WhatsApp_Image_2023-02-27_at_2016.30
কলেজ আছে। কলেজের বাড়ি নেই। অফিসঘর নেই। ক্লাসরুম নেই। মাস্টারমশাইও নেই। আসলে কলেজটাই নেই। কিন্তু কলেজটা আছে। খাতায় কলমে।
পুরোটাই ভার্চ্যুয়াল। বাস্তবে তার কোন অস্তিত্ব নেই। অথচ ঐ কলেজে বছর বছর ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয়েছেন। বছর বছর ছাত্রছাত্রী পাশ করেছেন। ডিগ্রি পেয়েছেন। আর সেই সব ডিগ্রি দেখিয়ে চাকরিও পেয়েছেন। এক আধটা নয়, এমন প্রায় দু'হাজারের বেশি কলেজ আছে রাজ্যে।
রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে, ইডি আধিকারিকরা খুঁজে পেয়েছেন, দু'হাজারেরও বেশি এমনই বেসরকারি ডিএল এড ও বিএড কলেজের হদিশ। ইডি-র দাবি, ঐ সব ভুয়ো কলেজের ভুয়ো ডিগ্রি প্রদানের প্রামাণ্য নথিও আছে তাঁদের কাছে।
কিভাবে অনুমোদন পেত ঐ সব কলেজ? নিয়ম অনুযায়ী, বিএড কলেজ চালু করতে, প্রাথমিক বা মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং কোন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাড়পত্রের প্রয়োজন হয়।
----বিএড কলেজের অনুমোদন
এনওসি লাগবে প্রাথমিক বা মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের
লাগবে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাড়পত্রের
সেই ছাড়পত্র তখনই দেওয়া হত, ঐ কলেজের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখে। কি ধরণের পরিকাঠামোর দরকার?
----বিএড কলেজের পরিকাঠামো
কলেজ বাড়ি, ক্লাস রুম, ব্ল্যাক বোর্ড, হোয়াইট বোর্ড, লাইব্রেরি
অফিস ঘর, পরীক্ষার ব্যবস্থা,
শিক্ষক শিক্ষণের উপযুক্ত শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগ
এই সব কিছুই না থেকেও বেশিরভাগ কলেজ ছিল। বাস্তবে নয়। সবটাই হয় কাগজে কলমে। নয়তো স্থানীয় কলেজের একটা বা দুটো ঘর ভাড়ায় দেখিয়ে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ছাড়পত্র মিলে যেত। কারণ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ ঘনিষ্ঠ মানিক ভট্টাচার্য ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের মাথা। ২০১২ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত। আর মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের মাথায় ছিলেন কল্যাণময় গাঙ্গুলি। ৩১ জুলাই, ২০১২ থেকে ২৬ জুন, ২০২২ পর্যন্ত। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের এনওসি? তার জন্য তো ভিসি প্রো ভিসি শিক্ষার অনুমোদন লাগবে! সেই কারণেই ইডি-র নজরে ২০১১-১২ থেকে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য ও সহ উপাচার্য শিক্ষা সহ অন্যান্য আধিকারিকদের দিকে।
---ইডির নজরে
২০১১-১২ থেকে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে
বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য ও সহ উপাচার্য শিক্ষা সহ অন্যান্য আধিকারিকদের দিকে
কারণ নিয়ম হল, এনওসি দেওয়ার আগে, সংশ্লিষ্ট কলেজের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় রিপোর্ট জমা দিতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে তার কোনটাই করা হয়নি বলে অভিযোগ।
