তৃতীয় দিনেও অগ্নিগর্ভ হাওড়া
হজরত মহম্মদ নিয়ে সাসপেন্ড হওয়া বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার মন্তব্যকে ঘিরে শনিবারও উত্তপ্ত হাওড়া। উন্মত্ত জনতা এদিনও পাঁচলা বাজারে একটি দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশ তা নেভাতে গেলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয় পুলিশকে। একদল উন্মত্ত জনতা পুলিশকে লক্ষ্য় করে ইট ছুড়তে থাকে। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পাল্টা কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোঁড়ে পুলিশ। পাঁচলায় যখন এই ছবি, তখন শনিবারও বিজেপি অফিসে হামলার ঘটনা ঘটে। এদিন রঘুদেবপুর বিজেপি পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালায় উন্মত্ত জনতা। জনতার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হওয়ার পরই তাদের রোষ গিয়ে পড়ে বিজেপি পার্টি অফিসে। ভেঙে ফেলা হয় সমস্ত আসবাবপত্র। তারপর অফিসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পুরো ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে টুইট করেছেন রাজ্য়পাল জগদীপ ধনখড়। বৃহষ্পতিবার থেকে রাজ্যে যা ঘটে চলেছে, তাতে প্রশাসনের ভূমিকায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। আইনভঙ্গকারীদের সমর্থন করাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করে, দোষীদের গভীর শাস্তি দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানিয়েছেন তিনি। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য উলুবেড়িয়া মহকুমার বহু এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ১৫ জুন পর্যন্ত এই ধারা বলবৎ থাকবে। বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। মুর্শিদাবাদেও রেজিনগর, বেলডাঙা, শক্তিপুরে বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট। তাণ্ডব চালানোর ঘটনায় রাজ্য জুড়ে এখনও পর্যন্ত ৭০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হাওড়ার ঘটনায় বলি হয়েছেন জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্তারাও। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে হাওড়া সিটি পুলিশ কমিশনার সি সুধাকরকে। অপসারিত হয়েছেন হাওড়া গ্রামীণের পুলিশ সুপার সৌম্য রায়ও। হাওড়া সিটির পুলিশ কমিশনার হিসেবে আনা হয়েছে প্রবীণ ত্রিপাঠীকে।