এবার শান্তির সম্পদের হদিশ, হিমশৈলের চূড়া
SantiPrasad Sinha_
আবার যকের ধন!
বেআইনি সম্পত্তির দলিল খুঁজতে গিয়ে, বন্ধ ফ্ল্যাটে হদিশ মিলল আরও বড় সম্পদের।
সিবিআইয়ের দাবি, স্কুল সার্ভিসের কমিশনের উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান শান্তিপ্রসাদ সিনহা জেরায় অবশেষে মুখ খুলেছেন। জানিয়েছেন তাঁর একটি বেনামি ফ্ল্যাটের হদিশ। সার্ভে পার্কের সেই ফ্ল্যাটেই মঙ্গলবার রাতভর তল্লাশি চালায় সিবিআই। আর সেখানেই মিলল যকের ধনের সন্ধান।
একটি অ্যারিস্টোকেট সুটকেসে,থরে থরে নোট সাজানো। মূলত দুহাজার,পাঁচশ' টাকার নোটের বান্ডিল। এখনও বেশ কিছু বান্ডিলে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের কাগজ লাগানো। নগদ নোটে ৫০লক্ষের কিছু বেশি অর্থ উদ্ধার। মিলেছে দেড়কেজি সোনা। যার বাজার মূল্য আজকের তারিখে, প্রায় ৮৬লক্ষ ৬৪ হাজার ৭৫০টাকা!
অনেকে পার্থ বান্ধবী অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে ৫২কোটির ক্যাশের সঙ্গে তুলনা করছেন বটে। কিন্তু সেই তুলনায় যথেষ্ট কম টাকা উদ্ধার হয়েছে শান্তিপ্রসাদ সিনহার বেনামি ফ্ল্যাট থেকে। তবে সোনা সঞ্চয়ে পার্থ্র বান্ধবীকে টেক্কা দিয়েছেন, শান্তিপ্রসাদ।
বাইটঃ শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা
একসময় যোগেশচন্দ্র চৌধুরী আইন কলেজে পড়াতেন শান্তিপ্রসাদ। সেখানকার প্রাক্তন ছাত্রনেতা ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। পরে মানিক ভট্টচার্য যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজের প্রিন্সিপালও হন। একাধিক সূত্রের দাবি এই মানিক ভট্টাচার্যের সুপারিশেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান করা হয় শান্তিপ্রসাদকে।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শুরু থেকেই সিবিআইয়ের নজরে ছিলেন শান্তিপ্রসাদ। নিয়োগ দুর্নীতিতে প্রথম গ্রেফতারিও তার। ১০ অগাস্ট, ২০২২। শিক্ষক-সহকারি শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মচারি নিয়োগে একাধিক অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। সিবিআইয়ের এফআইআরে প্রথম নাম ছিল শান্তিপ্রসাদের। গত মার্চ ২০২২-এ মুর্শিদাবাদের ৬ অঙ্কের শিক্ষক নিয়োগের অনিময়ে শান্তিপ্রসাদের বয়ান রেকর্ড করে হাইকোর্ট। সেখানে তিনি জানান, শিক্ষামন্ত্রীর ওএসডি (OSD) পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই একটি ডকুমেন্ট দেখতে হয়েছিল।
নবম দশম শিক্ষক নিয়োগ মামলাতেও তাঁকে কাঠগড়ায় তোলে সিবিআই। প্যানেলে নাম না থাকা সত্ত্বেও চাকরির মামলা ছিল সেটি। ঐ শুনানিতেই এসএসসি-র প্রোগ্রাম অফিসার সমরজিত আচার্য জানিয়েছিলেন,
গ্রাফিক্সঃ
উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে শান্তিপ্রসাদের নির্দেশেই নবম দশম শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশপত্র দেওয়া হত।
গ্রাফিক্সঃ
যদিও সে কথা আদালতেই অস্বীকার করেন শান্তিপ্রসাদ। এবং বিচারকের ভর্তসনার মুখে পড়েন। আদালতে তাঁকে শুনতে হয়, নবম ও দশম শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তা হিমশৈলের চূড়ামাত্র।
পরে গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলাতেও শান্তিপ্রসাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। ঐ মামলাতেও আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত শুরু করে। শান্তিপ্রসাদ জেরা এড়াতে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেও অসফল হন। প্রশাগত ভাবে আইনি দক্ষতার কারণে বার বার সিবিআই-এর জেরায় তদন্তকে ভুল পথে চালনা করেছেন শান্তিপ্রসাদ সিনহা।
সিবিআইয়ের অভিযোগ, উপদেষ্টা কমিটির বাকি সদস্যদের সঙ্গে শান্তিপ্রসাদের বক্তব্যেরও মিল পাওয়া যাচ্ছিল না। গ্রেফতারের প্রায় ছমাস পর, অবশেষে বেআইনি ফ্ল্যাটের কথা স্বীকার করেন শান্তিপ্রসাদ সিনহা। সেই ফ্ল্যাটের দলিল খুঁজতেই সার্ভে পার্কের ফ্ল্যাটে তল্লাশি। সেখান থেকেই বেরিয়ে এল যকের ধন। তবে তা হিমশৈলের চুড়ামাত্র। জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বাইটঃ শুভেন্দু অধিকারী, বিরোধী দলনেতা
২০১২ সালে চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার ৬ বছর পর শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে নিয়ে আসা হয়, এসএসসির উপদেষ্টা কমিটিতে। মানিক ভট্টাচার্যের সুপারিশে, স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁকে উপদেষ্টা কমিটিতে নিয়ে আসতে বাধ্য হন। কারণ ততদিনে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরগরম বাংলা। শান্তিপ্রসাদকে জায়গা করে দিতে এসএসসি অ্যাক্ট ১৯৯৭ সালের আইনেরও সংশোধনীও পাশ করা হয়। ২৬জুলাই ২০১৮ এসএসসি উপদেষ্টা কমিটির দায়িত্ব নেন তিনি। ফলে বোঝাই যাচ্ছে ক্ষমতার শীর্ষ অক্ষের সঙ্গে শান্তিপ্রসাদের যোগাযোগ অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। সেইকারণেই কি এতটা ক্ষমতাধর তিনি?
Tags:
bangla news
Bengali news
Recruitment
Recruitment scam
Madhyom
SP Sinha
recruitment scam news
west bengal ssc recruitment scam
recruitment scam update
recruitment scam news live
recruitment scam news update
recruitment scam latest news
recruitment scam latest update
sp sinha news
s p sinha
santi prasad sinha
santi prasad sinha news
sp sinha house cbi raid
sp sinha property seized'
s p sinha gold
s p sinha cash
sp sinha flat
sp sinha flat raid
santi prasad sinha ssc
ssc chairman sp sinha
treasure of sp sinha
tip of iceberg
huge unrecovered
ssc sp sinha