WhatsApp_Image_2023-03-31_at_2158.06
"ওখানে সব চোর-ডাকাতরা বসে আছে...কো অর্ডিনেশন কমিটি সব কিছু করতে পারে" (৩০মার্চ, ২০২৩, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রী,ধরনা)
ধরনার প্রথম দিনেও, ২৯মার্চ, ২০২৩, এমন কটু বাক্য বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কাদের উদ্দেশ্যে বলা। যারা তাঁর সরকারের কর্মচারী। যাদের হাত ধরে রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলির সাফল্য আসে।
এমন সময় মুখ্যমন্ত্রী এই কথা বলছেন যখন ডিএ-র দাবি আন্দোলনে রাজ্য সরকারি কর্মচারিরা। গোটা দেশে যখন বেশির ভাগ রাজ্য কেন্দ্রীয়হারে মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ পাচ্ছেন ঠিক তখন বাংলার কর্মচারিরা পাচ্ছেন মাত্র ৬%। কেন্দ্রীয় হারের তুলনায় পিছিয়ে প্রায় ৩৬%। অর্থাৎ এক-তৃতীয়াংশ বেতন কম পাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গে কর্মচারিরা। ন্যায্য ডিএ-র দাবিতে ৮২দিন আন্দোলনে রাজ্য সরকারি কর্মচারিরা। আর মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষ তাঁদের আন্দোলন নিয়ে। কর্মচারিদের দাবি মাত্র তিনটে।
-------রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের দাবি
কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘভাতা বা ডিএ দিতে হবে
শূন্যপদে নিয়োগ করতে হবে
চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের স্থায়ীকরণ করতে হবে
২০১১ সাল। বামফ্রন্ট সরকারের সময়ে বিধায়কদের ভাতা ছিল দৈনিক ৭৫০ টাকা। মুখ্যমন্ত্রীর মাসিক বেতন ছিল ৮,৫০০ টাকা, মন্ত্রীদের ৭,৫০০ টাকা।
২০২৩, এখন মুখ্যমন্ত্রীর মাসিক বেতন বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা। এছাড়া বিধায়ক ভাতা বাবদ প্রাপ্য টাকা এর সঙ্গে যুক্ত হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেতন ও ভাতা বাবদ মাসে পান ২লক্ষ ৯৮ হাজার টাকা। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা বেতন ও ভাতা বাবদ যা পান, তা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর তুলনায় ঢের কম।
২০১১ সালে রাজ্যের শাসন ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। তারপর থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনবার মন্ত্রী ও বিধায়কদের বেতন, ভাতা বেড়েছে। ২০১৯ সালে বিধায়কদের দৈনিক ভাতা বাড়িয়ে করা হয় ২,০০০ টাকা। মন্ত্রীদের ৩,০০০ টাকা। অর্থাৎ দৈনিক ভাতা বাবদ মাসে বিধায়কদের প্রাপ্তি ৬০,০০০ টাকা, মন্ত্রীমশাইদের ৯০,০০০ টাকা। তখন থেকেই পূর্ণমন্ত্রীরা ২২,০০০ টাকা বেতনসহ সব মিলিয়ে পান ১,১২,০০০ টাকার বেশি। রাষ্ট্রমন্ত্রীরা সামান্য কম, আর বিধায়করা পান প্রায় ৮২,০০০ টাকা।
গত ১২ বছরে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুধু বেতন বেড়েছে ১৩৭৬.৪৭% ! দৈনিক ভাতা বেড়েছে ৭৫০টাকা থেকে ৩৫০০টাকা। অর্থাৎ ৬৬৬.৬৬% শতাংশ। অথচ সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কর্মচারীরা প্রতিমাসে ৩০ দিন কাজ করে মাত্র ২০ দিনের বেতন পান। বকেয়া ডিএর অধিকারের কথা জানাতে গেলেই আদালতে রাজ্য সরকার। দৈনিক ২২লক্ষ টাকা এপিয়ারেন্স ফি যেই আইনজীবীর সেই মুকুল রোহতগীকে কর্মচারিদের অধিকারের বিরুদ্ধে নিয়োগ করে সরকার।
মুখ্যমন্ত্রীর সহ বিধায়ক মন্ত্রীদের বেতন ভাতা বাড়বে। বাড়ুক। কিন্তু কর্মচারিরা ডিএ বা মহার্ঘভাতা পাবেন না কেন? কেন ৩ লক্ষ পদ বিলোপ করেছে এই সরকার? তাঁর বদলে যারা কাজ করছেন তাঁরা চুক্তি ভিত্তিক। সিভিক কর্মচারি। সরকারের কর্মচারিরা বকেয়া ডিএ, শূন্যপদে নিয়োগ, আর চুক্তি ভিত্তিক কর্মচারিদের স্থায়ীকরণের দাবিতে আন্দোলন করছেন। সার্বিক এই দাবিতেই এখন কর্মচারিদের পাশে এককাট্টা রাজ্যের সব বিরোধী রাজনৈতিক দল। আর তাতেই খেপেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
কটূকাটব্য করছেন নিজের কর্মচারিদের। ডাকছেন চোর-ডাকাত বলে।
Tags:
Mamata Banerjee
CM Mamata
Madhyom
DA
CM Mamata Banerjee
bangla news
Bengali news
CM
Salary
mamata banerjee speech
mamata banerjee news
state govt employees
DA Protest
Mamata Banerjee on DA
mamata banerjee dharna
da dharna
dharna for da
mamata banerjee nand lal
DA mamata
mamata da
increased
salary and allowances
allowances
increased salary and allowances
state government employee on da protest
dearness allowances
employees
da demand
protest for da