ব্রিস্টল পেরেছে, বাংলা পারে না,অবহেলায় রামমোহনের ভিটে
কলকাতা থেকে জাহাজে বিলেত যাত্রা করেন রাজা রামমোহন। আর ফেরা হয়নি দেশে। ইংল্যান্ডের লিভারপুল সেখানে থেকে ফ্রান্স হয়ে ফের ব্রিস্টলে। সেখানেই ১৮৩৩ সালে মারা যান মেনিঞ্জাইটিসে আক্রান্ত হয়ে।
মাঝে ১৯৮ বছর কেটে গেছে। আজও হুগলির খানাকুলে রাজা রামমোহনের বাড়িটি সংস্কার করা গেল না।
ইতিহাস বিস্মৃত বাঙালি মনে রাখেনি তাঁকে। অথচ ঐ বাড়িতে বসেই লেখা হয়েছিল সতীদাহ প্রথা বিলোপের সেই বিখ্যাত "প্রবর্ত্তক ও নিবর্ত্তকের সম্বাদ" তাও আনুমানিক ১৮১৮ সালের নভেম্বরেই। আনুউমানিক কারণ কোন তারিখ লেখা ছিল না। ঐ বছরই ২৬ ডিসেম্বর সমাচার দর্পনের খবরে এই পুস্তিকার নাম পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ১৮১৮ সালেই নভেম্বরে ৩০ নভেম্বর ঐ পুস্তিকার ইংরাজি অনুবার প্রকাশিত হয়।
খানাকুলে রামমোহনের বাড়ি আজ ধ্বংসাবশেষ। আগের সরকারের আমলে একসময় সংরক্ষণের চেষ্টা হলেও। কাজ শুরু করা যায়নি। বিরোধী রাজনীতির কারণে। ২০১১ সালে নতুন সরকার শপথ নেওয়ার পর কৃষ্ণনগর গ্রামের রামমোহনের বাড়ি ঘিরে টুরিস্ট স্পট গড়ে তোলেন। ইতিহাসকে ভুলে ঐতিহাসিক স্থানকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুললে যা হয়। তাই হয়েছে।
পর্যটন কেন্দ্রের ভিতরে খাল কেটে বৃহৎ জলাশয় তৈরি করে তাতে বোটিং চালানোর ব্যবস্থা করা হয় এছাড়াও দোলনা, স্লিপ বার সহ বাচ্চাদের খেলাধুলা করার জন্য এবং পর্যটকদের বসে সময় কাটানোর জন্য ছোট ছোট শেডসহ আরো বেশ কিছু জিনিস এই পার্কের মধ্যে তৈরি করা হয়। এছাড়াও পানীয় জলের ব্যবস্থা , শৌচালয় ও রাজা রামমোহনের একটি সংগ্রহশালাও তৈরি করা হয়। তারপর থেকে ধীরে ধীরে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সবকিছুই নষ্ট হতে বসে । বর্তমানে রাজা রামমোহন রায় পর্যটন কেন্দ্রের দেখভাল করার জন্য আট জন অস্থায়ী ঠিকা শ্রমিক কাজ করে। ২০০৫ সাল থেকে এরা আজও অস্থায়ী।
পার্কের মধ্যে থাকা রাজা রামমোহনের বাড়ির ধ্বংসাবশেষ অবহেলায় নষ্ট হতে বসেছে। সংগ্রহশালাও শূন্য পড়্রে আছে। সেখানে তাঁর বই পুস্তিকা লেখা ব্যবহারের জিনিসপত্র কিছুই নেই। দেখার কিছু নেই জানার কিছু নেই। তাই নির্জনতার সুযোগ নেয় স্থানীয় বাসিন্দারা। যারা ঘুরতে আসেন।
বেলা পাঁচটায় বাজলে ডিউটি শেষ অস্থায়ী কর্মীদের। তারা ফিরে যান বাড়িতে। ফের আসবেন সকালে দশটায়। গোটা রাত অরক্ষিতই থাকেন রামমোহনের ভিটে। অসামাজিক কাজকর্মের অনন্ত সময় আর সুযোগ। যদিও এ সমস্ত কথাই অস্বীকার করেন জেলা পরিষদ।
যিনি আবার দলনেত্রীর নামে বার কয়েক প্রণামও ঠুকে নেন।
এই আনুগত্যটূকু যদি ইতিহাসের জন্য থাকত। অথবা এই শ্রদ্ধাবোধ যদি রাজা রামমোহনের জন্য থাকত তাহলে হেরিটেজ এলাকা কখনই সামান্য টুরিস্ট স্পট হয়ে থাকত না। সতীদাহ নিরসনের ভগীরথ বাংলার প্রথম আধুনিক মানুষটির জন্য আরও অনেক কিছু করার সুযোগ সম্ভাবনা ছিল।
কিন্তু অনুপ্ররণার বাংলায় সে সব হওয়ার নয়। রামমোহনের ভিটেতে একখানা রামমোহনের ছবির দেখা মেলে না।
Tags:
Madhyom
bangla news
Bengali news
negligence
west bengal govt negligence
restoration negligence
ramomohan's houses restoration
haritage negligency
raja rammohan house negligence
hooghly district negligence
raja ram mohan roy
raja ram mohan roy history
raja ram mohan roy in bangla
raja ram mohan roy house
raja rammohan roy
raja ram mohan
radha mohan
raja ram mohan roy home
raja ram mohan roy bari
raja ram mohan roy article
raja ram mohan roy in birstol
first modern man in india
first modern man in bengal
birstol restore rammohan's house
bangla cannot restore rammohan's house