ছাত্র বিক্ষোভে মেডিকেল কলেজে অচলাবস্থা
শিক্ষার মতো এবার কি স্বাস্থ্যেও বেহাল ছবি (poor health condition) রাজ্যে (west bengal) ? দু দিন ধরে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে (calcutta medical college) যে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, তাতে এই প্রশ্ন উঠছে। ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে সোমবার দুপুর থেকে হাসপাতালে চলছে বিক্ষোভ (student agitation) । অধ্যক্ষ সহ বিভাগীয় প্রধানদের আটকে রাখা হয়েছে। ডাক্তারি ছাত্রদের এই বিক্ষোভকে ঘিরে অশান্তি দানা বাঁধছে হাসপাতাল চত্বরে। পরিষেবা না পাওয়ার অভিযোগে ইট দিয়ে তালা ভেঙে প্রশাসনিক ব্লকের ভিতর ঢোকার চেষ্টা করেছেন রোগীর আত্মীয়রা। পুরো হাসপাতাল জুড়েই অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। অবিলম্বে স্বাস্থ্য দফতরের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন বিশিষ্ট চিকিৎসকরা।
কিন্তু কেন তৈরি হল এই অবস্থা? ২০১৬ সালে এখানে শেষবার ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছিল। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, ২২ ডিসেম্বর নির্বাচন নিয়ে বিস্তারিত জানানো হবে। কিন্তু ফের তা পিছিয়ে যায়। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মেডিকেলের ছাত্রছাত্রীরা। কলেজ কর্তৃপক্ষের মতে, তাঁরা ছাত্রদের দাবি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করছেন। কিন্তু এর জন্য সরকারের তরফে যে সদিচ্ছার প্রয়োজন সেটাই নেই বলে অভিযোগ উঠছে। ফলে বোঝা যাচ্ছে, সবকিছু গুলিয়ে দেওয়ার পিছনে সরকারের গাফিলতিই দায়ী। রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভার ভোট যেমন বকেয়া, তেমনি বিভিন্ন সংস্থাতেও এক ছবি।
অনেকে অভিযোগ তুলছেন, রাজ্যে গণতান্ত্রিক পরিবেশই নেই। গণতন্ত্রের নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট সময় অন্তর যে কাজগুলি হওয়া উচিত, কোনও এক অদৃশ্য অঙ্গুলি হেলনা তা স্তব্ধ হয়ে রয়েছে। সিদ্ধান্ত হীনতায় ভুগছে গোটা সরকার। আর তার ফল ভুগছে গোটা রাজ্য। শিক্ষায় যেমন সামনে এসেছে একের পর এক কেলেঙ্কারি, তেমনি স্বাস্থ্যেও ছড়াচ্ছে উত্তেজনা। পড়ুয়াদের আন্দোলনে চিকিৎসা ব্যবস্থা যেমন ব্যহত হচ্ছে, তেমনি এই পরিস্থিতি কেন তৈরি হল, তার দায় কার, সেই প্রশ্নও সামনে আসছে।