"ঢাকি সমেত বিসর্জন দিয়ে দেব" কেন বললেন বিচারপতি?
কথায় বলে চোরেদের নাকি ঢাক বাজাতে নেই। পুরানো লোকেদের কথায় গূঢ় অর্থ থাকে। আসলে, ঢাক বাজিয়ে লোক জানাজানি করে চোরে চুরি করতে যায় না। ধরা পড়ার আশঙ্কা থাকে। এই রাজ্যে সে সবের বালাই নেই। ২০১১ সাল থেকে ১০০ শতাংশ কাজ হয়ে যাওয়া রাজ্যে। চুরিটাই একমাত্র কাজ ছিল। তৃণমূল শাসনের ১১বছর বাদে এটাই উপলব্ধি বাংলার মানুষের।
(মিছিলের স্লোগান---ওয়ান-টু-থ্রি-ফোর তৃণমূলের সবাই চোর)
ভিও-২
কলকাতা হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায় যখন মন্তব্য করেন, আমি ঢাকি সমেত বিসর্জন দিয়ে দেব,
তখন বুকের মাঝে বিসর্জনের বাজনা বাজে। বিসর্জনের কার্নিভালের মত। ২০১৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য টেট পরীক্ষার নেওয়া হয়েছিল। তাঁর ফলাফলের ভিত্তিতে গড়া হয়েছিল সফল বা উত্তীর্ণ শিক্ষকদের প্যানেল। সেটা ২০১৬ সাল। সেই ২০১৬ সালের প্যানেলে বিপজ্জনক প্রবণতা ধরা পড়েছে কমিশনের তরফে। ওএমআর শিটের জালিয়াতির কথা ওয়েবসাইটে টাঙিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে কমিশন।
আদালতে এসএসসি জাতিয়াতির মাত্রা কমিয়ে দেখিয়ে দাবি করে আসলে বেনিয়ম মত্র ১৮৩ জনের ক্ষেত্রে। কিন্তু আদালতের দাবি আসল সংখ্যা আরও বেশি। এসএসসির দাবির ৫ গুণেরও বেশি। বেনিয়ম ৯৫২ জনের ক্ষেত্রে।
গত ৫ই ডিসেম্বর, নিয়োগ সংক্রান্ত অন্য একটি মামলায় কলকাতা হাইকোটে সিবিআই সিটের নতুন প্রধান অশ্বীন সিংভির দাবি, এখনও পর্যন্ত সিবিআইয়ের তদন্তে উঠে আসা তথ্য অনুযায়ী,
মূল প্যানেল থেকে ওয়েটিং লিস্ট সর্বত্র দুর্নীতি হয়েছে।
অযোগ্য দুর্নীতিগ্রস্থরা বহালতবিয়তে চাকরি করছেন। মাস মাইনে নিচ্ছেন সরকারের ঘর থেকে। আর স্কুলে ছোট ছোট ছাত্রছাত্রীদের ভুল শেখাচ্ছেন। আর অন্যদিকে, যোগ্য প্রার্থীরা বঞ্চিত হয়েছে। রাস্তায় বসে ফলাফলের আশা করছেন। আদালতই বলছেন, পরীক্ষা সফল যোগ্য প্রার্থীরা সিবিআই কি করল, কমিশন কি করল জানতে চায় না। তারা চান তাঁদের ন্যায্য নিয়োগপত্র।
এরপরই ৬ই ডিসেম্বর ২০১৬ সালের নিয়োগ মামলা নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ২০১৬ সালের প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের সাড়ে ৪২হাজারের গোটা প্যানেল বাতিল করে দিতে পারে আদালত।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আপাতত দিল্লিতে। জি-২০ বৈঠকের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করতে। প্রথমদিন সকালে আজমির শরীফ দরগায় ঘুরেছেন। মাজারে চাদর চড়িয়েছেন। বিকেলে পুস্করে গেছেন। ব্রহ্মা মন্দিরে পুজো দিয়েছেন। প্রার্থনা-দোয়া আশীর্বাদ চেয়েছেন ঈশ্বরের কাছে। আর সুপ্রিম কোর্টে তাঁর রাজ্য সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে নিয়োগ দুর্নীতির চোরেদের বাঁচাতে মুকুল রোহতগি, কপিল সিব্বল মনু সিংভিদের মত দামি উকিলদের দাঁড় করান। সময় কেনেন দুর্নীতিগ্রস্থদের জন্য।
আর রাজ্যের আদালত বলছে বাতিল হতে পারে ২০১৬ সালের সাড়ে বিয়াল্লিশ হাজারের গোটা প্যানেল। ঢাকি সহ বিসর্জন দিয়ে দেব।
শুরুতেই বলেছিলাম না চোরেদের ঢাক বাজাতে নেই। এবার ঢাক না ঢাকি কাকে বাঁচাতে কাকে বিসর্জন দেওয়া হয় দেখা যাক
Tags:
SSC recruitment scam
Madhyom
bangla news
Bengali news
Recruitment
Teacher Recruitment scam
Recruitment scam
teacher recruitment scam in west bengal
Bengal Recruitment scam
recruitment scam in west bengal
school recruitment scam
teacher recruitment in west bengal
ssc teacher recruitment scam
TET Recruitment Scam
band master
band master will be immersed
band master immerse
immersion band master
immersed
immerse
immerse in infinity
festival bands
immerse band
band immersion
band master immersion
immersion band
band master immersion along with band