Kurmi protest: অভিষেকের হুমকি, মমতার অভিযোগ, কুর্মি আন্দোলনে কি দিশেহারা TMC?

রাতে কুরমি সম্প্রদায়কে হুমকি অভিষেকের। পরদিন সকালে হুমকি দিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর। আটচল্লিশ ঘণ্টার সময় দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিক বৈঠক করে দায় স্বীকার করতে। নইলে নেওয়া হবে ব্যবস্থা। 
 
কে বলছেন এই কথা? যিনি সাংসদ ছাড়া কিচ্ছু নন। প্রশাসনিক কি ব্যবস্থা নিতে পারেন তিনি? জানাননি অভিষেক। যেমন জানাননি, জেলার পুলিশ কর্তারা মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোকেই সেফ রুট দিতে ব্যস্ত থাকার কারণেই কি রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাকে ছেড়ে গিয়েছিল তাঁর এসকর্ট? এত কিছু বলেননি। কুরমীদের চোর চোর চিৎকারে মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো বিজেপিকে খুঁজেছেন। খুঁজেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। যার নাম না করেই আক্রমণ শানিয়েছেন অভিষেক। আর শনিবার সকালে সেই পথেই হাঁটলেন মুখ্যমন্ত্রী।
 
একজন হুমকি দিলেন দেখে নেওয়ার যার সেই অধিকারই নেই। আর যার ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার আছে, আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখার দায়িত্ব যার তিনি অভিযোগ করছেন প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে। কিন্তু পুলিশ মন্ত্রী কিছুতেই এটা বলছেন ন, তাঁর দফতরের গোয়েন্দা তৎপরতার অভাব। পুলিশের গোয়েন্দাদের কাছে কেন খবর ছিল না এমন ঘটনা ঘটতে পারে। কেন যুবরাজের কনভয়ের রুটে জমায়েত সরিয়ে দেয়নি ইউনিফর্ম পুলিশ। আর সিভিল ড্রেসে যারা দড়ি ধরে আটকে রাখছিলেন জনতাকে?

বিজেপি সভাপতি বলেন, ওরা একেক জন একেক রকম বলছেন। নিজেরাই ঠিক করুন কোনটা বলবেন। আসলে চোর তোলাবাজদের এখন আর কেউই চাইছে না। চোর তোলাবাজ ছাড়া। নিজেরাই দুই আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে অশান্তি লাগাতে চাইছে।

তাহলে কি পুলিশের কাছে এমন নির্দেশই ছিল যাতে ফের অভিষেকে সফর সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে, কারণ সিবিআই জেরার পর থেকে অভিষেকের সফরে গণভাটা চলছিল। ফের ডাক আসতে পারে যে কোন দিন। নাকি সুপ্রিম কোর্টের সুরক্ষা কবচ না মেলায় কুরমি হামলার নাটক তৈরি করা হল কনভয়ে। আর তৃণমূলের আদিবাসী মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ি ভাংচুর করে কুরমি-আদিবাসি ঝগড়া লাগিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা।