অর্পিতার স্বীকারোক্তি, নীরবতা দলে সরকারে
বিস্ফোরক অর্পিতা। সবাই যখন হাত তুলে নিচ্ছে, তখনই মুখ খুললেন পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। যে অর্পিতার নামে একাধিক বাড়ি ফ্ল্যাট রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে । কখনও রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যৌথ নামে। কখনও একলার নামে। ইডির জেরায় অর্পিতা জানিয়েছেন,
গ্রাফিক্স ইনঃ
----জেরায় স্বীকারোক্তি অর্পিতার
"ফ্ল্যাটে টাকা ছিল সেটা আমি জানতাম। কিন্তু এতো টাকা রাখা হয়েছে সেটা আমি জানতাম না। ..."
গ্রাফিক্স আউটঃ
টালিগঞ্জের ডায়মণ্ড প্লাজার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল ২১কোটি ৯০ লক্ষ, প্রায় ৫৬লক্ষ বিদেশি টাকা, দু'কোটির ওপর গয়না। আর বেলঘরিয়ার ক্লাব টাউনের একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ, প্রায় চার কোটি মূল্যের সোনার গয়না।
মুখ খোলেননি দলনেত্রী ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরও। চার নেতাকে বসিয়েছিলেন সাংবাদিকদের সামনে। তাঁরা যথারীতি দায় ঝেড়ে ফেলে দিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন যার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে টাকা দায় তাঁর।
বাইটঃ
মন্ত্রীর সহযোগী হিসেবে, যাবতীয় সুযোগ সুবিধা পেয়েছিলেন অর্পিতা। এতে সন্দেহ নেই। গড়িয়াহাটের বস্ত্রবিপনীর মডেলের সঙ্গে দেখা যেত পার্থকেও। আবার নাকতলা উদয়ন সংঘের পুজোর মুখ ছিলেন অর্পিতা। যার চেয়ারম্যান পার্থ চট্টোপাধ্যায় স্বয়ং। জোড়ে ডাকা হত তাঁদের। মন্ত্রী আর আর মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ অর্পিতাকে। এখন দায় ঝাড়লে চলবে কেন? ফলে মুখ খুলেছেন অর্পিতা।
গ্রাফিক্স ইনঃ
----জেরায় স্বীকারোক্তি অর্পিতার
"...পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কড়া নির্দেশ ছিল, যে ঘরে টাকা রাখা হয়েছে, সেই ঘরে আমি ঢুকতে পারবো না। আমি কোনোদিন ঢুকে দেখিনি কত টাকা রাখা আছে।..."
গ্রাফিক্স আউটঃ
ঘনিষ্ঠতা থাকলেও ঐ বিপুল টাকার বিষয়ে সতর্ক ছিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জানতেন কম বয়সী বান্ধবীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়া যায় কিন্তু সেই অর্থের ভাগ দেওয়া যায় না। তাহলে কি দোলা সেনের সেই উক্তিটাই সত্য ঐ টাকার ৭৫ শতাংশের ভাগ দিতে হত দলের ওপরতলায়? নাকি মহাসচিব বলে তাঁর কাছেই চাকরিবেচা সমস্ত কালো টাকা রাখার দায়িত্ব দিয়েছিলেন দলনেত্রী?
কারণ ইডি-র জেরার জবাবে অর্পিতা যা জানিয়েছেন তাঁর তৃতীয় লাইনটি আরও মারাত্মক,
গ্রাফিক্স ইনঃ
----জেরায় স্বীকারোক্তি অর্পিতার
"...পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কর্মীরা আসতেন টাকা নিয়ে বিভিন্ন সময়। তারাই ওই ঘর খুলে টাকা রেখে চলে যেতেন। ..."
