WhatsApp_Image_2022-12-10_at_2041.22
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে আবার বিপাকে রাজ্য সরকার।
এবার প্রকাশ্যে এলো এক অঙ্গনওয়ারি কর্মীর অভিযোগ জানানো আর চাপের মুখে সেই অভিযোগ প্রত্যাহার করার নথি। ট্যুইট করে জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এই সেই অভিযোগপত্র। যাতে লেখা আছে,
------------গ্রাফিক্স ইনঃ
সন্দেশখালির এক অঙ্গনওয়ারি কর্মী শম্পা বোস মজুমদার তাঁর কেন্দ্রে যাওয়ার সময় দিনে দুপুরে সকাল ১০ ৪৯টা নাগাদ কিছু দুস্কৃতিদের হাতে আক্রান্ত হন। দুস্কৃতিদের দাবি আবাস প্লাস যোজনার ঘরের সার্ভেতে তাঁদের নাম ঢোকাতে হবে।
অঙ্গনওয়ারি কর্মী শম্পা গোটা ঘটনা তৎক্ষণাৎ তাঁর কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা আধিকারিককে জানান, হোয়াটস অ্যাপ মারফত।
---------গ্রাফিক্স আউট
সেই হোয়াটস অ্যাপও এখন ভাইরাল সন্দেশখালি সহ রাজ্যের বিভিন্ন অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রের বিভিন্ন গ্রুপে। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই অভিযোগপত্র ফিরিয়ে নিতে বাধ্য করা হয় শম্পা ঘোষ মজুমদারকে।
এই সেই অভিযোগ প্রত্যাহারের চিঠি।
------------গ্রাফিক্স ইনঃ
যাতে লেখা আছে স্থানীয় ভাবে সমস্যার সমাধান করা হয়েছে বলে কেস ক্লোজ করা হল।
---------গ্রাফিক্স আউটঃ
এই শম্পা ঘোষ মজুমদারের ঘটনা একটা নয় উত্তর থেকে দক্ষিণ রাজ্যের সর্বত্র এমন ঘটনা ঘটছে। দফায় দফায় অভিযোগ জমা পড়ছে বিডিও এসডিও এসপিদের কাছে। আবার দ্রুত প্রত্যাহার করতে বাধ্য করা হচ্ছে।
সম্প্রতি রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে,
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি কারা পেতে পারে তাঁর সার্ভে করবেন এই অঙ্গনওয়ারি আর আশা কর্মীরা।
তাদের সার্ভে রিপোর্টের ভিত্তিতে স্থানীয় থানা ঘরে ঘরে গিয়ে পরীক্ষা করবে তথ্য সত্য কিনা।
প্রশ্ন হল আশা আর অঙ্গনওয়ারি কর্মীরা কেন? যাদের নিজেদের বেতন কাঠামোই চার সাড়ে চার হাজার থেকে শুরু হয়, যাদের নিয়োগ করা হয় ঐ নির্দিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্য থেকে? যাদের কাজের নিশ্চয়তা নির্ভর করে পঞ্চায়েতের কর্তাব্যক্তিদের অঙ্গুলের ইশারায়।
তাহলে কি তৃণমূলের নেতারা নিজেদের দুর্নীতিকে ঢাকতে এবার আশা অঙ্গনওয়ারি কর্মীদের ঢাল করেছেন। ঢাল করছেন স্থানীয় থানা আর পুলিশ কর্মীদের? যাদের পিছনে থেকে অবাধ লুঠ চালিয়ে যাবেন তৃণমূলের পঞ্চায়েতের নেতারা? আর এই কাজে হাত মিলিয়েছেন, একাংশের DM, BDO, SDO-রা। অভিযোগ, আশা,অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নামে পুরো ধাপ্পাবাজির পরিকল্পনা চালাচ্ছেন DM, BDO, SDO-রা।
এই ভয়ে দ্রুত আবাস যোজনার কাজ থেকে অব্যাহতি চাইছেন, আশা আর অঙ্গনওয়ারি কর্মীরা। এমনই দুটি চিঠি মাধমের হাতে যেখানে আবেদন করা হচ্ছে,
"কাজ করতে গেলে কাজ শুরু করার আগেই হুমকি আসছে। "
"এই সার্ভে করলে আমার হেনস্থা, সম্মান হানি ও প্রাণসংশয়ের আশঙ্কাও আছে।"
যদিও ডিএম, বিডিও এসডিও-রা তাঁদের সরকারের নির্দেশ পালন করে চিঠি পাঠাচ্ছেন আবাস যোজনার কাজে যুক্ত না হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও প্রছন্ন হুমকিও থাকছে। যদিও বিডিওরা বলছেন, এ সবই সরকারি বিধি মেনে নির্দেশ। আসল নির্দেশ ওপরতলার।
নির্দেশ ওপরতলার, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে, ঘর বা সুবিধা পাইয়ে দিতে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা আত্মসাত কর। আর ভোটে জেতাও দুর্নীতির সরকারকে। সেই বিষয়েই আজ ট্যুইট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
Tags:
Madhyom
bangla news
Bengali news
Pradhan Mantri Awas Yojana
workers
PM Awas Yojana
harassment
pradhanmantri aawas yojana
pm awas yojana gramin
awas yojana
Bangla Awas Yojana
pm awaas yojana gramin
pm aawas yojana 2023
pradhanmantri aawas yojana urban
awas yojna house
harassed
tmc harassment
fearing tmc
Fearing TMC harassment
anganwadi workers
anganwadi workers protest
anganwadi workers strike
anganwadi lady workers
anganwadi workers protest rally
anganwadi workers protest in west bengal
bengal anganwadi workers quits servey
bengal anganwadi worker quit
anganwadi
anganwadi worker
bangla anganwadi workers
anganwadi workers protests
anganwadi workers agitating
anganwadi workers in districts