শিলিগুড়িতে মমতার বিজয়া সম্মিলনী
শিলিগুড়িতে বিজয়া সম্মিলনী। গোটা উত্তরবঙ্গ থেকে তুলে নেওয়া হল সরকারি বাস। জড়ো করা হল লোক। কিন্তু এই লোক জড়ো করা হল কীভাবে? ফাঁস হয়ে গেছে এক পুলিশ আধিকারিকের বয়ান। শুনুন মালদা জেলার বৈষ্ণবনগর থানার এক পুলিশ আধিকারিক কী নির্দেশ দিচ্ছেন ভিলেজ পুলিশকর্মীদের।
অডিও ক্লিপটি নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, সরকারি বাসের পাশাপাশি বুক করা হয়েছিল এসি ভলভো বাস। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ৬ হাজার পুজো কমিটিকে। কমিটি পিছু পাঁচ জন অর্থাৎ এভাবেই মোট ৩০ হাজার লোক জমায়েতের ব্যবস্থা। আগেই নির্দেশ গিয়েছিল, যে সব ক্লাব পুজোর অনুদান হিসেবে ৬০ হাজার টাকা নিয়েছে, তাদের এই অনুষ্ঠানে আসতেই হবে। ফলে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছিল প্রশাসন।
মুখ্যমন্ত্রী ঘুরলেন। বিজয়া সম্মিলনী করলেন। কিন্তু এই অনুষ্ঠানে লোক টানতে প্রশাসনকে যেভাবে কাজে লাগালেন, যেভাবে গরম বিরিয়ানির টোপ দেওয়া হল, তাতে প্রশ্ন উঠছে সরকারের ভূমিকায়। প্রশ্ন উঠছে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্য নিয়েও। তিনি বললেন, পর্যটনের উন্নয়নে হোম স্টে-র কথা। কিন্তু এভাবে কি সার্বিকভাবে বেকারত্ব দূর করা যাবে? মানুষকে কাজ দিতে তাঁর পরিকল্পনা কি, তার কোনও হদিশ তিনি দিতে পারলেন না। বরং শুধু রেখে গেলেন সস্তার প্রলোভন।
Tags: