প্রাথমিকে কেন বাতিল ৩৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি?
প্রাথমিকে বাতিল ৩৬হাজার শিক্ষকের চাকরি
আগামী ৩মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে
চাকরি বাতিল হলেও ৪মাস কাজ করতে পারবেন স্কুলে
প্যারা টিচার হিসেবে বেতন পাবেন বাতিল শিক্ষকরা
গ্রাফিক্স
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ব্যাক ইন ফর্ম। বাংলার দুর্নীতির রাজনীতিকে ঠেকাতে ফের ঐতিহাসিক রায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। যে ৩৬ হাজারের চাকরি বাতিল হল তাঁরা সকলেই অপ্রশিক্ষিত। নিয়োগ না পেয়ে অপ্রশিক্ষিত প্রিয়াঙ্কা নস্কর সহ ১৪০ জন হাইকোটে মামলা করেন। তাঁদের দাবি ছিল আদালতের নির্দেশে নম্বর বিভাজনের তালিকায় তাঁদের থেকেও কম নম্বর পেয়ে অনেকে চাকরির সুপারিশপত্র পেয়েছেন। এরপরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, প্যানেল বাতিল করে ‘ঢাকি সমেত বিসর্জন’-এর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। সেটা গতবছর ডিসেম্বরের ৬ তারিখ।
২০১৬ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের মামলায় প্রাইমারি শিক্ষাসংসদের প্রকাশ কড়া তালিকায় সকলের নম্বর মিলিয়ে দেখার নির্দেশ দেন বিচারপতি। প্রায় ৩০ হাজারের চাকরি প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে যায়। সেদিন শাসক দলের পক্ষ থেকে বিচারপতি গাঙ্গুলির কড়া সমালোচনা করলেও বিচারপতির বকব্যকে সস্বাগত জানিয়েছিলেন রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি সহ, সমস্ত রাজনৈতিক দল।
আজকের রায়ের পর, বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন,
“স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এত বড় দুর্নীতি কোথাও হয়নি। এর পর তৃণমূলের সরকার চালানোর অধিকার নেই। আমরা বার বার চাকরি বিক্রির অভিযোগ করেছিলাম। আজ আদালতের রায় বুঝিয়ে দিল, আমাদের অভিযোগ ঠিক ছিল। আজকের দিনটা বাংলার জন্য লজ্জার।”
এই মামলার অন্যতম আইনজীবী তথা বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বলেন,
“প্রাথমিকের নিয়োগে কী বিপুল পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছিল, হাই কোর্টের রায়ই তার প্রমাণ।”
বিরোধী দলগুলির বক্তব্য, বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও রাজ্য সরকারের তরফে ওয়েবসাইটে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়নি।
রাজ্য প্রশাসনের উদ্দেশে বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদের কটাক্ষবাণ,
“রাজ্যে দুর্নীতির ভূমিকম্প হচ্ছে।”
“দুর্নীতিতে পশ্চিমবঙ্গ গিনেস বুকে নাম তুলবে।”
সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর জানান, “এতগুলো ছেলেপুলের চাকরি যাওয়ার দায় রাজ্য সরকারের। যাঁরা টাকার বিনিময়ে চাকরি দিয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকে গলায় গামছা দিয়ে টাকা আদায় করুন।”
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন, টেটপাশ করে আন্দোলনে বসে থাকা চাকরি প্রার্থীরা। তাঁদের দাবি অবিলম্বে আদালতের নির্দেশ মেনে, তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করুক রাজ্য সরকার।
Tags:
Madhyom
Teacher’s job
High Court
bangla news
Bengali news
Teacher Recruitment scam
job
teachers
Recruitment scam
high court order
TET Recruitment Scam
recruitment scam news
recruitment scam news update
recruitment scam latest news
primary teachers
primary
tet recruitment scam update
teacher job
primary teacher job cancelled
36 thousand teacher jobs
36 thousands job
primary school job
tet scam news today
cancel