img

Follow us on

Friday, Nov 22, 2024

Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি শুরু তাঁর আমলেই, চুপ কেন ব্রাত্য?

নিয়োগ দুর্নীতি শুরু তাঁর আমলেই, চুপ কেন ব্রাত্য?

  2022-10-14 20:46:09

চুপ কেন ব্রাত্য? মানিক গ্রেফতারের পর চারদিন কেটে গেলেও। কোন বক্তব্য নেই রাজ্যের বর্তমান শিক্ষামন্ত্রীর। টেট নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের বিতারিত সভাপতি ও তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য গ্রেফতার হয়েছেন সোমবার মধ্যরাতে। চুরাশি ঘণ্টা কেটে গেলেও কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি বর্তমান শিক্ষামন্ত্রীর। অথচ প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী গ্রেফতারের পর তৃণমূলের তিন মুখপত্রের যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে ব্রাত্য বসু জানিয়েছিলেন,

"সবাই চোর নয় তৃণমূলে"

৮৪ ঘণ্টা কেটে গেল। মুখ খোলেননি বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী। অথচ মানিক ভট্টাচার্য প্রাইমারি শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান থাকাকালিন যে ৩ বার এসএসসি টেট পরীক্ষা ও নিয়োগ হয়েছিল। তাঁর প্রথমটা হয়েছিল ব্রাত্য বসু শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালিন।

৩১ মার্চ, ২০১৩  --- তৃণমূল আমলে প্রথম টেট পরীক্ষা 

গোটা রাজ্য জুড়ে পরীক্ষা ঘিরে ব্যাপক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। অপ্রস্তুত পরীক্ষা সেন্টার। আডমিট কার্ড না পৌছানো। রামের সেন্টারর রহিমের রোল নম্বর। বেশিরভাগ ছাত্র ছাত্রী সেন্টারে পৌছতে পারেননি। গাড়ি সরকারি বেসরকারি বাস অপ্রতুল ছিল রাস্তায়। অটো-টোটো ট্যাক্সি ৪০৭-এ করে পরীক্ষাপ্রার্থীরা পৌছানোর চেষ্টা করছিলেন পরীক্ষা হলে। গোটা রাজ্য জুড়ে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খল অবস্থায় পরীক্ষা নয়। একজন পরীক্ষার্থী মারা যান। জয়নগরের রীতা দাস। একাধিক দুর্ঘটনা ঘটে। 
সারাদিনের বিশৃঙ্খলার শেষে সন্ধ্যায় অবশ্য শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছিলেন। "কারো কোন রকম অসুবিধা ছাড়াই তৃণমূল আমলে প্রথম টেট পরীক্ষা শান্তিপূর্ণ। ৪৫ লক্ষ ছাত্রছাত্রী উপস্থিত ছিলেন পরীক্ষা হলে।"

২৭ নভেম্বর, ২০১৩ ---টেট ফলপ্রকাশ 

শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছিলেন, ১৭লক্ষ ছেলে মেয়ে পরীক্ষা দিয়েছেন। তার মধ্যে পাশ করেছেন মাত্র ১৮৩০০জন। শতাংশের হারে ১.০৪ শতাংশ। তখনও প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য। 
প্রশ্ন উঠেছিল, 

পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৫ লাখ থেকে ১৭ লাখে কী ভাবে নেমে গেল?
সফল পরীক্ষার্থী কি করে মাত্র ১৮৩০০ হয়?
তাহলে কি ১৮৩০০ পদের জন্য পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল?
সফল পরীক্ষার্থীর মধ্যে ট্রেইন্ড পরীক্ষার্থীর সাফল্যের হার মাত্র ৫% হয় কি করে?

২০ মে ২০১১ থেকে ২০মে ২০১৪ ব্রাত্যর শিক্ষা মন্ত্রীত্বকাল। এই সময়েই চাকরি পেয়েছিলেন অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল, পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী। জানা যায় দক্ষিণ ২৪ পরগণার এক ক্ষমতাশালী অঞ্চল সভাপতি নিজের স্ত্রী ও মেয়ের চাকরি না হওয়ায় ক্ষোভ জানায় মুখ্যমন্ত্রীকে। এরপরই ব্রাত্য বিদায়। দায়িত্ব নেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যিনি আপাতত জেলে।

দ্বিতীয় টেট পরীক্ষার নোটিফিকেশন হয়েছিল ২০১৪ সালে। পরীক্ষা হয় ২০১৫ সালে। ফলপ্রকাশ হয় ২০১৬ সালে। নিয়োগ শুরু হয় ২০১৭ সালে চলেছিল ২০১৮ সাল পর্যন্ত। এই সময় শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য। এই সময়েই অভিনব নিয়োগ বিধি চালু হয়। হোয়াটসয়াপে চলে যাচ্ছিল নিয়োগপত্র।

২০২০ সালে নোটিফিকেশন। ২০২১-র মার্চে হয় তৃতীয় এসএসসি পরীক্ষা। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তখনও প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য। দুজনেই এখন জেলে। একজন সিবিআই। অন্য জন ইডির জেরায় জেরবার। ২০২২ এর মার্চে শুরু হয় নিয়োগ। ততদিনে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে দফায় দফায় মামলা হচ্ছে। আন্দোলনকারীরা রাস্তায় অবস্থানে বসতে গিয়ে মার খাচ্ছেন নিত্যদিন।
পড়ে জুন থেকে সেপ্টেম্বর ফের শুরু হয় নিয়োগ।  প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য। শিক্ষামন্ত্রী সেই ব্রাত্য বসু।

প্রশ্ন হল চুরাশি দিন কাটলেও এখনও মুখ খোলেননি ব্রাত্য

নিয়োগ দুর্নীতির শুরু তাঁর আমলেই, চুপ কেন ব্রাত্য?

Tags:

SSC recruitment scam

Bratya Basu

Madhyom

bangla news

Bengali news

Recruitment

Teacher Recruitment

Teacher Recruitment scam

Recruitment scam

bengal teacher recruitment scam

teacher recruitment scam in west bengal

Bengal Recruitment scam

recruitment scam in west bengal

school recruitment scam

teacher recruitment in west bengal

ssc teacher recruitment scam

Education minister bratya basu

Bangla khabor

bratya basu news

bratya basu latest news

bratya basu news update

bartya basu

latest news of bratya basu

brartya basu

bratya basu meeting

ssc bratya basu news

bratya basu news live

bratya

psi recruitment

primary teacher recruitment scam

bengal teachers recruitment scam case

west bengal school teachers recruitment scam

silence of bratya basu

silence of education minister

silent bratya

silent education minister


আরও খবর


ছবিতে খবর