পরিবারের সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলায় আতঙ্কে মমতা?
সম্পত্তি মামলায় এবার নিজের পরিবারের সঙ্গেই দূরত্ব বজায়ের চেষ্টা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পষ্ট বললেন, কারুর সঙ্গে কারুর সম্পর্ক নেই। অর্থাৎ যে যা সম্পত্তি করেছে, সেটা তার নিজের ব্যাপার। কিন্তু হঠাৎ কেন একথা বলতে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী? কারণ তাঁর পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তির হিসেব চেয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। বয়ানে লেখা হয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত গরীব পরিবার থেকে উঠে এসেছেন। তাঁর ৬ ভাই আছেন। ২০১১ সালের পর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সম্পত্তি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। অভিযোগ যা উঠেছে, তাতে স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে, ক্ষমতার অপব্যবহার হয়েছে। দিদি মুখ্যমন্ত্রী, সেই সুযোগে ৬ কোটির সম্পত্তি হাতানো হয়েছে ১ কোটি ৩০ লাখে। এরকম একাধিক অভিযোগ উঠেছে। আর সেকথা কানে যেতেই পরিবারের লোকজনের সঙ্গে প্রকাশ্য়েই দূরত্ব বজায়ের চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সম্পত্তি যে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, এই অভিযোগ অনেকদিন ধরেই উঠছিল। ঘরের কাছে বসে তা যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরে পড়েনি, তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। খোদ কুণাল ঘোষই একসময় অভিযোগ করেছিলেন , সারদার সব টাকা রয়েছে ব্যানার্জি পরিবারের কাছে। সেই টাকাই বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার হচ্ছে বলে সন্দেহ মামলাকারীর। তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে এই বিপুল সম্পত্তির উৎসের তদন্ত করা হোক। আর কোর্টে সেই সওয়াল হতেই আশঙ্কায় ভুগছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেকারণেই পরিবারের লোকজনের কাছ থেকেও এখন দূরত্ব বাড়াবার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ বিরোধীদের।