৫ মাসে ৩ বার, মৃতের আত্মীয়ের কেন মিলল না অ্যাম্বুলেন্স?
অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়ার টাকা যোগাড় করতে পারেননি। সদ্য মৃত সন্তানকে ব্যাগে ভরে নিয়ে এলেন কপর্দকহীন বাবা। হাসপাতালে জানিয়েও কোন কাজ হয়নি। শোকার্ত বাবাকে ব্যাগে সন্তানের দেহ নিয়ে বাসে ফিরতে হল ঘরে। উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে, কালিয়াগঞ্জের মুস্তাফানগর গ্রামপঞ্চায়েতের ডাঙ্গিপাড়ায়।
প্রায় ২০০ কিলোমিটার পথ এই ভাবেই। উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ থেকে রায়গঞ্জ। রায়গঞ্জ থেকে কালিয়াগঞ্জের মুস্তাফানগরে। হাতের ব্যাগে মৃত সন্তান। পরিযায়ী শ্রমিক বাপ ভয়ে কাউকে কিছু বলতে পারছেন না। তাহলে বাস থেকে নামিয়ে দেবে মাঝপথেই। শোকপ্রকাশ করতে পারছেন না প্রাণাধিক প্রিয় সন্তানের জন্য। বুকে পাথর বেঁধে, প্রায় ৫ঘণ্টার বাসযাত্রা। এটাই বাংলার অমানবিকতার ছবি।
রবিবার কালিয়াগঞ্জে এই খবর জানাজানি হতেই শোরগোল। জানা গেছে, গত বুধবার অসীম দেবশর্মার পাঁচ মাসের দুই যমজ ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁদের নিয়ে রায়গঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একজনের অবস্থা সঙ্কট জনক হওয়ায় তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অপর সন্তানকে নিয়ে হাসপাতালেই থেকে যান মা। শনিবার রাতে উত্তরবঙ্গ হাসপাতালে শিশুটির মৃত্যু হয়। অ্যাম্বুলেন্স চালক থেকে চিকিতসক নার্স সুপার সকলকে অনুরোধ করেও একটা অ্যাম্বুলেন্সের জোগাড় করতে পারেননি। কারণ অ্যাম্বুলেন্সে দাবি আট হাজার টাকা। পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক, অসীম দেবশর্মা এত টাকা কোথায় পাবেন? এরপরই জামাকাপড়ের ব্যাগেই ভরে নেন মৃত সন্তানকে। শুরু হয় যাত্রা।
খবর চাউড় হতেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি নেমে পড়ে। পক্ষে বিপক্ষে নানা বক্তব্যের ঝুলি নিয়ে।
জানলে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করতাম। ২০০কিলোমিটার যাত্রা করার পর ২ কিলোমিটারের জন্য অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা। এগুলো কাজের কথা নয়। মূল প্রশ্ন হল,
মন্ত্রী নেতা বিধায়ক সাংসদের নামে এত অ্যাম্বুলেন্স রাস্তায় ঘুরে বেড়ায় সব কি ব্যবসা করার জন্য?
কেন হাসপাতালে গরীব মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় অ্যাম্বুলেন্স থাকবে না?
কেন অ্যাম্বুলেন্স এমন আকাশ ছোঁয়া ভাড়া চাইবে?
কেন ঘরের কাছে চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন না রাজ্যের মানুষ?
শাসক দলের নেতাদের নিয়ে, মাথা ভারী কমিটি, রোগী সুরক্ষা সমিতি কি করছিল?
অসহায় রোগীর পাশে কেন দাঁড়াবে না ঐ সমিতির লোকজন?
সঠিক বলেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, শিক্ষার মত স্বাস্থ্য পরিষেবাটাকেও লাটে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে রাজ্যের সরকার। খেলামেলা আর দান খয়রাতি করে নাম কিনতে গিয়ে রাজ্যের গরীব মানুষদের জীবন নিয়ে ছেলেখেলা করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রশ্ন আরও অনেক। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে খোদ রায়গঞ্জেই। তবুও হেলদোল নেই রাজ্য সরকার আর তাঁর স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
Tags:
Madhyom
bangla news
Bengali news
Kaliaganj
ambulance
no ambulance
dead body
kaliaganj news
kaliyaganj
kaliaganj latest news
body
body carry
deadbody carriage
ambulance rejection.patient
3 times
5 months
relatives
deceased
relatives of deceased
deceased relative
deceased relatives
relatives carry deceased
ambulance unavailibility
ambulance for kids
ambulance for children
ambulances
ambulance toys
ambulance hart
ambulance mass
high rate ambulance