WhatsApp_Image_2022-11-26_at_1816.23_(1)
হয় ক্যাবিনেটকে বলতে হবে তাঁরা অযোগ্যদের পাশে নেই এবং ১৯ মে'র বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করতে হবে, নইলে এমন পদক্ষেপ করব যেটা গোটা দেশে কেউ কখনও দেখেনি। রাজ্য সরকারকে কড়া বার্তা কলকাতা হাইকোর্টের। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন,
গ্রাফিক্সঃ
"..আমার সন্দেহ আছে, হয় গণতন্ত্র সঠিক হাতে নেই, আর না হলে রাজ্যে গণতন্ত্র বিকশিত হয়নি।..." অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
গ্রাফিক্স আউটঃ
এর আগে বুধবার বেনামি আবেদন মামলা নিয়ে রাজ্যের শিক্ষা সচিবকে আদালতে তলব করেছিলেন বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়। গোটা ঘটনার তদন্তভার তুলে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর হাতে। বেঁধে দিয়েছিলেন সময়সীমা। সাতদিনের মধ্যে আদালতে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
বেনামি আবেদন মামলায় শিক্ষা সচিবকে তলব
বেনামি আবেদন মামলা তদন্ত করবে সিবিআই
৭ দিনের মধ্যে সিবিআইকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য সরকার। গত বৃহস্পতিবার ডিভিশন বেঞ্চের শুনানিতেও খারিজ হয়ে যায় রাজ্যের আবেদন। এরপর শুক্রবারই কলকাতা হাইকোর্টের হাজিরা দেন রাজ্যের শিক্ষা সচিব মণীশ জৈন।
আদালতের নির্দেশ মেনে, গত বুধবারই স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। আদালতে জানিয়েছেন, সিবিআইয়ের আইনজীবী। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের আইনজীবী জানান, গতকালই শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনকে তলব করে সিবিআই। তিনি গতকাল বিকালে সিবিআই অফিসে যান। সিবিআই এর জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীনও হয়েছেন। সম্ভবত ডিভিশন বেঞ্চে সরকারের আবেদন খারিজ হওয়ার পরই সিবি আইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন শিক্ষা সচিব।
বিচারপতি ও শিক্ষাসচিবের প্রশ্নোত্তর
বিচারপতি :আপনি কি জানেন যে কমিশনের আইন অনুযায়ী কোন বেআইনি নিয়োগ করা যায় না?
উত্তর - হ্যা
প্রশ্ন - তাহলে অতিরিক্ত শূন্যপদ কেন তৈরি করা হল ?
উত্তর - উপযুক্ত স্তর থেকে নির্দেশ এসেছিল। ব্রাত্য বসুর নির্দেশ এসেছিল। তিনি আইনি পরামর্শ নেওয়ার কথা বলেছিলেন। আমাদের আইনজীবী এবং অ্যাডভোকেট জেনারেলের সঙ্গে কথা হয়েছে। আইন দপ্তরের সঙ্গে কথা হয়েছে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হয়। মুখ্যসচিবকে জানানো হয়। ক্যাবিনেটে নোট পাঠানো হয়।
প্রশ্ন - অবৈধদের নিয়োগ নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন আইনজীবীরা?
উত্তর - না।
প্রশ্ন - আপনার কি মনে হয় না যে অবৈধদের বাঁচানোর জন্য এই অতিরিক্ত শূন্যপদ? অবৈধদের সরানোর কোন সিদ্ধান্ত হয়েছিল ?
উত্তর - আমরা আইন দপ্তরের সঙ্গে কথা বলেছি।
প্রশ্ন - আমি বিস্মিত যে কিভাবে ক্যাবিনেটে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল ? যেখানে আইনের কোন সংস্থান নেই । আপনি কি মনে করেন যে অবৈধদের চাকরি বাঁচানো দরকার ?
উত্তর - না।
প্রশ্ন - কোন ক্যাবিনেটে এই সিদ্ধান্ত হয় ?
