৪ লাখ পরীক্ষার্থী গেল কোথায়?
পরীক্ষার্থীরা সব কোথায় গেল? মাথায় হাত বাংলার!
পশ্চিমবঙ্গ মধ্য শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে, এবার ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবেন, ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ৬২৬ জন
২০২২ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে ছিলেন, ১০ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭৭৫ জন। অর্থাৎ এবার মাধ্যমিক শিক্ষার আঙ্গিনা থেকে সরে গেলেন, ৪ লক্ষ একশ উনপঞ্চাশ জন শিক্ষার্থী। শতাংশের হিসেবে প্রায় ৩৬.৪২। যার অর্থ প্রতি একশ জন ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে সাড়ে ছত্রিশ জন এবার পরীক্ষায় বসবেন না।
কারণ হিসেবে মধ্য শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ড, রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছে,
"গত দুই বছরে কোভিড মহামারীর কারণে, অনলাইনে ক্লাস অনুষ্ঠিত হওয়ায় এবং পরীক্ষার জন্য তাদের প্রস্তুতি অপর্যাপ্ত হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী পিছিয়ে গিয়েছিল।"
কিন্তু যে কথা তিনি বলতে পারেননি, তা হল, যখন করোনার শেষ লগ্নে, গোটা দেশ স্কুলগুলো খোলা রাখা নিশ্চিত করছিল, ঠিক তখন উলটো পথে হেঁটেছিল রাজ্যের সরকার। দফায় দফায় স্কুলগুলোতে লকডাউন বাড়িয়ে চলছিল। কোভিড লকডাউনের সময় কালে যখন গোটা দেশ অনলাইন ব্যবস্থার ওপর জোর দিচ্ছিল। বিভিন্ন অঞ্চলের স্কুলে স্কুলে জরুরী ভিত্তিতে নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছিল, তখন হাত গুটিয়ে ঘরে বসেছিল সরকার। মাঝে মধ্যে রাস্তায় গোল গোল চক্র আঁকছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ছাত্রছাত্রীদের জন্য লেখাপড়া চালানোর ন্যূনতম পরিকাঠামো তৈরি করেনি রাজ্য সরকার।
২০২৩-এ যারা মাধ্যমিক দিচ্ছেন তারা ২০২১এ ক্লাস নাইনে উঠেছেন। আর এই সময়কালেই দফায় দফায় স্কুল বন্ধ রেখে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। আর সকলকে পাশ করানোর নিদান দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কমে যাওয়ায়, শিক্ষাবিদরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন,
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকারের মতে,
সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থাকে সঙ্কুচিত করার লক্ষণ স্পষ্ট। প্রতিবছর যেখানে মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ে সেখানে প্রায় ৩৬.৪২ শতাংশ পরীক্ষার্থী কমে যাওয়ার অর্থ রাজ্যে শিক্ষার মান তলানিতে ঠেকেছে।
আরও কড়া মন্তব্য করেছেন, আরেক শিক্ষাবিদ অধ্যাপক বিমলশঙ্কর নন্দ, তার প্রশ্ন এই ছেলে মেয়েরা কোথায় গেল এবং কেন গেল? তা সরকারকেই খুঁজে বার করতে হবে। প্রায় ৩৬.৪২ শতাংশ ছাত্রছাত্রী শিক্ষার অঙ্গন থেকে চলে যাওয়ার অর্থ কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া শিক্ষানীতির মূল লক্ষ্য ধাক্কা খাবে। রাজ্যের থেকে যে ৩৫%শতাংশের উচ্চশিক্ষায় যাওয়ার কথা ছিল। তা যাবে না।
সরকারপন্থী শিক্ষক সংগঠনের দাবি, অনেকেই বেসরকারি ক্ষেত্রে পড়াশোনা করছে বলেই নাকি, মাধ্যমিকে সংখ্যা কমছে। তাহলে প্রশ্ন ওঠে সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার হাত তুলে নিতে চাইছেন? সেটাই লক্ষ্য? তবে বাকি শিক্ষক সংগঠন থেকে শিক্ষাবিদ সকলেই আঙুল তুলছে রাজ্যের সরকারের দিকে। তাঁদের জিজ্ঞাসা সরকারের শিক্ষা দফতরে অনৈতিকতার থাবা যেভাবে গেড়ে বসেছে, তার ফলেই হয়তো মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়ার ইচ্ছাই চলে যাচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের। বেশির ভাগের বক্তব্য অবশ্যই,এই পরীক্ষাছুট চার লাখের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দায় কি এড়াতে পারেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী?
Tags:
bangla news
Bengali news
Madhyamik
student
Madhyom
Madhyamik Exam
Madhyamik pariksha
madhyamik 2023
madhyamik exam 2023
2023 madhyamik exam
madhyamik pariksha 2023
2023 madhyamik pariksha
2023 madhyamik
west bengal madhyamik test exam 2023
west bengal board madhyamik exam 2023
madhyamik exam 2023 news
students missing
students drop out
drop out students
missing students
where students gone