HS RESULT 2023: উচ্চ মাধ্যমিকে সাফল্যের যুগলবন্দী,ছেলেকে টপকালেন মা

"ছেলে বেশি নম্বর পেলে ভাল হত আমি কম পেলে দুঃখ পেতাম না"
এই হচ্ছে মায়ের মন। একই সঙ্গে পরীক্ষায় বসেছিলেন মা ও ছেলে। ফলাফল সামনে এলে দেখা যায় ছেলের থেকে ৪০ নম্বর বেশি পেয়েছে মা লতিকারাণী। সেই কারণে মায়ের মন খারাপ। নদিয়ার শান্তিপুর থানার নৃসিংহপুরের নতুন সর্দারপাড়ার বাসিন্দা লতিকা রাণী মণ্ডল। ৩৮ বছর বয়েসেও তিনি হাল ছাড়েননি। ছেলে সৌরভের সঙ্গে এবার বসেছিলেন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায়। সে ছবিও আপনাদের দেখিয়েছিল মাধ্যম। 
১৪ মার্চ, ২০২৩ 
  
আসলে ইচ্ছা আর মনের জোর থাকলে যে সবকিছুই সম্ভব শান্তিপুরের লতিকারাণীকে দেখলেই বোঝা যায়। ক্লাস ফাইভে মায়ের অসুস্থতা। চিকিৎসা সেবায় পড়ায় ঘাটতি। তারপর সংসারের কাজ কর্ম করতে গিয়ে লেখাপড়ায় ইতি। ১৬বছরে বিয়ে তারপরই প্রথমে মেয়ে তারপর ছেলে। মেয়েকে ক্লাস টু-র পড়া পড়াতে গিয়ে ফের পুরানো ইচ্ছা চাগাড় দেয়। সেই শুরু। 
 
সেই মেয়ে এখন কলেজে পড়ছে। আর ছেলের সঙ্গে এবার উচ্চমাধ্যমিক দিয়েছিলেন মা। দুজনেই পাশ করেছেন। উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষায় মায়ের প্রাপ্ত নম্বর ৩২৪। আর ছেলে পেয়েছে ২৮৪।

স্বামী দিনমজুর। যাকে অর্থ আর কাজের খোঁজে প্রায়শই যেতে হয় ভিন রাজ্য। ফলে ঘর বাইরে নানা দায়িত্ব তুলিকার। ছেলে মেয়েকে মানুষ করা, সংসারের নানা খুটিনাটি সামলানো। সঙ্গে তাঁত চালানো। তাঁতি ঘরের মেয়ে নিজেও কাজ করেন ছেলেমেয়ের পড়া যাতে বন্ধ না হয় সেই কারণে।  
 
ছেলের সঙ্গেই চলত মায়ের পড়াশোনা। নৃসিংহপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তিও হন তিনি। ঐ স্কুল থেকেই এবার উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষা,
 
ছেলের ইচ্ছা তাঁর সঙ্গেই পড়াশোনা করে দুজনেই গ্রাজ্যুয়েট হবেন, আর লতিকা শুধু বলেন, তাঁর গোপন ইচ্ছের কথা, সুযোগ পেলে আরও পড়ব। 
বাইটঃ 
আরও অনেক অনেক দূর এগিয়ে যান বছর আটত্রিশের লতিকা। ইচ্ছা আর মনের জোর থাকলে কী করা যায় দেখিয়ে দিচ্ছেন শান্তিপুরের লতিকা মণ্ডল। শুভেচ্ছা রইল মাধ্যমেরও