WhatsApp_Image_2022-08-10_at_926.55_PM
ঠিকানা বদল।
হাজিরা দিতে বললেই SSKM। শুধু SSKM নয় একেবারে সটান WOODBURN ওয়ার্ড, এবং অমুক নম্বর বেড। বেড মানে আসলে একটা গোটা ঘর। ঘর বললেও কমিয়ে বলা হয়। বলতে পারেন ফাইভ-স্টার স্যুইট।
২০১৮ সালে পুরনো কেবিনগুলোর জায়গায় ১৬টি অত্যাধুনিক কেবিন বানানো হয়। এখানে রোগীর পরিবারের জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘর। সোফা কাম বেড, এলইডি টিভি, ফ্রিজ, আলমারি, র্যাক রাখা হয়েছে। বলাই বাহুল্য, এখানে মূল্য গুনে দিতে হয় বেশি। তবে, মন্ত্রী নেতাদের আর চিন্তা কী? লাগে চিনি যোগায় রাজ্য সরকার চিন্তামনি।
তাই ইডি সিবিআই ডাকলেই রাজ্যের নেতা মন্ত্রীদের একসময়ের নিশ্চিত ঠিকানা ছিল এসএসকেএমের এই উডবার্ন ওয়ার্ড। কে নেই সেই লিস্টে...মদন মিত্র থেকে সৃঞ্জয় বসু, শোভন চ্যাটার্জি থেকে সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ফিরহাদ হাকিম থেকে পার্থ চ্যাটার্জি, অনুব্রত মণ্ডল। একসময়, মদন মিত্র তো প্রায় ঘর বাড়ি বানিয়ে ফেলেছিলেন উডবার্নকে। প্রায় দেড় বছর ছিলেন উডবার্ন ওয়ার্ডে। যদ্দিন না কেস মেটে। ওটাকে ভর্তি বলা যায় কিনা জানি না।
যত প্রভাবশালী ততদিনের মেয়াদ SSKM-এ বসবাসের। তাঁর মধ্যেই চলত আইনজীবীদের যাতায়াত। আইনি পরামর্শ। গ্রেফতার না হওয়ার কারিকুরি। কিছুদিন কোর্টে আইনি কূট যুক্তি তর্ক চলার পর, কোর্টের স্টে অর্ডার বার হলেই বিন্দাস সুস্থ হয়ে যেতেন মারাত্মক অসুস্থ সব নেতা মন্ত্রীরা। পরদিন থেকেই দৌড়ে ছুটে সরকার আর দলনেত্রীর গুণগান।
কিন্তু যে গুনহা তাঁরা করেছেন তা বিলকুল চাপা পড়ে যেত। ঢেকে যেত উডবার্নের বিলাস বহুল স্যুইটের আড়ালে। বাড়ি বা হোটেল থেকে খাবার দাবার। সঙ্গে থাকতেন পরিবারের লোকজন। নিত্য দলের কর্মীরা এসে পরামর্শ করে যেতেন, ইডি সিবিআইয়ের অভিযুক্ত অসুস্থতায় ভর্তি নেতার সঙ্গে। প্রভাবশালীদের সেকেন্ড হোম।
২৪ জুলাইয়ের পর থেকে ঠিকানা বদলেছে প্রভাবশালীদের। বদলিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরী। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় যখন দ্বিতীয়বার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এসএসকেএম কে ভর্তি হতে যান সে রবিবারই কড়া মনোভাব দেখিয়ে মাননীয় বিচারপতি বলেনঃ
-------
* এসএসকেএম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসকদের ভূমিকায় খুশি নন তিনি।
* সাম্প্রতিক অতীতে যখনই শাসক দলের কোনও নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে অথবা তদন্তকারী সংস্থার সামনে হাজির হতে বলা হয়েছে, তখনই এসএসকেএম হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা
* এ ভাবেই শাসক দলের নেতারা জিজ্ঞাসাবাদের পর্ব সফলভাবে এড়িয়ে গিয়েছেন
* রাজনৈতিক নেতারা যখন বুঝতে পারেন যে তাঁদের আর জিজ্ঞাসাবাদ করার সম্ভাবনা নেই, তখনই তাঁদের এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়েছে
* এসএসকেএমের দেওয়া মেডিক্যাল রিপোর্ট দেখিয়ে আদালতে হাজিরা এড়ানোর ঘটনাও ঘটেছে
* বর্ষীয়ান মন্ত্রী, নিজের অপরিসীম ক্ষমতা প্রয়োগ করে, রাজনৈতিক নেতাদের সাহায্যে, গুরুতর অসুস্থতা এবং চিকিৎসার আড়ালে জিজ্ঞাসাবাদ এড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে
------
নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ অর্পিতা গ্রেফতার হওয়ার পরে আদালত ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়ায় এসএসকেএমে ভর্তি হন পার্থ। এরপরই সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ইডি। সেই মামলার রায়েই নিজের পর্যবেক্ষণ জানান বিচারপতি বিবেক চৌধুরী। তারপরই ভুবনেশ্বর এইমসে শারিরীক পরীক্ষা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।
এরপরই গত সোমবার এসএসকেএম ভর্তি না নিয়ে ফেরায় বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে। গত মঙ্গলবারই আরেক মামলায় ইডিকে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই মামলায় স্ক্যানারের নীচে শাসক দলের ১৯ জন নেতা মন্ত্রী। যাদের অনেকেই এর আগেও SSKM এর WOODBURN ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছিলেন, ইডি সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ থেকে বাঁচতে।
এবার কি তাঁরা ঠিকানা বদলাবেন?
Tags:
Partha Chatterjee
sskm
tmc
anubrata mondal
CBI probe
Mamata
Firhad Hakim
bangla news
Anubrata Mandal
ED probe
tmc leader
Sovan Chatterjee
news bangla
Recruitment scam
anubrata mandal cbi
anubrata cow smuggling
cbi summons anubrata mandal
Woodburn Ward
PG Hospital
anubrata health check up
anubrata mandal tmc
anubrat mandal
Madal Mitra
Srinjoy Bose
Subrata Mukhopadhyay
CBI Summon
ED Summon
Justice Bibek Chowdhury
woodburn
woodburn block
anubrata woodburn
anubrata returned at bolpur
SSKM Refused to Admit Anubrata
Kolkata HC Slums SSKM
TMC Ministers