নিয়োগ দুর্নীতি ঢাকতেই কি জেলা ভাগ? শূন্য কোষাগারে অর্থের যোগান কই?
ম্যাপ বদলাচ্ছে বাংলার। ২৩এর বদলে তিরিশ জেলা হবে রাজ্যে। পয়লা অগাস্ট মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরই চারদিকে সমালোচনার ঝড়। কেউ বলছেন শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি থেকে মুখ ফেরাতেই, এমন সময়ে ঘোষণা করা হল, জেলা ভাগের সিদ্ধান্ত। কারও বক্তব্যে উঠে আসছে অর্থনৈতিক প্রশ্ন। যদিও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রশাসনিক সুবিধার কারণেই জেলা ভাগের সিদ্ধান্ত।
তাহলে এক ঝলক দেখা নেওয়া যাক, জেলা ভাগে কার সুবিধা?
- যদি টাইমিং দেখা যায়, তাহলে সুবিধা রাজ্য সরকারের। কেন? ঠিক এমন একটা সময়ে জেলা ভাগের ঘোষণা সামনে আনা হল, তখন নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কার্যত জেরবার রাজ্য সরকার। রীতিমত ব্যাকফুটে। ঠিক এমন সময়ে জেলা ভাগের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে খবরের শিরোনাম থেকে শিক্ষক নিয়োগে সর্বস্তরের দুর্নীতিকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা।
দুর্নীতি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা
- মন্ত্রী ঘনিষ্ঠের দুটি ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫৬ কোটি টাকা
- কয়েক কোটি টাকার গয়না
- অসংখ্য জমি বাড়ির দলিল উদ্ধার
- রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন প্রান্তে মন্ত্রীর নামে বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ থেকে চোখ ঘুরিয়ে দেওয়া।
দ্বিতীয় যে প্রশ্ন উঠেছে তা হল অর্থনৈতিক। যখন সরকারের "ভাঁড়ে-মা-ভবানী" ঠিক সেই সময়ে এই জেলা ভাগের সিদ্ধান্ত কতটা যুক্তিযুক্ত। রাজ্য সরকারের যুক্তি, প্রশাসনিক সুবিধা। বিরোধীদের বক্তব্য অর্থনৈতিক বেহাল দশায় ফের আরও ৭ জেলার প্রশাসনিক টিম তৈরি করা কতটা যুক্তিযুক্ত? ডিএম, এসপি, ড্রিস্ট্রিক জজ, কৃষি-শিক্ষা-শিল্প-বানিজ্যের অফিসার নিয়োগ। প্রশাসনিক ভবন তৈরি বা গঠন করে অর্থের শ্রাদ্ধ করে কি লাভ?
ঠিক এই প্রশ্ন গত সোমবারই তুলেছে বিজেপি
ট্যুইটে অমিত মালব্য জানিয়েছেন,
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 7টি নতুন জেলা তৈরি করার এবং নতুন মুখদের অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত #SSCScam থেকে মনোযোগ সরানোর একটি প্রচেষ্টা। তাঁকে (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) অবশ্যই ব্যাখ্যা করতে হবে যে ঋণের ফাঁদে আটকে থাকা পশ্চিমবঙ্গ সরকার নতুন জেলা পরিচালনার জন্য অর্থ কোথায় পাবে? পরেশ অধিকারী এখনও তাঁর মন্ত্রিসভায় থাকায়, নতুন মুখ নিয়োগ দুর্নীতির কলঙ্ক ধুতে পারবে না।
একই প্রশ্ন তুলেছেন, রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও।
- মাসখানেক আগেই, রাজ্য সরকারের অর্থ দফতর জানিয়েছে (রাজ্য অর্থ দফতরের নির্দেশ, মেমো নম্বরঃ 280-F.B. তারিখঃ ৫জুলাই, ২০২২), "বেতন, ইলেক্ট্রিক বিল, টেলিফোন বিল, হাসপাতাল পরিষেবা ক্ষেত্রেই, শুধুমাত্র বাজেট বরাদ্দের ১০০% ব্যবহার করা চলবে। বাকি সব বরাদ্দেই কোপ। রাজ্যের উন্নয়ন বরাদ্দে ছাঁটাই ৮০%। রোজকার বাজেটে কোপ ৫০%।"
নিত্য দিনের বাজেটের অর্ধেকও খরচ করার ক্ষমতা নেই সরকারের। উন্নয়ন বাজেটে ৮০% ছাঁটাই। কর্মচারিদের ডিএ বাকি প্রায় ৩২ শতাংশ। সেই সরকার আরও সাত জেলা তৈরির প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেই কি করে? খরচ যোগাবে কোন গৌরী সেন? নাকি দুর্নীতির ডি সেন্ট্রালাইজড করলেন মমতা। এদ্দিন যারা খেতে পারেননি, তাঁরাও এবার লুঠ তোলাবাজি চালানোর সুযোগ পাবেন।
Tags:
bjp
Mamata Banerjee
Madhyom
tmc
Amit Malviya
Dilip Ghosh
Sukanta Majumdar
Abhishek Banerjee
bangla news live
bengali news live
news bangla
mamata banerjee latest news
mamata banerjee speech
mamata banerjee news
mamata banerjee news today
mamata banerjee district announcement
partha chatterjee mamata banerjee
mamta banerjee
Bangla News. Bengali News
Subhendu Adhikari
WB Districts
mamata banerjee vs mithun
who is mamata banerjee
mamata banejee Distric bifurcation
Budget Alocation