কেকে-র মৃত্যু, প্রশাসনকে কী বলল হাইকোর্ট?
প্রয়াত সঙ্গীত শিল্পী কেকে-র মৃত্যুতে রাজ্যের কাছে হলফনামা চেয়ে পাঠালো কলকাতা হাইকোর্ট। তিন সপ্তাহের মধ্যে এই রিপোর্ট জমা দিতে হবে। চার সপ্তাহ পর ফের মামলার শুনানি।
৩১ মে নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠানের সময় অসুস্থ হওয়ার পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন শিল্পী। কলকাতার বুকে তাঁর এই মৃত্যুর ঘটনায় পরপর তিনটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়।
সোমবার কলকাতার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি ছিল তিনটি জনস্বার্থ মামলার। যার মধ্যে একটিতে কেকে-র মৃত্যু নিয়ে সিবিআই তদন্তের আর্জিও জানানো হয়। অন্য একটি মামলায় আবেদনকারী নজরুল মঞ্চের অব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
ভবিষ্যতে যাতে কোনও শিল্পীকেই এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে না হয়,তাও নিশ্চিত করতে বলা হয় আর একটি মামলায়। আদালতের নির্দেশের পর রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান,'এত মামলার পরেও সঙ্গীতশিল্পীর পরিবার কোনও অভিযোগ করেননি। তাঁদের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি!' বিষয়টি শোনার পর রাজ্যের কাছে হলফনামা চেয়ে পাঠায় আদালত। মামলাকারীর পক্ষে আইনজীবি শ্যামসুন্দর ভট্টাচার্য বলেন, আয়োজক আর প্রশাসনের গাফিলতিতেই এই মৃত্যু।
মে মাসের শেষে দুটি কলেজ ফেস্টে গান গাওয়ার জন্য কলকাতায় এসেছিলেন কেকে ওরফে কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ। কিন্তু ৩১ মে গুরুদাস কলেজের ফেস্টের দিন চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছিল নজরুল মঞ্চে।
গায়কের মৃত্যুতে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে নিউমার্কেট থানার পুলিশ। গভীর রাতে হোটেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ম্যানেজারকে। সংগ্রহ করা হয় সিসিটিভির ফুটেজ। তবে পুলিশ পরে আসরে নামলেও, অনুষ্ঠানের সময়, কেন নজরুল মঞ্চে অতিরিক্ত ভিড় হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। প্রশ্ন ওঠে প্রশাসনের উদাসীনতা নিয়েও। একজন শিল্পীর মৃত্যুর পর কেন ঘুম থেকে জেগে উঠবে পুলিশ-প্রশাসন, তা নিয়ে চলতে থাকে সওয়াল জবাব। এরমধ্যেই কেকে মৃত্যুতে হলফনামা তলব আদালতের। যা কিছুটা হলেও অস্বস্তিকর রাজ্য সরকারের কাছে।