ED'র আধিকারিকেরা তদন্তে নেমে জানতে পেরেছেন যে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যখন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। তখন রাজ্যে বেসরকারি DL.ED ও B.ED কলেজের সংখ্যা রাতারাতি তিন-চারগুণ বেড়ে যায়। ধৃত ছাত্রনেতা কুন্তল ঘোষ নিজে যেমন এই কারবার শুরু করেছিলেন, তেমনি বিএড কলেজ বানিয়েছিলেন আরেক শিক্ষা ব্যবসায়ী তাপস মণ্ডল। এই সব বেআইনি ভুয়ো কলেজের নিয়মানুগ করার টাকা জমা পড়ত মানিক ভট্টচার্যের ছেলে সৌভিকের দুই কোম্পানির অ্যাকাউণ্টে।
তদন্তে উদ্ধার হওয়া নথিপত্র থেকে ED'র আধিকারিকেরা নিশ্চিত হন, অস্তিত্বহীন এসব কলেজ থেকে DL.ED ও B.ED ডিগ্রি পেয়েছেন বহু অযোগ্য প্রার্থী। শুধু তাই নয়। এই কলেজগুলি দুর্নীতির অন্যতম আখড়া হয়ে উঠেছিল। টাকার বিনিময়ে ডিগ্রি বিক্রি করেছে তারা। প্রাথমিকভাবে কিছু বিএড ও ডিএলএড কলেজের তালিকা নিয়ে জেলায় জেলায় খোঁজখবর শুরু হয়। তা করতে গিয়ে কার্যত তদন্তকারীদের চোখ কপালে ওঠে। তাঁরা দেখেন, নথিতে উল্লিখিত ঠিকানায় কলেজ তো দূরের কথা, কোনও বিল্ডিংয়েরই অস্তিত্ব নেই। সংখ্যা মেলাতে গিয়ে চোখ কপালে তদন্তকারীদের। এক দুই করে ভুয়ো বিএড কলেজের সংখ্যা ছাড়ায় দু হাজারের বেশি।
ভুয়ো বিএড, ডিএলএড কলেজ
২০০০+
এই সব ভুয়ো কলেজে ছাত্রছাত্রী ভর্তিতে নেওয়া হত দুই আড়াই থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। কিছু ক্ষেত্রে অন্য কলেজের সঙ্গে যোগ সাজসে তাঁদের ক্লাসরুমে পঠন পাঠনের ব্যবস্থা করা হত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বলা হত বাড়িতে কোর্স মেটেরিয়াল পাঠিয়ে দেওয়া হবে, ছ'মাস অন্তর সেমিস্টারের সময় অ্যাটেন্ডেন্স নেওয়া হত। কখনও আবার পরীক্ষাও হত না ভুয়ো উত্তরপতে পাঠিয়ে দেওয়া হত বিশ্ববিদ্যালয়ে বা শিক্ষা পর্ষদে। সময়সীমা শেষে পাঠিয়ে দেওয়া হত রেজাল্ট আর পাশ সার্টিফিকেট।
ইডি সূত্রে জানা গেছে, এই ভুয়ো বিএড কলেজগুলো দক্ষিণবঙ্গের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে। ডিএলএড প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অধীনে। অনুমোদনের চিঠি জমা পড়ত মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দফতরে। তার নির্দেশেই ঢালাও অনুমোদন পেত ভুয়ো কলেজ। বিক্রি হত ভুয়ো ডিগ্রি। যেই ডিগ্রি নিয়ে অনেকেই এখন চাকরি করছেন শিক্ষক হিসেবে। এমনকি শিক্ষা দফতরেও নিয়োগ হয়েছে ভুয়ো ডিগ্রির চাকরি প্রার্থী।
Tags:
Mamata Banerjee
CM Mamata
CM Mamata Banerjee
Mamata
bangla news
Bengali news
Recruitment
Teacher Recruitment scam
recruitment scam in west bengal
mamta banerjee
College
recruitment scam news
recruitment scam update
madhyom
fake colleges
list of fake colleges
fake colleges in west bengal
fake b.ed dl.ed colleges
fake b.ed college
d.ed. college
fake degree
b ed college recruitment scam
recruitment case
list of fake bed college in west bengal
west bengal b.ed collage
b.ed college in west bengal
fake b.ed college in west bengal
private fake b.ed college in bengal
doctorate to mamata banerjee
mamata banerjee doctorate controversy
doctorate
degree to mamata banerjee
mamata banerjee aitc
mamata banerjee fake phd