ধেড়ে ইঁদুরে চাকরি খেলো, বুলবুলিতে ধান
মাঠে ফসল পাকলে, ধেড়ে ইঁদুরের উৎপাত বাড়ে।
শাসনের ক্ষমতা হাতে এলেও কি এমন হয়?
২০১১ সালে শাসন ক্ষমতার হাত বদল হয় রাজ্যে। ২০১২ সালে নতুন সরকারের হাতে প্রথম এসএসসি পরীক্ষা। তারপর আরও তিনবার হয়েছে এসএসসি। আর পাওয়ারের মধু খেতে মাঠে নেমে পড়েছিল ধেড়ে ইদুরেরা।
তারই ফলশ্রুতিতে রাজ্যে কোণায় কোণায় গজিয়ে উঠেছিল স্কুল নিয়োগ বেচার সিন্ডিকেট। দশ বারো পনেরো বিশ লাখে বিক্রি হচ্ছিল হচ্ছিল শিক্ষকের চাকরি। গত ১০ বছর ধরে। ২০২২-এ আদালতের একের পর এক রায়ে নিয়োগ দুর্নীতির চেহারা ক্রমশ উলংগ হয়েছে।
ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী, এসএসসির চেয়ারম্যান, এসএসসির পরামর্শদাতা, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি, মাধ্যমিক শিক্ষক পর্ষদের চেয়ারম্যান। তাঁদের সাহায্যকারী শিক্ষা ব্যবসায়ীরা। এমনকি গুরুত্বপূর্ণ কিছু লিঙ্কম্যানেরা। এখনও জেলায় জেলায় গা ঢাকা দিয়ে বসে আছেন আরও অনেকে। আর পর্দার আড়ালে রয়েছে বেশ কিছু নাম।
অবশেষে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর আংশিক জয়। স্কুল সার্ভিস কমিশন মেনে নিল জোচ্চুরি হয়েছিল। যোগ্যদের বঞ্চিত করে অযোগ্য আর দুর্নীতিগ্রস্থদের নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছিল। এসএসসি তার নিজস্ব ওয়েবসাইটে টাঙ্গিয়ে দিয়েছে তালিকা। ১৮৩ জনের। যদিও এই তালিকা ২০১৬ সালের মাত্র। গত বৃহষ্পতিবারের আদালতের ধমকের পর বলা ভাল বাধ্য হয়েছে কমিশন।
এই তালিকায় রয়েছেন
গ্রাফিক্সঃ
বাংলার ২১ জন, ৫৭ জন ইংরাজির, ভুগোলের ৩০ জন, ১৭ জন ইতিহাসের, ২২ জন জীবনবিজ্ঞানের, ১৮ জন অঙ্কের, ১৮ জন ভৌত বিজ্ঞানের
গ্রাফিক্সঃ
আর এই সমস্ত কারচুপি হয়েছে ওএমআর শিট কারচুপি করে। যে পেয়েছিলেন ৫ তিনি হয়েছেন ৫৩। এরপরই বিচারপতির অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য
গ্রাফিক্সঃ
'আরও ধেড়ে ইঁদুর এবার সামনে আসবে। তদন্তে নিশ্চিত এই ধেড়ে ইঁদুররা ধরা পড়বে এবার।'
অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়, বিচারপতি
গ্রাফিক্সঃ
আদালতে যদিও এসএসসির দাবি বেনিয়ম আসলে ১৮৩ র মাত্র। কিন্তু আদালত বলছে সংখ্যাটা এসএসসির দাবির ৫ গুণেরও বেশি। আসলে ৯৫২।
কারণ অঙ্কটা পরিষ্কার। আদালতে এসএসসির হলফনামা মেনে সংখ্যাটা ১৮৩ হলেও, প্রতি নিয়োগে বিশ লাখ ধরলেও সংখ্যাটা সাড়ে ছত্রিশ কোটি ছাড়িয়ে যায়। ৩৬,৬০,০০,০০০ কোটি আর সংখ্যাটা আদালতের দাবিমত ৯৫২ হলে সংখ্যাটা দাঁড়ায় ১৯০কোটি (১৯০,৪০,০০,০০০ কোটি)
৩রা ডিসেম্বরই মামলাকারী, সিবিয়াই আর কমিশনের বৈঠক হওয়ার কথা। আদালতের নির্দেশেই। গাজিয়াবাদ ও কমিশনের দফতর থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া হার্ডডিস্কের নমুনা পরীক্ষা করে রিপোর্ট জমা দেবে সিবিআই। আরও অনেক মুখ সামনে আসবে। বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের কড়া নির্দেশ প্রয়োজনে মানিক ভট্টাচার্য, সুবিরেশ ভট্টাচার্যকে রাজ্যের বাইরে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসা করুক। বাইরে আসুক ধেড়ে ইন্দুররা।
কারণ রাজ্যের খোকাখুকুরা ঘুমিয়ে থাকলে, এখন আর বুলবুলি নয় ধেড়ে ইন্দুরেই সাফ করে দেবে ফসল।
আসলে কোন ধেড়ে ইঁদুরের খোঁজ করছে আদালত জানেন নাকি আপনারা?
Tags:
SSC recruitment scam
Madhyom
bangla news
Bengali news
Recruitment
SSC Recruitment
Teacher Recruitment scam
Recruitment scam
bengal teacher recruitment scam
teacher recruitment scam in west bengal
Bengal Recruitment scam
recruitment scam in west bengal
school recruitment scam
teacher recruitment in west bengal
TET Recruitment Scam
ssc recruitment scam case
TET Recruitment
d.el.ed recruitment scam
rats
find rat in rice field
rice field rats
rats of the fields
rice field mouse
eating rice field rat
field rat
field
rice field
rice field mouse rat
stolen jobs
stolen teaching jobs
bulbul
field rats
field rats ate
ate up jobs
stolen
bulbul crams
bulbul crams up grain
grain
grains