপাতালের মধ্যে ঢুকে কীভাবে দুষ্কৃীতারা গুলি চালাল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে এলাকাবাসী। বিজেপির নেতৃত্বে চলে বিক্ষোভও। তৃণমূলের জমানায় কীভাবে হুগলির এই সদর অঞ্চল দুষ্কৃতীদের ডেরা হয়ে উঠলে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে তারা।