রথে নগর পরিক্রমায় তারাপীঠের মা
রথযাত্রা হয় তারাপীঠেও। তবে তারাপীঠের রথে জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রা থাকেন না। থাকেন স্বয়ং তাঁরা মা।
পিতলের রথে নগর পরিক্রমায় বার হন তারাপীঠের অধিষ্ঠাত্রী। বছরে এই একদিনই প্রতিমা মন্দির থেকে বার হন। রথের দিন সকালে হয় বিশেষ পুজা। বাইরে যাওয়ার বিশেষ সাজ, অঙ্গরাগ। থাকে তিন ধরণের ফুলের মালা। জবা অপরাজিতার সঙ্গে থাকে রজনীগন্ধার মালা। প্রতিমাকে পরানো হয় নতুন বেনারসি। চিড়ে দই, পাঁচ মিষ্টি , পঞ্চ ফলের ভোগ খেয়ে প্রতিমা বার হন নগর পরিক্রমায়। ঘড়িতে তখন ঠিক বেলা তিনটে। রথ উপলক্ষেই তারা মাকে দেওয়া হয় বিশেষ জিলিপি ভোগ।
প্রথা মেনে মা তারাকে মূল প্রবেশ দ্বার থেকে উত্তরমুখে নিয়ে যাওয়া হয়। উত্তরমুখী রথে চেপে দ্বারকা সেতু সংলগ্ন রামপুরহাট-সাঁইথিয়া রাস্তা ধরে রথ তারাপীঠের তিন মাথা মোড় হয়ে এগিয়ে যায়। চক্রাকারে তারাপীঠ ঘুরে মা তারার রথ ফেরেন আবারও মন্দিরের মূল প্রবেশ দ্বারে।
প্রতিবছরের মতই এবারও তারাপীঠের রথযাত্রা উৎসব পালন করা হল। করোনার কারণে গত দু'বছর রথযাত্রা করা যায়নি। ফলে এবার ভক্তদের উসুল করে নেওয়ার বছর। উৎসাহ ধুমধামের সঙ্গে এবার পালিত হচ্ছে রথযাত্রা। খুশি ব্যবসায়ী থেকে ভক্তরাও। কয়েকদিন আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল এবারও রথ বন্ধ রাখার। পরে বদল হয় সিদ্ধান্ত। আবারও রথ নগর পরিক্রমা করবে বলে জানিয়েছে তারাপীঠ মন্দির কমিটি।
তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি জানিয়েছেন, সমস্ত রকম প্রস্তুতিই চলছে। গত দু'বছর রথ পরিক্রমা করেনি, তাই রথের চাকা থেকে রথের রশি। সবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তারাপীঠের রথযাত্রা দেখতেো বহু মানুষ আসেন। আসেন ভক্তরা। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিশ। রাজবেশে তারাপীঠের অধিষ্ঠাত্রী দেবীকে রথে বসার অবস্থায় দেখার বিরল অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকতে চান অনেকেই। আপনারাও দেখুন।