WhatsApp_Image_2023-01-14_at_2038.51
এখন আর কিছু নেই। ভাঙা বাড়ি। সামনে সাদা পাঁচিল। তালা বন্ধ ঘর। ধ্বসে পড়া দেওয়াল। একটা নাম ফলক আছে বটে। আছে একটা পাথরের মূর্তি। বছরে একবারই, শীতের কোন বেলায় কেউ হয়ত আসেন।
সেই ১৯৬২ সাল। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায় প্রথম মুখ্যমন্ত্রী যিনি এখানে এসেছিলেন। তিনিই শেষ। তার উদ্যোগেই সংস্কার প্রথমবার। ব্যাস ঐ খানেই গল্পের ইতি। কাটোয়া মহকুমার সিঙ্গি গ্রামকে বাংলার মানুষ
একসময় চিনতেন কাশীরামের গ্রাম হিসেবে। পণ্ডিতদের মধ্যে এ নিয়ে বিতর্ক ছিল। এই সিঙ্গি গ্রাম কি সেই সিঙ্গি গ্রাম? এই ঘরদোর কি সেই কাশীরামের স্মৃতি জড়ানো। যিনি মহাভারতের বাংলা অনুবাদ করেছিলেন।
বাইটঃ রণদেব মুখোপাধ্যায়, বিশেষজ্ঞ
গত ছয় দশকে ধীরে ধীরে অবহেলার অন্ধকারে তলিয়ে গেছে এই ভিটে। বিশেষজ্ঞ আর গ্রামের লোকজন ছাড়া কেউই খবর রাখেন না সিঙ্গি গ্রামের ইতিহাসে।
সাড়ে তিনশো বছরের পুরানো লেখা। তখন পশ্চিমে ভাগিরথী আর উত্তরে ব্রাহ্মণী নদী। মাঝে সিঙ্গি গ্রাম। নিত্যদিন ভাগিরথী স্নানে যেতেন কাশীরাম দাশ। খাত বদলাতে বদলাতে এখন ভাগিরথী সরে গেছে আরও পশ্চিমে। এই গ্রামেই জন্ম, কাশিরাম দাসের। যিনি সংস্কৃত মহাভারতের বাংলা অনুবাদ করেন। সেও আরেক গল্প।
শুরু করেছিলেন শেষ করতে পারেননি। তাই নিয়েও আক্ষেপ ছিল কাশীরাম দাসের। আক্ষেপ আছে গবেষকদেরও। তাঁরা এখনও আঙ্গুন কামড়ান।
হাতে লেখা পুঁথি ছাপাখানার মুখ দেখে আরও দেড়শ'দুশো বছর পর। শ্রীরামপুর মিশন প্রেস থেকে প্রথম চারপর্ব ছাপা হয়। ১৮০১ থেকে ১৮০৩ সালের মধ্যে। ১৮৩৬ সালে। জয়গোপাল তর্কালঙ্কারের সম্পাদনায় মহাভারতের সম্পূর্ণ সংস্করণ প্রকাশিত হত। তার মানে বলাই যায় আঠারো শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে বাঙালি পরিবারে জাঁকিয়ে বসে মহাভারতের পাঁচালি পাঠ।
সময় গড়িয়েছে। বদল এসেছে পাঠে। মহাকাব্যের নানা রকম ভেদ। মহাভারতের গল্পকথাও উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার হবে। হচ্ছেও। কিন্তু প্রথম যে মানুষটা সংস্কৃতের বন্ধন থেকে মুক্ত করেছিলেন মহাভারতকে। পয়ারে বেঁধেছিলেন গাঁথা। সেই মানুষটির ঘরবাড়ি রয়ে গেছে অবহেলায়। যার হেরিটেজ হওয়ার কথা ছিল।
সময়ের নিয়মেই হয় না। ধ্বসে পড়ে দেওয়াল। মাঝে মধ্যে পড়ে কলির পরশ। তৈরি হয় স্মৃতিরক্ষা কমিটি। একটা মেলা হয় । কিছু মানুষের রোজগার বাড়ে। কিন্তু এখনও ঐতিহাসিক চরিত্রটি সম্পর্কে কোন আগ্রহ বাড়ে না। সময়ের থেমে থাকা প্রতিমা হিসেবেই রয়ে যান কাশীরাম দাস।
পরিবারের আগ্রহও কম। উত্তরাধিকারীরা সেই কবে ঘরদোর বেচেবুচে কলকাতায় চলে এসেছেন। আর ভাগের মা কাশীরাম দাসের ভিটে কারোর নয় হিসেবেই রয়ে গেছে। অযত্নের ছাপ স্পষ্ট। কোন সংগ্রহশালা নেই। সেই কারণেই নেই, তার ব্যবহারের জিনিসপত্র। পুথির ফোটোকপি নেই। প্রথম ছাপা মহাভারতের অংশটুকুর দেখে মিলবে না। শুধু একটা তালাবন্দী ঘর।
অনেকটা আমাদের মগজের মত। তালাবন্দী। ইতিহাস ভুলে উত্তরাধিকার ভুলে এক শিকড়হীন সমাজের মত।
Tags:
bangla news
Bengali news
Story
Madhyom
mahabharat stories
mahabharat
mahabharata bengali translation
mahabharat yudh
mahabharat katha
mahabharata
poet kashiram das
translator of mahabharata
mahabharata story
mahabharat story
history of mahabharata
mahabharat bangla story
mahabharata religious text
mahabharata story in hindi
story of bengali translator of mahabharat
mahabharata stories
kashiram das
kasiram das
birth place of kashiram das
kobi kashiram das
kasiram dash
katwa kashiram das institution
katwa kashiram das
kashiram das in bengali
kashiram das biography
kashiram das birth place
writings of kashiram das
kashiram das manucripts
biography of kashiram das