Mamata Banerjee: কি হবে ৬ এপ্রিল? কিসের প্ররোচনা মুখ্যমন্ত্রীর?

তিনি নাকি স্মেল করতে পারেন,  রামনবমীর মিছিলে হামলা হতে পারে। ময়দানের ধরনা মঞ্চ থেকে বলেছিলেন তিনি। কিন্তু রামনবমীর মিছিলের ওপর হামলা ঠেকাতে পারেননি। 

হাওড়ার শিবপুরের পর হুগলির রিষড়া। রামনবমীর মিছিলে হামলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আটকাতে পারেননি। আটকাতে পারেননি পুলিশমন্ত্রী। ব্যর্থ হয়েছে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন। কিন্তু যেটা পেরেছেন, সেটা হল নিত্য দুর্নীতির খবর থেকে চোখ সরানো গেছে। চোর চোর চিৎকার একটু কম শোনা যাচ্ছে। তার মানে রামনবমীর মিছিলে হামলা হোক সরকার চেয়েছিল। 

এবার টার্গেট ৬ই এপ্রিল। ফের মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা পূর্ব মেদিনীপুরে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান থেকে। তিনি ফের প্ররোচনা দিলেন ৬এপ্রিল ফের অশান্তি হতে পারে।

একবার নয়, দুই থেকে তিনবার। সেই কারণেই খেজুরির মানুষের কাছে প্রশ্ন ৬ তারিখ নিয়ে এতটা প্ররোচনা দিচ্ছেন কেন? তাহলে কি তিনি দৃষ্টি সরাতে চাইছেন?

তবে ঐ খানেই থামেননি মুখ্যমন্ত্রী এবার সরকারি পরিষেবার মিটিং থেকে সরাসরি ডাক দিয়েছেন। কমবয়সী ছেলেমেয়েদের এগিয়ে আসতে, যাতে মুখোমুখি সংঘাত আরও তীব্র হয়। কিছু প্রাণ যায়। 

শব কুড়িয়েই বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়েছেন। গত এগারো বছরের শিক্ষা দুর্নীতির থেকে কয়লা পাচার গরু পাচার বালি পাচার, বেআইনি পাথর খাদান কাট্মানি তোলাবাজির বিরুদ্ধে যখন রাজ্য জুড়ে ধিক্কার শুনতে হচ্ছে শাসক দল অ সরকারকে। ঠিক তখন চোর ধ্বনি থেকে মুখ ফেরাতেই সরাসরি দাঙ্গায় প্ররোচনা দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী আর সেটা সরকারি মঞ্চ থেকেই। কারণ সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। জিততে না পারলে লুঠ বন্ধ। সরকারও যাবে।

কিন্তু রাজ্যের বিভিন্ন পকেটে অশান্তি করে কি দুর্নীতি থেকে চোখ ফেরানো যাবে? মানুষ জানতে চাইবেই, চাকরি চুরির টাকা কোথায় গেল? ডিএ-র টাকায় দান খয়রাতি খেলা মেলা কেন? কারণ চাকরি চুরি শুধু শুধু হিন্দু পরিবারের হয়নি, মুসলিম ক্রিস্টান বৌদ্ধ সব বাঙ্গালির চাকরি চুরি করেছে শাসক তৃণমূল। আর তাতে রাবারস্ট্যাম্প মেরেছে তৃণমূল নেত্রী মমতার রাজ্য সরকার।