উত্তর - আমরা আইন দপ্তরের সঙ্গে কথা বলেছি।
প্রশ্ন - এটা কোন রাজ্যের নীতি হতে পারে ? আবার বলা হচ্ছে যে কারো চাকরি যাবে না। স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবীর কাছে আবেদন দাখিল করার কোন লিখিত নির্দেশিকা নেই। অতিরিক্ত প্রায় ২৬২ কোটি টাকা কেন প্রতি বছর ব্যয় করা হবে এই অযোগ্যদের জন্য।
উত্তর - আমরা অ্যাডভোকেট জেনারেলের সঙ্গেও এবিষয়ে কথা বলেছি।
প্রশ্ন - আপনার কি মনে হয় না যে ক্যাবিনেট তার এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সংবিধানবিরোধী কাজ করা হয়েছে? ক্যাবিনেটের সদস্যরা সই করলেন ? কেউ তাদের সতর্ক করলেন না ?
উত্তর - আমি সেখানে ছিলাম না।
এরপরই মাননীয় বিচারপতিকে বলতে শোনা যায়,
"হয় ক্যাবিনেটকে বলতে হবে যে আমরা অযোগ্যদের পাশে আমরা নেই এবং ১৯ শে মের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করতে হবে। নাহলে এমন পদক্ষেপ করব যেটা গোটা দেশে কখনো হয়নি। আমার সন্দেহ আছে যে, হয় গণতন্ত্র সঠিক হাতে নেই আর নাহলে গণতন্ত্র বিকশিত হয়নি। আমি ক্যাবিনেটকে পার্টি করে দেব। সবাইকে এসে উত্তর দিতে হবে। শোকজ করতে পারি।"
এরপরই বিচারপতির হুঁশিয়ারি,
"আমি প্রয়োজনে ইলেকশন কমিশনকে বলব তৃণমূল কংগ্রেসের লোগো প্রত্যাহার করার জন্য, দল হিসাবে তাদের মান্যতা প্রত্যাহার করতে বলব নির্বাচন কমিশনকে। সংবিধান নিয়ে যা ইচ্ছা করা যায়না।"
এদিকে গত বৃহষ্পতিবার যখন ডিভিশন বেঞ্চে, শুনানি চলছিল, তখন রাজ্য বিধানসভায়, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেন,
বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
"যখনই আমরা নতুন কাজ করতে চাই, লোক নিতে চাই, কেউ না কেউ আদালতে চলে যাচ্ছে। স্টে' নিয়ে আসছে। বিধানসভার মাধ্যমে, আদালতের কাছে আবেদন করছি যাতে মানুষের সুবিধা সেদিকে নজর রাখুন।"
এই প্রসঙ্গের উল্লেখ না করেই বিচারপতির মন্তব্য,
আমি মুখ্যমন্ত্রীর যন্ত্রনা বুঝতে পারি, কিন্তু কিছু দালাল যারা মুখপাত্র বলে পরিচিত তারা আদালতের নামে যা ইচ্ছা বলছে।
বলছে যে নিয়োগ হলেই আদালতে গিয়ে স্থগিতাদেশ নিয়ে আসছে। আদালত কি এগরোল নাকি যে আসলেই স্থগিতাদেশ পেয়ে যাবে ?
যদিও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এবার সুপ্রিম কোর্টে গেল রাজ্য সরকার। সুপ্রিমকোর্ট অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের ওপর তিন সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দিয়েছে।
Tags:
Calcutta High court
SSC recruitment scam
Mamata Banerjee
Bratya Basu
CM Mamata
Madhyom
Mamata
High Court
bangla news
Bengali news
Kolkata High Court
Teacher Recruitment scam
Education minister
bengal ssc scam
Recruitment scam
west bengal ssc scam
bengal teacher recruitment scam
Bengal Recruitment scam
recruitment scam in west bengal
teacher recruitment in west bengal
bengal scam recruitment
ssc teacher recruitment scam
west bengal cabinet
Teachers recruitment scam
Education minister bratya basu
TET Recruitment Scam
bratya
teachers recruitment scam news
high court case
teachers recruitment in bengal
wb education minister
bratya ordered
Exposed Recruitment Scam
Recruitment Scam Exposed
bratya basu ordered
minister bratya basu ordered
bratya basu education minister
Cabinet Decided
west bengal cabinet decided
mamata cabinet decided