কেন মাধ্যমিকে কমছে ছাত্রছাত্রী,বাড়ছে ফেল?
লেখাপড়ায় আগ্রহ কমছে বাংলার ছাত্রছাত্রীদের? নাকি রাজ্যে পড়াশোনার সুযোগ কমছে? মাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশের পর এই প্রশ্নেই ঘুরপাক খাচ্ছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সহ গোটা বাংলায়।
মাধ্যমিকের শুরুতেই রাজ্যে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছিল, ২০২৩এ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছিল ৪ লক্ষ ৪৯জন। অর্থাৎ পরীক্ষার্থী কমেছে ৩৬.৪২%।
পরীক্ষার্থী কমেছে ৪ লক্ষ ৪৯জন
৩৬.৪২%
এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছেন, মাত্র ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ৬২৬ জন। অথচ গতবছর অর্থাৎ ২০২২ সালে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১০ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭৭৫ জন।
মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী
২০২৩ ---- ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ৬২৬ জন
২০২২-----১০ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭৭৫ জন
অর্থাৎ শুরুতেই ঝরে গেছিল ৩৬.৪২% ছাত্রছাত্রী। আর এবার মাধ্যমিকের ফলাফল ঘোষণা করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সচিব জানালেন।
"পাশ করেছে ৫ লক্ষ ৬৫ হাজার ৪২৮, পাশের হার ৮৬.১৫"
নাহ অকৃতকার্যের সংখ্যা বা হার কিছুই বললেন না সভাপতি। কিন্তু ওনার হিসেবেই যে সংখ্যাটা সামনে এল তা হল,
মাধ্যমিক ২০২৩ সাল অকৃতকার্যের সংখ্যা ১লক্ষ ৩৩ হাজার ২০০। অর্থাৎ এবার খসে গেল, প্রতি একশ পরীক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় ১৩.৮৫ জন।
মাধ্যমিক ২০২৩
অকৃতকার্য --- ১লক্ষ ৩৩ হাজার ২০০ ছাত্রছাত্রী
১৩.৮৫%
রাজ্যের শিক্ষার আঙ্গিনা থেকে সরে গেল প্রায় ১লক্ষ৩০হাজার ছাত্রছাত্রী। কারণ এই ছেলেমেয়েরা এবার পাশ করতে পারেননি মাধ্যমিক পরীক্ষায়। পরীক্ষাতেই বসেননি ৪ লক্ষ ৪৯জন। মোট সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ৫ লক্ষ ৩৩ হাজার ২৪৯ জন। যারা স্রেফ ছিটকে গেল পড়াশোনার পরিবেশ থেকে। তাহলে প্রশ্ন হল কেন? জানিয়েছেন পর্ষদের সভাপতিও।
শিক্ষাবিদ অর্থনীতিবিদরা বলছেন একাধিক কারণে মধ্যে প্রধান একটি কারণ কোভিড এফেক্ট। কিন্তু সেটাই সব নয়। লকডাউনে অনেক পরিবারে কাজ গেছে। বেতন কমে গেছে। এগুলি কোভিডের প্রভাব বটে। কিন্তু সরকারের ভূমিকা কি ছিল? প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
এছাড়াও তাঁরা গুরুত্ব দিয়ে বলছেন শিক্ষা ক্ষেত্রে নৈরাজ্যের পরিবেশ। শিক্ষা মন্ত্রী থেকে পর্ষদ সচিব প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি থেকে এস এস সি চেয়ারম্যান সবাই জেলে। প্রায় একদশক ধরে শিক্ষকতায় নতুন নিয়োগ হচ্ছে না। যে গুলি হয়েছে তাও দুর্নীতি দোষে দুষ্ট! ফলে পড়াশোনায় উৎসাহ হারাচ্ছেন ছেলেমেয়েরা।
তাহলে কি এভাবেই প্রতিবছর কমতে থাকবে মাধ্যমিকে অংশ নেওয়া ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা? কোথায় যাবেন এই পরীক্ষাছুট ছেলেমেয়েরা? সমাজতত্ববিদদের মতে বেশির ভাগের অবস্থান হবে, অসংগঠিত ক্ষেত্রে। এরাই ১০০দিনের কাজ চাইবেন। আনস্কিলড বা অদক্ষ শ্রমিক হিসেবে জুড়ে যাবে কাজের ক্ষেত্রে। এরা কাজ করবেন এরাই হাত পেতে ৫০০ হাজার টাকা নেবেন। এরাই বোমা ছুঁড়বেন, বোমা বাঁধবেন রোজগারের জন্য। আর বিস্ফোরণে উড়ে যাবেন। প্রতিদিন।
যদিও পরীক্ষা শুরুর আগেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্যবসু জানিয়ে ছিলেন পরীক্ষার্থী বিপজ্জনক ভাবে কমে যাওয়াটা এটা প্রতিবছরের প্রবণতা হবে না। আগামীবার ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ফের পারবে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা। হয়তো বাড়বে কিন্তু ফের এগারো লাখে পৌঁছাতে অনেক সময় লেগে যাবে।
বাংলার মানুষকেই ঠিক করতে হবে, তাঁরা আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্থ একটা সরকারকে ক্ষমতায় রেখে নিজের ও নিজের সন্তানের ভবিষ্যৎ শেষ করবেন কিনা?
Tags:
Madhyom
bangla news
Bengali news
Madhyamik
student
students
madhyamik 2023
Madhyamik Result 2023
madhyamik 2023 result
madhyamik result 2023 news
wb madhyamik result 2023
wb madhyamik results 2023
wbse result 2023
number of students decreasing
number of students
why is the number of students decreasing in madhyamik
students decreasing in madhyamik
students in schools
student dropout rates increasing
drop out in madhyamik
increasing failures
failures