লালন শেখের মৃত্যু নিয়ে একি বললেন কারামন্ত্রী?
লালন শেখের মৃত্যু নিয়ে একি বললেন কারামন্ত্রী ? এদিন তিনি ব্যারাকপুর সংশোধনাগার পরিদর্শনে যান। সেখানেই সাংবাদিক তাঁকে প্রশ্ন করেন লালন শেখ নিয়ে। তাঁর উত্তর, অসুস্থ ছিলেন তিনি। অনেকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। তাঁকে চিকিৎসাও করা হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, কারামন্ত্রী যদি ঠিক কথা বলেন, তাহলে কবে লালনকে সংশোধনাগারে রাখা হয়েছিল? তাহলে কি বগটুই কাণ্ডের পর লালন পালিয়ে গিয়ে এখানে লুকিয়ে ছিল? আর যদি সেটা ভুল হয়, তাহলে প্রশ্ন উঠছে, কারামন্ত্রী হয়ে লালন শেখের খবর জানা থাকবে না তাঁর! একজন মন্ত্রীর কাছে খবর থাকবে না বগটুই কাণ্ডের? চলুন আর একবার শোনা যাক লালন শেখের মৃত্যু নিয়ে কী বলেছেন তিনি।
সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন সোমবার মৃত্যু হয় বগটুই কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের। এরপরই শাসক দলের তরফ থেকে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে কাঠগড়ায় তোলার চেষ্টা হয়। এমনকি সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে বিক্ষোভও দেখান লালন ঘনিষ্ঠরা। মেঘালয়ে বসে সিবিআইয়ের ভূমিকায় প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনায় লাভবান কারা, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বামেরাও। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, সিবিআইকে শুধু দোষ দিলে চলবে না। লালন শেখের পাহারার দায়িত্বে ছিল রাজ্য পুলিশও। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তাই অস্বাভাবিক মৃত্যু কীভাবে হয়েছে, তার কারণ সামনে আনার দাবি তুলেছেন শুভেন্দু থেকে সুকান্ত মজুমদার।
মৃত্যু কীভাবে? লালনকে পিটিয়ে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে? নাকি সে নিজে আত্মহত্যা করেছে? খুন করলে কারা তাকে খুন করল? সামনে আসছে এই প্রশ্ন। প্রশ্ন উঠছে, কাকে বাঁচাতেই বা খুন করা হবে লালনকে। হাজারও এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই আজ কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। সিবিআইয়ের পাশাপাশি হাইকোর্টের বিচারপতি দিয়ে এই মামলার তদন্তের দাবি উঠেছে। ফলে যতদিন না সঠিক উত্তর সামনে আসছে, ততদিন চাপানউতোর চলতে থাকলেও ধোঁয়াশা থেকেই যাবে।