বীরভূম পুলিশের FIR-এ রেশমার বয়ান বদল, কাকে আড়ালে চেষ্টায় পুলিশ?
লালন মৃত্যু কাণ্ডে আরও বিপাকে পড়ল বীরভূম জেলার পুলিশ।
এবার সামনে এল,রামপুরহাট থানায় জমা দেওয়া লালন শেখের স্ত্রীর রেশমা বিবির লিখিত বয়ান। আর সেখানেই আরও একবার প্রশ্নটা উঠল। তাহলে কি পুলিশের এফআইআরে গরু পাচার তদন্তের আইও সুশান্ত ভট্টাচার্য ও আরেক তদন্তকারী অফিসার স্বরূপ ভট্টাচার্যের নাম আসা কি কোন বড় ষড়যন্ত্রের অংশ? যেখানে রেশমা বিবির লিখিত বয়ানে এই দুই নামের কোন উল্লেখ নেই!
এতটা তফাৎ কি করে হল? তাহলে কি রাজনৈতিক ভাবে কোন চাপ ছিল বীরভূম পুলিশ সুপারের ওপর? কারণ গরু পাচার কাণ্ডের সঙ্গে লালন শেখের নাম সিবিআই তদন্তে কখনও উঠে আসেনি। তাহলে কি ভাবে গরু পাচারকাণ্ডের তদন্তকারী অফিসারের নাম পুলিশের নথিতে?
ময়নাতদন্তের দিনও রেশমা বিবির অভিযোগের তীর ছিল তিন সিবিআই অফিসারের বিরুদ্ধে। সেখানেও তিনি অন্য কোন নাম উচ্চারণ করেননি।
তাহলে কি গরুপাচার কাণ্ডে রাশ টানতে চাইছে রাজ্য সরকার। যে গরুপাচার কাণ্ডে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। গ্রেফতার অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এলেও যে অনুব্রতর বিরুদ্ধে এখনও কোন ব্যবস্থা নেয়নি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জিরো টলারেন্স নেতা বলে দাবি করা তৃণমূল সাংসদ ও মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও একমাত্র বীরভূমে নেতা বদল করেননি।অনুব্রতর বিরুদ্ধে গরু পাচার, বালি পাচার, পাথর খাদান, লটারি কেলেঙ্কারি মত একাধিক কেলেঙ্কারি সামনে এলেও তৃণমূল কোন ব্যবস্থা নেয়নি। বরং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সভায় ঘোষণা করেছিলেন, বীরভূমের এই নেতাকে বীরের সম্মান দিতে হবে।
বাইটঃ
তখনই প্রশ্ন উঠেছিল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে তৃণমূলের স্ট্যান্ড একরকম। কিন্তু অনুব্রতের ক্ষেত্রে অন্য রকম কেন? প্রশ্ন উঠেছিল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব কি তাহলে সরাসরি অনুব্রত কাছেও দায়বদ্ধ? সেই কারণে কি অনুব্রতকে দলীয়পদ থেকেও সরাতে ভয় পাচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্ব? আর সেই জন্যেই কি গরুপাচার কাণ্ডে রাশ টানতে চাইছে রাজ্যের সরকার?
যদিও কলকাতা আদালত ইতিমধ্যেই সুরক্ষা কবচ দিয়েছে সিবিআই অফিসারদের।
গ্রাফিক্স
-----হাইকোর্টের নির্দেশ
সিবিআই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কোন কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না সিআইডি
গোটা তদন্ত প্রক্রিয়া ভিডিওগ্রাফি করতে হবে সিআইডিকে
মামলায় পার্টি করতে হবে, লালন শেখের স্ত্রী রেশমা বিবিকে
হাইকোর্টের পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত তদন্ত রিপোর্ট পেশ করতে পারবে না সিআইডি
তবে লালন শেখের সিবিআই হেফাজতে অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত চলাতে পারবে সিআইডি
রেশমা বিবির লিখিত বয়ানে, রাহুল স্যার, ভাস্কর মণ্ডল ও বিলাস মহাগুডের নাম রয়েছে। অন্য কোন নাম নেই। কিন্তু পুলিশের এফ আই আর খাতায় জুড়ে গেছে আরও চারটি নাম। তাঁর মধ্যে দুজন,যারা যুক্ত গরু পাচার কান্ডের তদন্তকারি অফিসার। এই কেসের সঙ্গে যাদের কোন যোগ নেই। তাহলে কি বগটুই আর গরুপাচার কাণ্ড একই কেসের দুই প্রান্তের সুতো? আর আশ্চর্যজনক বিষয় হল বগটুই কাণ্ডের তদন্তকারী অফিসারের নাম অনুপস্থিত। অথচ তাঁর নাম রাখা যেত এফ আই আরে। তাহলে কেউ অন্তত বলতে পারত না, সিআইডি বা রামপুরহাট থানা অথবা বীরভূম জেলা পুলিশ, লালন মৃত্যু নিয়ে চক্রান্ত করছেন রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী।
Tags:
cbi
Madhyom
CID
bangla news
Bengali news
Birbhum SP
Birbhum Police
Lalan sheikh
Lalan Sheikh death
Bogtui Case accused Lalan
lalon sheikh
lalon seikh
lalan sheikh dead cbi custody
mamata on lalan sheikh
reshma
lalan sheikh dies
lalan
hc cbi lalan sheikh
cid investigating lalan case
cbi leaves rampurhat camp office lalan
lalan sheikh's wife
reshma wife of lalan sheikh
statement changed
statement changed in FIR
police birbhum
police fir
statement change in fir
police try to hide
hide whom
whom to hide