নিজের দফতরে প্রধানমন্ত্রী মোদী
দেড় বছরে ১০ লাখ চাকরি। আগামী দেড় বছরে ১০ লাখ নিয়োগের লক্ষ্যে ঝাঁপাল প্রধানমন্ত্রীর দফতর। পিএমও থেকে এক ট্যুইট বার্তায় বলা হয়েছে, "কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত মন্ত্রক ও মন্ত্রণালয়ের মানব সম্পদের পর্যালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। নির্দেশ দিয়েছেন আগামী দেড় বছরে, "মিশন মোডে" ১০ লক্ষ কর্মী নিয়োগ করতে হবে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে একটা ডেডলাইন ঠিক করা হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩-এর মধ্যে নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত কাজ শেষ করে ফেলতে হবে। অর্থাৎ নিয়োগের সময়সীমা আগামি আঠারো মাস। এ বছর মার্চেই শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রকের পক্ষ জানানো হয়, দেশে গত ৫ বছরের কর্মসংস্থান ও বেকারত্ব সংক্রান্ত তথ্য ও পরিসংখ্যান থেকে উঠে আসছে, * শুধু কর্মসংস্থান সৃষ্টি নয়, কর্মহীন বা বেকার অংশের জন্য 'কাজের ক্ষেত্র' তৈরি করাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। (২০১৭-১৮ থেকে ২০২১-২২) সেই অনুযায়ী, ভারত সরকার দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে জানানো হয়েছে, ইতোমধ্যেই দেশের সরকার উদ্যোগপতিদের উৎসাহ দিতে ও দেশে বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান বাড়াতে 'আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পে'র ঘোষণা করে। এই প্যাকেজে ২৭লক্ষ কোটি টাকার বেশি ছাড় দেওয়া হয়। সরকারের দাবি, আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পে এই বিপুল ছাড়ের ফলে নতুন উদ্যোগপতিদের বিনিয়োগে উৎসাহ বেড়েছে দেশ স্বনির্ভর হয়েছে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনায়, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ১০লাখ টাকা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারি ঋণ মিলতে পারে, যার ফলে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারছেন ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। এবার সরাসরি সরকারি ক্ষেত্রে নিয়োগের ঘোষণা। একবারে ডিসেম্বর ২০২৩-এর সময় সারণী মেনে। দেড় বছরে ১০লাখ। যদিও সরকারের এই ঘোষণার বিরোধিতা করছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। তাঁদের দাবি বছরে ২কোটি চাকরির হিসেব এখনও মেলেনি। তারপর বোঝার ওপর শাকের আঁটি। কেন্দ্রীয় সরকারি দফতরে দেড় বছরে ১০লাখের নিয়োগ! তাঁদের জিজ্ঞাসা ২০২৪এ নির্বাচন বলেই কি তড়িঘড়ি নিয়োগে ঝাঁপ? যদিও সরকারের দাবি প্রতিশ্রুতি পূরণের পথেই হাঁটছেন মোদি। স্লোগানও তৈরি, মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায় ।