তথ্য ফাঁস মণীশের, আরও বিপদে অনুব্রত?
এলাকায় একসময় তিনি কাঁপাতেন। বীরভূমে তাঁর নামে বাঘে গরুতে নাকি এক ঘাটে জল খেত। তিনি বিরোধীদের শাসাতেন। জনগণকে শাসাতেন। শাসাতেন পুলিশকেও। তিনি বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। কোন সাহসে এত উদ্ধত ছিলেন তিনি? কার অভয় হাত ছিল তাঁর মাথার ওপর? চলুন ফের শোনা যাক, কীভাবে শাসন করতেন তিনি।
বিরোধীদের অভিযোগ, একদিকে কয়লা পাচার, অন্যদিকে গরু পাচার। ঘুরপথে অন্ধকার সাম্রাজ্যকে প্রশাসনিক সিলমোহর দেওয়ার পাঞ্জা তুলে দেওয়া হয়েছিল অনুব্রতের হাতে। তাই সুযোগ থাকলেও সাংসদ হতে চাননি তিনি। মল্লভূমের বেতাজ বাদশা হয়ে টাকা তুলতে চেয়েছেন। কিন্তু সেই টাকা যেত কার কাছে? সেই রহস্য উদ্ধার করতেই দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে অনুব্রতর রাঁধুনি বিজয় রজককে। তাঁকে জেরা চলছে। ২০ মার্চ ফের তলব করা হয়েছে অনুব্রতর কন্যাকে। এরমধ্যেই জেরার মুখে মুখ খুলেছেন অনুব্রতর চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মণীশ কোঠারি। ইডি সূত্রে খবর, মণীশ জানিয়েছেন, গরু পাচারের কালো টাকাতেই সুকন্যার নামে ১৬ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট করা হয়। বাকি টাকা কোথায় গেছে, তা জানার জন্যই এখন অনুব্রতর মুখ খোলানোর প্রয়োজন। প্রয়োজন বাবা-মেয়ের মুখোমুখি জেরা। সেখানে হয় অনুব্রতকে স্বীকার করে নিতে হবে, সবকিছুর মূলে তিনি। না হলে জানিয়ে দিতে হবে কার কাছে তিনি টাকা পাঠিয়েছেন। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। কার নির্দেশে বীরভূম ও পার্শ্ববর্তী জেলা জুড়ে একের পর এক বেআইনি কারবার ফেঁসে বসেছিলেন অনুব্রত, কার অঙ্গুলি হেলনে কেলেঙ্কারির কালো টাকা লাগানো হয়েছিল আইপিএলে, সবকিছুই উদ্ধারের চেষ্টায় গোয়েন্দারা। দিল্লির এই জেরা পর্বের দিকে তাকিয়ে বাংলাও। কারণ রাজ্যবাসীও জানতে চায় পিরামিডের মাথায় কে।
Tags: