জাগো বাংলার শারদ সংখ্যা প্রকাশ অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
পুজোর মুখে দলীয় মুখপত্রের শারদসংখ্যা প্রকাশ। আর সেই মঞ্চেও মমতাকে তাড়া করে ফিরল শাসক দলের কেলেঙ্কারির কথা। মুখ্যমন্ত্রী জানেন, একুশে জুলাইয়ের পর থেকে রাজ্য জুড়ে একটাই আলোচনা। তৃণমূল নেতাদের ঘরে যকের ধন। কেলেঙ্কারি ধামাচাপা দিতে তাই বিভিন্ন পুজো মণ্ডপে গিয়ে মেজাজ হারাচ্ছেন তিনি। স্তোত্রপাঠ করতে গিয়ে বারবার হোঁচট খাচ্ছেন। রবিবার নিজেকে ডিফেন্ড করতে গিয়ে তিনি বলেই ফেললেন, ধোয়া তুলসী পাতা কেউ নয়।মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যেই শুরু হয়ে গেছে কানাঘুষো। তাহলে কি নিজেদের পাপ স্বীকার করে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী? তাঁরা যে ধোয়া তুলসী পাতা নন, সেকথাও প্রকাশ্যে বলে ফেললেন?
মুখ্যমন্ত্রী এব্যাপারে সামনে এনেছেন বাম জমানার কথা। তিনি নাকি প্রতিশোধ নেননি। ক্ষমা করে দিয়েছেন। কিন্তু শাসকের কাজ কি তাই? যে রাজা দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালন করেন না, তিনি কি প্রকৃত শাসক? বাম জমানায় যদি কেলেঙ্কারি কেউ করে থাকেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেননি কেন মুখ্যমন্ত্রী? এভাবে কি অজুহাত খাড়া করা যায়? নিজের খামতিকে স্বীকার করে নিয়ে কি তিনি বুঝিয়ে দিলেন, যে প্রকৃত শাসকের কাজ তিনি কোনও দিনই করেননি?
মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের অবশ্য তীব্র সমালোচনা করেছেন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য থেকে সুজন চক্রবর্তী। মুখ্যমন্ত্রী যে কমিশনগুলি তৈরি করেছিলেন, তার রিপোর্ট কোথায় জানতে চেয়েছেন সুজন। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, সব জেনেবুঝেই কি কেলেঙ্কারি ধামাচাপা দেওয়ার কৌশল রপ্ত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? শাসকের কেলেঙ্কারি সামনে আসাতেই কি তিনি বলতে চাইছেন, কেউ ধোয়া তুলসিপাতা নয়? বাম শাসনে হাজারো প্রশ্ন ওঠাতেই তো জনগণ বিকল্প চেয়েছিল। সে কথা কি ভুলে যাচ্ছেন তিনি?