কল আছে জল নেই, শাসকের হুঁশ নেই?
কল আছে কিন্তু জল নেই। মাসের পর মাস এভাবেই হাপিত্যেশ করে বসে আছেন শান্তিপুরের এই এলাকার মানুষ। কোথাও আবার পানীয় জলের কল ঢাকা পড়ে গেছে আগাছার মধ্যে। এই ছবি নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুরের পঞ্চায়েত এলাকার। বেলঘড়িয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের চাপাতলা এলাকার বাসিন্দাদের পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে হাজারো অভিযোগ। চাপাতলা এলাকাতেই এই আদিবাসী গ্রাম। ঘরে ঘরে করুণ ছবি। হাতে গোণা কয়েকজন আবাস যোজনার ঘর পেলেও বেশিরভাগ মানুষই ভাঙা ঘরে বাস করেন। ঝড়বৃষ্টির মধ্যে দিন কাটে আতঙ্কে। দিনআনা দিন খাওয়া সংসারে কখনও কখনও জলও কিনে খেতে হয়।
একদিকে যেমন জলের সমস্যা, সমস্যা তেমনি রাস্তাতেও। এলাকার প্রধান রাস্তাই বেহাল হয়ে পড়ে আছে। ভোটের সময় শুধু গ্রামে না এসে, জন প্রতিনিধিরা কেন পাঁচ বছর ধরে এদিকে নজর দেন না তা নিয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করেন এলাকার প্রবীণ নাগরিক।
কেন নজর নেই জন পরিষেবায়? কোথায় গাফিলতি? তৃণমূলের স্থানীয় গ্রাম প্রধান স্বীকার করে নিয়েছেন জলের সমস্য়ার কথা। তবে তাঁর দাবি, পঞ্চায়েতে যে পরিমাণ অর্থ পাওয়া যায়, বড় উন্নয়ন করতে সমস্যা হয়। যদিও বিজেপির দাবি, ১০০ দিনের কাজ থেকে বয়স্ক ভাতা, কোনও কিছুই ঠিকভাবে পায় না এলাকার মানুষ।
২০১৮ থেকে ২০২৩। মাঝে পেরিয়ে গেছে পাঁচটা বছর। ফের সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। কিন্তু এখনও চরম দুর্দশায় দিন কাটছে শান্তিপুরের বহু মানুষের। তাদের একটা কথাই বিদ্রুপের মতো ভাসছে নদিয়ার আকাশে - ভোট আসলেই ওরা আসে। তখন তো ওদের দরকার, না!