WhatsApp_Image_2023-05-30_at_2144.15
ক্রমশ কালীঘাটের পথেই কি এগোচ্ছে তদন্ত? মঙ্গলবারই কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ইডি দফতরে হাজিরা দিলেন।
ঢকার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন, জেরা পর্ব শেষ করে এসে তিনি কথা বলবেন।
এতটা আত্মবিশ্বাস কি করে পেলেন সুজয়?
এর আগে গত ২০ মে সুজয়ের বেহালার ফকিরপাড়া রোডের ফ্ল্যাট, বাড়ি, অফিস-সহ বহু জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি। তার আগে, গত ৪ মে সুজয়ের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল বলে সেদিন দাবি করেছিল সিবিআই। তারপরই বিশে মে ইডি তল্লাশি। শুধুমাত্র সুজয়কৃষ্ণের বেহালার বাড়ী ফ্ল্যাট আর নামে বেনামে রাখা সম্পত্তি ছাড়াও তল্লাশি চলে দক্ষিণ ২৪ পরগণার জেলা পরিষদের সদস্য জ্ঞানানন্দ সামন্তর বাড়ী কাজের জায়গা, সিভিক ভলেন্টিয়ার রাহুল বেরার বাড়ীতেও। ইডি সূত্র থেকে জানা গেছে, অন্তত তিনটি কোম্পানির সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ, মালিকানার সত্ত্বে নাম রয়েছে সুজয়কৃষ্ণের। যার একটি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বর্তমানে অভিষেকের অফিসেই কাজ করেন সুজয়কৃষ্ণ। ইডির দাবি, নামে বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক এই সুজয়কৃষ্ণ।
যে সুজয়কৃষ্ণ অভিষেককে তাঁর বস বলে দাবি করেন সাংবাদিকদের সামনে। আর অভিষেক যখন সাড়ে ন'ঘণ্টা সিবিয়াই জেরা শেষে, সুজয় কৃষ্ণ সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছিলেন, যা বলার সিবি আই কে জানিয়ে এসেছি। আপনি সিবিআই অফিসার হলে আপনাকেও বলতাম।
সকাল এগারোটায় শুরু হয়েছে জেরা। মূলত যে বিষয়গুলো জানতে চাওয়া হচ্ছে, তা হল
এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক কি করে হলেন সুজয়কৃষ্ণ?
সুজয় এক সময় অভিষেকের অফিসে কাজ করতেন। ‘কাকু’র সঙ্গে সংযোগ রয়েছে এমন ৩টি সংস্থাতেও তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। সেই সংস্থার মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করা হয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই ৩টি সংস্থার মধ্যে একটি সংস্থা বিশেষ করে নজরে রয়েছে তদন্তকারীদের। সেই সংস্থা ‘কালীঘাটের কাকু’ নিয়ন্ত্রণ করতেন বলে তদন্তকারীদের ধারণা। ওই সংস্থাগুলির ডিরেক্টর এবং অ্যাকাউন্টট্যান্টদের তলব করা হয় আগেই। এর পরেই মঙ্গলবার তলব করা হয় সুজয়কে। নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিয়ন্ত্রণে থাকা সংস্থার কাছ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা মূল্যের জমিতে বিনিয়োগ করেছিলেন কাকু, এমনটাই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। এ ছাড়াও নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে উঠে আসা বেশ কিছু তথ্য নিয়ে সুজয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে ইডি সূত্রে খবর।
অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কুন্তল বলতেন,
‘‘কালীঘাটের কাকুর সঙ্গে কথা হয়ে গিয়েছে। চিন্তার কোনও কারণ নেই।’’
ইডি সূত্রে খবর, পরে গোপাল আর তাপসকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, কুন্তলের ওই ‘কালীঘাটের কাকু’ রাজ্যের এক প্রভাবশালী শীর্ষ নেতার সংস্থার চিফ এগ্জ়িকিউটিভ অফিসার (সিইও)। তার পর থেকেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আতশকাচের তলায় সুজয়। যদিও কুন্তল পরে দাবি করে, তিনি ওই ‘কাকু’কে চেনেন না।
Tags:
CBI investigation
cbi
Madhyom
bangla news
ED
Bengali news
Recruitment scam
recruitment scam news
west bengal recruitment scam
recruitment scam latest news
Kalighat
recruitment scam latest update
kalighater kaku
recruitment scam latest
recxruitment scam
sujoykrishna bhadra
recruitment scam news today
cbi investigations
investigations
proceedings
proceedings in the way
way
kalighat kolkata
kalighat er kaku
way to kalighat
kolkata kalighat