গ্রাফিক্স আউটঃ
তাহলে কি দলের চাকরি বিক্রির যাবতীয় টাকাই গচ্ছিত ছিল দলের মহাসচিবের কাছে? নেত্রীর নির্দেশেই? সেই টাকায় ইডির হাত পড়েছে বলে ৭২ ঘন্টার নীরবতা নেত্রীর। বাকি টাকার হদিশ খুঁজতে সময় নষ্ট। যে দলে নেত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে একটা পাতাও নড়ে না যে দলে নীচ থেকে ওপর পর্যন্ত সকল বক্তা তারই অনুপ্রেরণায় চলেন সেখানে মহাসচিব বিনা নির্দেশে অন্য পথে হাঁটেন কি করে? সেই কারণেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কর্মীরা আসতেন টাকা নিয়ে। গুছিয়ে রাখতেন, চলে যেতেন। কিন্তু সেই ঘরে ধোকার অনুমতি ছিল না তাঁর! যা জানিয়েছেন অর্পিতা।
কারণ নিজের মামাবাড়ি হুগলীর জাঙ্গিপাড়াতেও নতুন বাড়ি করে এখনো ৭ লক্ষ ধার মেটাতে পারেননি অর্পিতা।
আবার প্রাক্তন বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারিও জানিয়েছেন, ২০০ বিধায়ককে ৫/৬টা করে নাম শিক্ষক নিয়োগে পাঠানোর জন্য রীতিমত দলীয় নির্দেশ ছিল। তাহলে, সাংসদের জন্য কটা করে নাম পাঠানোর কোটা ছিল। অন্তত পাঁচ সাত্তে পঁয়ত্রিশটা? জেলা সভাপতিরা কতজনের নাম পাঠিয়েছিলেন? নিশ্চয় আরও অনেক বেশি! জেলার মাপ অনুযায়ী কম বেশি হতে পারে।
কোটার কথা স্বীকারও করেছেন দলনেত্রী বঙ্গবিভূষণ পুরস্কারের অনুষ্ঠানেই জানিয়েছিলেন, চাকরি তো নিজের পছন্দ মতই দিতে হয় পছন্দের লোককে।
তাহলে যোগ্যতা মান পরীক্ষা পাশের নম্বর ডিগ্রী ট্রেইনিং কিচ্ছু নয়, স্রেফ টাকার জোরে চাকরি কেনা? যার যত টাকা সে তত কাছের থুরি পছন্দের।
অতএব সেখানে দলের মহাসচিব, তিন-তিনটে দফতরের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী , ভাইপোর রাজনৈতিক গুরু পার্থ চট্টোপাধ্যায় কি ব্যবহার করেছিলেন উঠতি নায়িকা মডেল অর্পিতাকে। সেই কারণেই এই স্বীকারোক্তি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের?
-----------------------
------জেরায় স্বীকারোক্তি অর্পিতার
ফ্ল্যাটে টাকা ছিল সেটা আমি জানতাম। কিন্তু এতো টাকা রাখা হয়েছে সেটা আমি জানতাম না। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কড়া নির্দেশ ছিল, যে ঘরে টাকা রাখা হয়েছে, সেই ঘরে আমি ঢুকতে পারবো না। আমি কোনোদিন ঢুকে দেখিনি কত টাকা রাখা আছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কর্মীরা আসতেন টাকা নিয়ে বিভিন্ন সময়। তারাই ওই ঘর খুলে টাকা রেখে চলে যেতেন। তাই এই বিষয়ে যা বলার পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলতে পারবেন।
---------------------
তাহলে কি অধ্যাপিকা থেকে লম্ফ মেরে হেড ডিপ, কিম্বা প্রিন্সিপাল অথবা অধ্যক্ষ বনে যাওয়া বাকি চার পাঁচ ছয় ঘনিষ্ঠকেও কি ব্যবহার করতেন পার্থ? দলের কারণে। ক্ষমতার প্রভাবে? দল আর দলনেত্রীকে বাঁচাতে?
মাধ্যম ব্যুরো রিপোর্ট
Tags:
bjp
tmc
Suvendu Adhikari
Mamata
Dilip Ghosh
bangla news
Bengali news
CPIM
CONG
bangla news live
bengali news live
Arpita Mukherjee
Partha
Arpita
arpita mukherjee news
arpita mukherjee ed
arpita mukherjee ed raid
ed raid arpita mukherjee
ed raid arpita mukherjee house
arpita mukherjee 20 crore rupees
ed raids arpita mukherjeec
arpita mukherjee 20 crore cash
arpita mukherjee actress
arpita mukherjee singer
arpita mukherjee live
20 crore cash arpita mukherjee
partha mukherjee arpita mukherjee
arpita mukherjee arrest