অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন আসানসোলের সিবিআই কোর্টে
ফের সাতদিনের সিবিআই হেফাজতে অনুব্রত দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের। প্রায় দেড় ঘণ্টা সওয়াল জবাবের পর এই সিদ্ধান্ত জানান বিচারপতি রাজেশ চক্রবর্তী। ২৪ জুন তাঁকে ফের পেশ করা হবে আদালতে।
তবে সিবিআই সূত্রের খবর
সায়গল হোসেনের প্রায় ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তি হদিস মিলেছে
বহু ডাম্পার, একাধিক ক্র্যাসার রয়েছে দেওচা পাচামিতে
৫০টির মত জমির দলিল যার পরিমান প্রায় ২০০ বিঘা
এছাড়াও ৬ টি ফ্ল্যাট। লেকটাউন, রাজারহাট, নিউটাউন, বোলপুরে
মিলেছে নগদ দু'কোটি টাকা
মোট ১০০ কোটির সম্পত্তি যা সাইগেলের নিজস্ব এবং ঘনিষ্ঠ আত্মীয় পরিজনদের নামে রয়েছে
সিবিআইয়ে দাবি এনামুল হকের হয়ে কাজ করত সায়গল। পুলিশের লোক হিসেবে। যেমন বিএসএফ পার্সোনাল হিসাবে সতীশকুমার গরু পাচার সামাল দিত। মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমের পুলিশ পার্সোনাল হিসাবে তেমনই কাজ করতো সায়গল।
গরু পাচার মামলায় ধৃত তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে আসানসোল সিবিআই আদালতে প্রথম তোলা হয়েছিল ১০ জুন। তদন্তকারীদের মত, সায়গলের কাছে গরু পাচার মামলার অনেক তথ্য রয়েছে। সিবিআই তাকে একাধিকবার নিজামের প্যালেসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। বক্তব্যে বেশ কিছু অসঙ্গতি থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করেছিল। এছাড়াও আয়বহির্ভূত বহু সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গেছে সাইগেলের কাছ থেকে।
গরু পাচার মামলায় অনুব্রতর ঘনিষ্ঠদের একের পর এক ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। মামলার প্রধান অভিযুক্ত বিনয় মিশ্র বর্তমানে পলাতক। এই মামলার অন্যতম এনামুল হক ও বিএসএফের কম্যান্ডার সতীশ কুমারকে সিবিআই গ্রেফতার করলেও তারা এই মুহুর্তে শর্তসাপেক্ষে জামিনে রয়েছে। একই সঙ্গে বিনয়ের ভাই বিকাশ মিশ্রকেও গ্রেফতার করেছিলো সিবিআই। বিকাশ দশদিন আগেই আসানসোলের সিবিআই আদালত থেকে গরু পাচার মামলায় জামিন পেয়েছে।