কীসের আতঙ্কে ভোট বিমুখ মুখ্যমন্ত্রী?
আতঙ্কে ভুগছেন মুখ্যমন্ত্রী? তাই কি নবান্নে বসে বারবার সাংবাদিক বৈঠক করছেন? হারের ভয়ে পিছিয়ে দিতে চাইছেন পঞ্চায়েত ভোট? দিদির দূত সহ তৃণমূলের যাবতীয় কর্মসূচি ব্যর্থ হওয়ায় আবার নতুন পথ খুঁজছেন? তাই কি রাজ্য জুড়ে ২ মাস ব্যাপী জনসংযোগ যাত্রা ঘোষণা করছেন? নিয়ম মেনে অন্য দলের মতো তৃণমূলের সর্বভারতীয় তকমা ঘুচে গেলেও, একবগ্গা হয়ে সেই নাম টিকিয়ে রাখার কথা ঘোষণা করছেন? তাঁর ভূমিকায় রাজনৈতিক মহলেই বিষ্ময় জাগছে। বিরোধীদের মতে, তৃণমূল নেত্রী বুঝতে পারছেন, দুর্নীতির ধাক্কায় তাঁর দলের ভাবমূর্তি ভুলুন্ঠিত। দলের তিন বিধায়ক জেলে। আরও অনেকে জেলে যাওয়ার পথে। দিকে দিকে চোর চোর আওয়াজ উঠছে, তৃণমূল নেতা নেত্রীদের দেখলেই। সেকারণেই কি অভিষেককে নামিয়ে ২৫ এপ্রিল থেকে শুরু করছেন জনসংযোগ কর্মসূচি?
বিরোধী দলনেতার দাবি, ফিয়ার সাইকোসিসে ভুগছেন মুখ্য়মন্ত্রী। বুঝতে পারছেন, তাঁর বিদায় অনিবার্য।দলের তলিয়ে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না মমতা। তাই নির্বাচন কমিশনের নির্দেশও অমান্য করতে চান তিনি। বলেন, টিকিয়ে রাখবেন জাতীয় দলের নাম। মুখ্যমন্ত্রীর এই একবগ্গা মনোভাবের কড়া সমালোচনা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী
সংখ্যালঘু ভোট হারাতে শুরু করেছে শাসক দল। এরপর নতুন করে সামনে আসছে কেলেঙ্কারির নানান ছবি। দুর্নীতিতে জর্জরিত হয়ে পরিত্রাণের পথ খুঁজছে তৃণমূল। কিন্তু কেলেঙ্কারির চোরা গলিতে ঢুকে গিয়ে সব পথ বন্ধ হতে বসেছে। তাই কি আতঙ্কে ভুগছেন মমতা? তাই কি এখনই মুখোমুখি হতে চাইছেন না পঞ্চায়েত ভোটের?
Tags: