বালুরঘাট কর্মতীর্থ এখন যেন ভূতের বাসা
কর্মতীর্থ না ভূতের বাসা? বালুরঘাটে মুখে মুখে ঘুরছে এখন একটাই কথা। কর্মসংস্থানে জোর দেওয়ার লক্ষ্যে ৫-৬ বছর আগেই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন কর্মতীর্থের কথা। সরকারি টাকা নয়ছয় করে জেলায় জেলায় বিভিন্ন জায়গায় তৈরি করা হয়েছিল বড় বড় বিল্ডিং। সেখানে ঘর বানিয়ে ভাড়া দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু কাজের কাজ যে কিছুই হয়নি, তার সাক্ষ্য বহন করছে এই চকবাখার। পুরো কর্মতীর্থ ঢেকেছে জঙ্গলে। পরিত্যক্ত বিল্ডিংয়ে বাড়ছে সমাজবিরোধীদের আনাগোনা। রাতের অন্ধকারে এর পাশ দিয়ে হেঁটে যেতেই ভয় করে স্থানীয় মানুষজনের। কোটি কোটি টাকা খরচ করে এই বিল্ডিং তৈরি করে লাভ কি হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সরকারের পরিকল্পনার অভাবেই এই অবস্থা বলে আক্ষেপ করছেন তাঁরা।স্থান নির্বাচনে যে ভুল ছিল, তা স্বীকার করেছে প্রশাসনও। অভিযোগ পেয়ে জেলাশাসক বলছেন, তাঁরা বিষয়টি জানেন। কীভাবে তা চালু করা যায়, তা খতিয়ে দেখবেন।
তবে মমতার আমলে সব কিছুই যে কথার কথা, তা টের পাচ্ছে জনতা। ২০০৮ সালে রাজ্য়ে ক্ষমতায় আসার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, ক্ষমতায় এলে ৬ মাসের মধ্যে শিল্প গড়বেন। কিন্তু তাঁর সেই প্রতিশ্রুতি যে কতটা অন্তঃসারশূন্য, তা বুঝে গেছে রাজ্যবাসী। জেলায় জেলায় এখন একটাই কথা, মুখ্যমন্ত্রীর পুরোটাই চমকে ভরা। সরকারি কোষাগার ফাঁক করে একটার পর একটা বিল্ডিং তৈরি করে দেন তিনি। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছুই হয় না। বরং সরকারি পরিকল্পনার অভাবে বেকার যুবকরা আরও সমস্য়ায় পড়ে। তা থেকে বেরোনোর কোনও পথ খুঁজে পায় না। শুধু শাসকের কাছে ঘোরাঘুরিই করেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। আর অসহায় চোখে দেখে, দিনে দিনে কীভাবে তলিয়ে যাচ্ছে তাদের ভবিষ্যৎ। আর ফুলে ফেঁপে উঠছে শাসক শ্রেণির তল্পিবাহকরা।