পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান নিয়োগ নিয়ে আদালতে বিজেপি
এই উচ্ছ্বাস রায়গঞ্জের। উৎসবের কারণ পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছেন কৃষ্ণ কল্যাণী। আনন্দে যারা বাজি ফাটাচ্ছেন তারা কেউই তৃণমূল নন। বিজেপিও নন। তারা শুধুই দাদার অনুগামী!
তাহলে বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর আসল অবস্থান কি? তিনি বিজেপির প্রতীকে জিতেছিলেন। বিধানসভায় বিজেপিকে জিতিয়েছিলেন রায়গঞ্জ মানুষ। ভোটের পরই প্রার্থীর ভোলবদল। কৃষ্ণ কল্যাণী চলে আসেন তৃণমূলে। অর্থাৎ বিজেপির সমর্থকের আশা ভরসার জয়ী প্রার্থী দলবদলে, তৃণমূলে। বিধানসভার ভিতরেও তিনি এখন বসেন সরকারি বেঞ্চে। সেই কৃষ্ণ কল্যাণীকেই বিধানসভার 'পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি'র চেয়ারম্যান বেছে নিয়েছেন স্পিকার। ফলে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক।
এর আগেও দলবদলু মুকুল রায়কে পিএসি-র চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন বিধানসভার স্পিকার। যদিও সংসদীয় গণতন্ত্রের নিয়ম অনুযায়ী, পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যানের পদটি বিরোধী দলের। রাজ্যের মানুষের জন্য বরাদ্দ অর্থের সঠিক প্রয়োগ ব্যবহার হচ্ছে কিনা সেটা দেখাই পিএসি-র কাজ। ফলে প্রধান বিরোধীদলের নেতার কাছেই পিএসি চেয়ারম্যানের জন্য নাম চাওয়া হয়। সে রীতিনীতি এখন মানাই হয় না। অভিযোগ রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর।
যদিও পালটা কৃষ্ণ কল্যাণীর দাবি স্পিকার তাঁকে এই ক্ষমতা দিয়েছেন। স্পিকার তাঁকে নিয়োগ করেছেন এটা যেমন সত্য। তেমনই সত্য বিজেপির পক্ষ থেকে দলবদল করা বিধায়কদের বিধায়ক পদ খারিজ করার চিঠি পেয়েও এখনও কোন ব্যবস্থা নেননি সেই স্পিকারই। পিএসি নির্বাচনের গোটা প্রক্রিয়াটাকেই তামাশায় পরিণত করেছে তৃণমূল। অভিযোগ বিজেপির।
তাহলে, কৃষ্ণ কল্যাণী এখন কোন দলের সদস্য? বিধানসভার বাইরে তৃণমূল আর ভিতরে...? তাঁকে তো সরকারি বেঞ্চেই বসতে দেখা যাচ্ছে নিয়মিত। তাহলে কৃষ্ণ কল্যাণী কি করে বিরোধী দলের বিধায়ক হন? এবার কি তবে বিধানসভায় দলবদলকারীদের জন্য অন্য সিট খুঁজতে হবে? গোটা বিষয়টা নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।