পিএফআই কী ধরনের সংগঠন
দেশজুড়ে ১৫ রাজ্যে তল্লাশি। গ্রেফতার ১০৬। যার মধ্যে রয়েছে এরাজ্যেরও অনেকে। এনআইএ (NIA) - ইডি তদন্তের ঘটনায় নতুন করে উঠে এসেছে একটি নাম। পিএফআই বা পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI)। ২০০৬ সালে আত্মপ্রকাশ করে এই সংস্থা। সিমির কায়দায় দেশজুড়ে উগ্রপন্থা ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে এই সংগঠনটির বিরুদ্ধে। অন্তত চারটি জঙ্গি হানার পিছনে পিএফআইয়ের প্রত্যক্ষ যোগ আছে। ভারতে তালিবানি উগ্রপন্থা ছড়ানোও এর লক্ষ্য বলে জানাচ্ছে এনআইএ। আর তাই একযোগে দেশজুড়ে তল্লাশি। বাজেয়াপ্ত দেড়শোর বেশি মোবাইল ফোন, কম্পিউটার ও অন্যান্য নথি। মূলত কর্ণাটক ও কেরলে পিএফআইয়ের বেসক্যাম্প থাকলেও সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গেও অতি সক্রিয় হয়ে উঠেছে এই সংস্থা। যা চমকে দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকেও।
একদিকে আসাম, অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ। এই দুই রাজ্যেই ক্রমশ মাথা চাড়া দিচ্ছে পিএফআই। আসাম থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের পিএফআই সাধারণ সম্পাদক মণিরুল শেখকে। তাঁর সঙ্গেই ধরা পড়েছেন আরও ১১ জন পিএফআই নেতা ও সদস্য। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, গত ১০-১১ বছরে তৃণমূল সরকারের আমলে পশ্চিমবঙ্গের ৫-৬টি জেলায় ব্যাপকহারে বেড়েছে পিএফআইয়ের সক্রিয়তা। খোদ কলকাতার বুকেও ট্রেনিং ক্যাম্প করে ক্যাডার নিয়োগ করেছে তারা। ২০০৯ সালে মুর্শিদাবাদে প্রথমে কাজ শুরু করে তারা। এরপর ছড়িয়ে পড়ে দুই ২৪ পরগনা, মালদহ,নদিয়া, বীরভূম, হাওড়া, কলকাতা এবং উত্তর দিনাজপুরে। সব মিলিয়ে কয়েক হাজার ক্যাডার নিয়োগ করেছে তারা। আছে হোলটাইমারও।
প্রথম ৫-৬ বছর পিএফআই কিছুটা আড়াল থেকেই কাজ করত। কিন্তু সিএএ-র বিষয়টি সামনে আসার পর এ রাজ্যেও তারা প্রকাশ্যে এসে পড়ে। ২০১৯ সালে রামমন্দির নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর মুর্শিদাবাদে কয়েকশো ক্যাডার নিয়ে প্রতিবাদ মিছিল করে পিএফআই। ইদানীং কলকাতার পার্ক সার্কাস সহ মালদা,মুর্শিদাবাদ, বীরভূমে লিফলেটও বিলি করছে তারা। নেতাদের ধরপাকড়ের পরই এদিন মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জে অবস্থান বিক্ষোভে বসে পিএফআই। ধৃতদের মুক্তির দাবিতে বিডিও অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখায়।
তদন্তকারী সংস্থার দাবি, কলকাতায় অফিস থাকলেও বহরমপুরের বাখুরি গ্রামে পিএফআইয়ের সদর দফতর। সেখান থেকে রাজ্যজুড়ে কাজের নিয়ন্ত্রণ হয়ে থাকে। কালিকট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর এক ব্যক্তি রাজ্যে পিএফআইয়ের ক্রমেই অন্যতম মাথা হয়ে উঠছে। এছাড়া রাজ্যে মাওবাদীদের শাখা সংগঠন হিসাবে পরিচিত বেশ কয়েকটি সংস্থার সঙ্গেও পিএফআই নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠতার খবর পাওয়া যাচ্ছে। যে ভাবে গত কয়েক বছরে ১৭টি শাখা খুলে পিএফআই বাংলায় তাদের ক্যাডার নিয়োগ করেছে তাতে পরিস্থিতি ঘোরালো হতে পারে বলে জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিএএ বিরোধী আন্দোলনে রাজ্যে ট্রেন জ্বালানোর ঘটনায় পিএফআইয়ের সক্রিয় ভূমিকা ছিল। সেকারণে বাংলা নিয়েও বিশেষ পদক্ষেপ করতে চলেছে এনআইএ, ইডি এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি।
Tags:
PFI
PFI West Bengal
pfi in west bengal
wb pfi
what is pfi
what is pfi in india
nia raids pfi
pfi raid
nia raids at pfi offices
nia raid on pfi office
nia raids on pfi
pfi news
pfi raid bengal
pfi raids
pfi news today
raid on pfi
nia raids at sdpi pfi offices
pfi protest
pfi protest murshidabad
nia raid on pfi sdpi
pfi nia raids
west bengal pfi general sectery arrest