কাঁচা চিত্রনাট্য, নিয়োগ দুর্নীতি ঢাকতে বেপরোয়া তৃণমূল?
"অলীক কুনাট্য রঙ্গে, মজে লোক রাঢ়ে বঙ্গে, নিরখিয়া প্রাণে নাহি সয়..."
--- মাইকেল মধুসূদন দত্ত
নেহাতই কাঁচা চিত্রনাট্য। বোঝাই যাচ্ছে।
সকাল ১১টা৪২ মিনিটঃ তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের ট্যুইট
ট্যুইটে উল্লেখ করা হয়েছে চারটি নামঃ বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু আধিকারী, শমীক ভট্টাচার্য ও সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী।
সকাল ১২:০৫। আদালতে পেশ করা হল শিক্ষা দুর্নীতির মাস্টার মাইণ্ড রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।
এখানেও সেই তিনটি নাম। সাল উল্লেখ করলেন ২০০৯-২০১০। তখনও পার্থ চট্টোপাধ্যায় মন্ত্রী হননি। বিরোধী দলনেতা মাত্র। তাঁর কাছে চাকরির অনুমোদন নিয়ে যাচ্ছেন দিলীপ ঘোষ। যার সঙ্গে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম পরিচয় ২০১৬ সালে।
সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী তখনকার সরকারের বিধায়ক তিনি যাচ্ছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কাছে চাকরি করে দেওয়ার অনুমোদন নিয়ে! ভাবা যায়
আজকের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তখন তৃণমূলের সাংসদ ও যুবা তৃণমূলের সভাপতি। ক্ষমতার অঙ্কে রাজ্যের সেই সময়ের বিরোধী দলনেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের থেকে কয়েক যোজন এগিয়ে। তিনি নাকি চাকরি করে দেওয়ার সুপারিশ নিয়ে গেছিলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে।
২০০৯-২০১০
ভাইপো নেতার তখনও উত্থান হয়নি। যাকে ধরে পরে শিল্পমন্ত্রী থেকে শিক্ষামন্ত্রী হবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এবং গোটা রাজ্য জুড়ে গড়ে তুলবেন দুর্নীতির পিরামিড। যার শীর্ষে রাখবেন সেই ভাইপোকে। কারণ ভাইপো হাতে থাকলেই পিসিও পাশে থাকবেন। তুমুল লুঠ চলবে শিক্ষার নিয়োগে। তার পথ ধরে প্রায় সমস্ত নিয়োগে লক্ষ লক্ষ টাকার রেটকার্ড তৈরি করা হবে রাজ্য জুড়ে।
যোগ্যরা রাস্তায় আর অযোগ্যরা স্কুলে ছাত্র পড়াবে। আর অপরাধীরা গোটা শিক্ষা দফতর। পার্থ সুহৃদ মানিক তাপস সুবিরেশ ছাড়াও ভাইপো ঘনিষ্ঠ কুন্তল গোপাল শান্তনুরাও ক্রমশ বেড়েছে। এই সাত ছাড়াও আরও পাঁচ এজেন্ট এখন আদালতের নির্দেশে হওয়া তদন্তে চোর লুঠেরা বলে জেলখানায়।
বাংলা ভাষায় প্রথম সফল নাটক শর্মিষ্ঠা লিখেছিলেন মাইকেল মধুসুদন দত্ত। সেটা ১৮৫৯ সাল। তাঁর শর্মিষ্ঠা নাটকের প্রস্তাবনায় মধুসূদন লেখেনঃ
"অলীক কুনাট্য রঙ্গে, মজে লোক রাঢ়ে বঙ্গে, নিরখিয়া প্রাণে নাহি সয়..."
১৬৪ বছর পরেও বাংলায় এখন সেই কুনাট্য রঙ্গ চলছে। তবে স্ক্রিপ্ট অতি খাজা। নইলে মুখপাত্রের ট্যুইটের তেইশ মিনিটের মধ্যে মুখ খোলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়? পুলিশের সহযোগিতায়, আদালতে ঢোকার আগেই দাঁড়িয়ে সাজানো প্রেস কনফারেন্স করেন?
তবে পার্থ সাজানো স্ক্রিপ্টে যথাযথ অভিনয় করলেও ডায়ালগ গুলিয়ে ফেলেছেন। আর সাজানো নাটক এক্সপোজড!
তবে আদালতে ঢোকা আর বেরনোর সময়ে পার্থকে শুনতে হয়েছে সেই চোরধ্বনিঃ
এরা কোন দলের নয়। সাজানো কুশিলবও নয় তৃণমূলের। এনারা সাধারণ বাংলার মানুষ। আর এটাই বাংলার মানুষের রাগের বক্তব্যঃ
Tags:
SSC recruitment scam
Madhyom
tmc
bangla news
Bengali news
Recruitment
Corruption
Recruitment scam
recruitment scam news
west bengal recruitment scam
recruitment scam update
recruitment scam news update
recruitment scam latest news
recruitment scam latest update
municipality recruitment scam
kmc recruitment scam
screenplay
raw screenplay
raw screenplays
screenplay raw
political screenplay
scam screenplay
screenplay on recruitment scam
cover up
cover up corruption
corruption cover up
tmc cover ups
corruption coverup
tmc cover up corruption
desperate tmc
tmc desperate