পাহাড়ে মোমো বানাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা
ছবি কথা বলে। যেমন এই ছবিটা।
সুন্দর উত্তরবঙ্গ। চা বাগান। ভিআইপি সফর। একটা স্টিল ছবিতেই বুঝিয়ে দেওয়া সম্ভব। মুভি ক্যামেরাও কথা বলে। এদিক থেকে ওদিক। আরেকটু ক্যামেরা ঘোরালেই ছবিরা বুঝিয়ে দেয় গল্প।
সে ভিআইপি হোক বা তাঁর সিকিউরিটি!
আজকের পাহাড়ের ছবিটা যেমন। আওয়াজ ইত্যাদি কমিয়ে দিলে...বিপদ নেই!
নিরীহ-মন-মুগ্ধ-করা ছবি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাহাড়ের এক ঘরে পাহাড়ি এক পরিবারের সঙ্গে বসে মোমো বানাচ্ছেন।
কিন্তু আওয়াজ বাড়ালেই সব্বোনাশ!
শুনলেন তো কি বলছেন মুখ্যমন্ত্রী! মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ফোটোগ্রাফারদের নির্দেশ দিচ্ছেন "চটপট তুলে নে..."
আরেকবার শুনুন।
তাহলে বুঝতে পারছেন পুরোটাই নাটক ! মাননীয়া পোজ দিচ্ছেন। ক্যামেরাম্যানেরা ছবি তুলছেন। এবং তারপর এই ছবি ছড়িয়ে যাবে সর্বত্র। ভাইরাল হবে। সবাই জানবেন...আহা রে, মাননীয়ার জনসংযোগ।
গত বিধানসভা নির্বাচনে পাহাড় মুখ ফিরিয়েছে তৃণমূল দলের থেকে। তৃণমূলের পার্টনার হিসেবে কাজ করা গজমুমোর ফলাফলও তথৈবচ।
বরং তাঁদের বিরোধিতা করে উঠে এসেছে উঠে এসেছে হামরো পার্টি।
ফলে তেইশের পঞ্চায়েত আর ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে নতুন করে পায়ের তলার মাটি খুঁজতে পাহাড়ে মুখ্যমন্ত্রী।
এক ঢিলে দুই পাখি মারা হল। সমতলে বিজেপির রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে এড়ান গেল। আর পাহাড়ে বর্ষা দেখাও হল জনসংযোগও হল।
কিন্তু তা বলে এমন কেউ করেন?
কে বোঝাবেন মুখ্যমন্ত্রীকে? মুভি ক্যামেরা চলার সময় কথা কইতে নাই। তাহলেই উদ্দেশ্য বিধেয় হয়ে যায়। সিনেমা ধরা পড়ে গেছে।