"এত লোভ কিসের?" নদিয়ায় কাদের বললেন মমতা?
খুবই রেগে গেছেন নেত্রী। কিন্তু কাকে ইঙ্গিত করলেন তিনি? নদিয়ার সাংবাদিকরা বলছেন, তৃণমুলের গোষ্ঠী লড়াই দেখে রীতিমত হতাশ নেত্রী। তাই এবার প্রকাশ্য সভা থেকে জেলার নেতাদেরই হুমকি। কাজ করতে হবে না। ঘরে বসে থাকুন। নতুনদের দায়িত্ব দেব। ৩৬মিনিটের বক্তব্যে এই প্রথমবার হাততালি পেলেন নেত্রী।
নদিয়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। বারে বারে কংগ্রেস ভেঙে দল বাড়িয়েছেন মমতা। যে শংকর সিং একসময় সবচেয়ে বেশি প্রতিরোধ তৈরি করেছিলেন, তাঁকে দল বদল করিয়ে ষোলকলা পূর্ণ করিয়েছিলেন মমতা। কারিগর ছিলেন মুকুল রায়। সেই মুকুল রায় এখন অসুস্থ তবু তাঁকেই সামনে এনে নদিয়ারা হাল ফেরানোর চেষ্টা। বানিয়ে দিয়েছেন জেলায় দল পরিচালনায় কো-অর্ডিনেশন কমিটি। তাঁর কোন মাথা নেই। সবাই নেতা। সাংসদ বিধায়ক থেকে জেলা পরিষদ পঞ্চায়েতের নেতা জেলা সভাপতি সবাই আছেন কো-অর্ডিনেশনে। ফল যা তাই। কে কাকে মানবে?
গত বিধানসভা আর লোকসভা নির্বাচনে নদিয়ায় প্রায় সাফ হয়ে গেছে তৃণমূল। রানাঘাট দক্ষিণে একটা ছাড়া পা রাখার জায়গা নেই তৃণমূলের। মতুয়ারা তাঁকে আর বিশ্বাস করছেন না। যে মতুয়া তাস বাংলার রাজনীতিতে প্রথমবার খেলে সাফল্য পেয়েছিলেন মমতা। সেই মতুয়ারা বুঝে গেছেন মমতা দৌড় শেষ। তাঁর ওপর আকাশ প্রমাণ দুর্নিতি। তৃণমূলের পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য, নিয়োগ দুর্নীতির দায়ে আপাতত জেলে। তদন্তে উঠে আসছে কি ভাবে সুপরিকল্পিত দুর্নীতির জাল বিছিয়েছিলেন তিনি। সেই কারণেই দলনেত্রী গলায় মধ্যপ্রদেশের শিক্ষায় ব্যাপম কেলেঙ্কারির উদাহরণ। মানিকের নাম না করেও ক্লিনচিট দিলেন তাঁকে। সব দোষ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘাড়ে চাপিয়ে দিলেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রী (২৪ /১১) (যারা ভুল করবে তাঁরা সংশোধন করে নেবে)
কি সংশোধনের কথা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী আর তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী? কোটি কোটি টাকা নিয়ে লক্ষাধিক চাকরি বিক্রি করেছেন মানিক পার্থ কল্যাণময় শান্তি প্রসাদ সুবীরেশরা। সফল ন্যায্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করে অযোগ্য প্রার্থীদের স্কুলে স্কুলে চাকরি দিয়েছেন এরাই। বদলে কারো বান্ধবীর ফ্ল্যাটে ফ্ল্যাটে টাকার পাহাড়। কারও নামে ১০ বারোটা শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ। কারও চালকল তেলকল জমি জিরেত কোল্ড স্টোরেজ পেট্রল পাম্পের লাইসেন্স কামিয়ে নিয়েছেন। দলের নাম করে। তাঁদের লোভ কারা সংশোধন করবেন?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রী (এত লোভ কিসের আপনাদের?)
সত্যি তো এত লোভ কিসের তৃণমূলের জেলার নেতাদের? দোলা সেন তো সেই কবেই বলে গিয়েছিলেন, টুয়েন্ট ফাইভ নিজের কাছে সেভেন্টি ফাইভ নেত্রীর কাছে পাঠিয়ে দিতে। তাহলে কি সেই টাকাও যাচ্ছে না সর্বোচ্চ স্ত
একদিকে কল্লোল খান,অন্যদিকে মহুয়া মৈত্র। একদিকে শংকর পুত্র শুভংকর যিনি জেলার যুবনেতা ছিলেন,যাকে রাজ্যে সহ সভাপতি করে পাঠানো হয়েছে জেলার ঝগড়া কমাতে। কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী অন্যদিকে রত্না ঘোষ কর। এদিকে তাপস সাহা মাথা তোলে তো,অন্যদিকে জেলা সভাধিপতি। কাকে সামলাতে কাকে বাঁচাবেন। কাকেই বা রাখবেন? তাই তিনি অমোঘ নিদান দিয়েছেন। ঝগড়া করলে ব্রেন সেন ড্যামেজ হয়ে যায়।
কার ব্রেন সেলে কি আছে কে জানে? গত এগার বছরে কার কতটা ক্ষতি হয়েছে নেত্রীই জানেন। তবে তাঁর অসংলগ্ন ভাষণ বুঝিয়ে দিচ্ছে... ব্রেনের সেলের দুর্নীতি ঠেকাতে এখন দুয়ারে ইডি আর সিবিআই দেখেই ঘাবড়েছেন নেত্রী
Tags:
Mamata Banerjee
Madhyom
tmc
Mamata
bangla news
Bengali news
Nadia
tmc leader
greedy
greedy method
greedy tmc leader
greedy tmc
greedy king
greedy queen
greedy for money
mamata banerjee slams nadia tmc leaders
mamata on leaders of tmc
mamata banerjee on leaders of tmc
mamata banerjee on many leaders of tmc
mamata to tmc leaders of nadia
greed
bangla khabor. makes you greedy
so greedy
mamata indicates tmc leaders
indicate nadia tmc leader
nadia district