বেপরোয়া বালি মাফিয়া, করণদীঘিতে মৃত এক পরিবারের ৩ শিশু
এখনও বালির পাহাড় নদীর ধারে।
এখনও বালির বুকে জেসবি আর ট্র্যাকটরের চাকার দাগ।
করণদীঘি থানার সুধানি নদীর ধারে আজও সক্রিয় বালি মাফিয়ারা।
বৃহষ্পতিবার সকালে এই বালি মাফিয়াদের দৌরাত্মে মৃত একই পরিবারের তিনশিশু।
দুর্ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার করণদীঘি থানার দোমোহনা গ্রাম পঞ্চায়েতের সুধানী নদীতে। মর্মান্তক দুর্ঘটনায় মৃত একই পরিবারের তিন শিশু। যাদের বয়স নয় থেকে চার। সম্পর্কে ভাই বোন।
বৃহষ্পতিবার বাড়ি থেকে কিছু দূরে সুধানি নদীতে স্নান করতে যায় তিন ভাই বোন ও প্রতিবেশির এক বাচ্চা। বড় দিদি ৯ বছরের রোজিনা খাতুনের কোলে ছিল ৪ বছরের ভাই রিজুয়ান। মেজ বোন তাসিনা খাতুনের বয়স ৭। সেই প্রথমে জলে নামে। গোড়ালি ডোবা জল কিভাবে আচমকাই ডুব জল হয়ে গেল বুঝতে পারেনি তাসিনা। বোনকে ডুবতে দেখে ছোট ভাইকে কোলে নিয়েই জলে নামে বড় দিদি রোজিনা। কেউ আর উঠে আসেনি। প্রতিবেশী বাচ্চাটি ছুটে খব্র দেয় ঘরে।
অগভীর সুধানি নদীতে কিভাবে ডুবে গেল তিনটি বাচ্চা তাই নিয়ে খোঁজখবর শুরু হতেই সামনে আসে বালি মাফিয়াদের কীর্তি। বালি মাফিয়াদের দাপট এমন গ্রামের কেউই মুখ খুলতে চাইছেন না। মুখে কুলুপ পরিবারের লোকজনেরও। যেন তাঁরাও মেনে নিয়েছেন ভবিতব্যকে।
মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে কার্যত ভয়ে কাঁপছে গোটা গ্রাম। এদিকে সংবাদমাধ্যম এলাকায় পৌছে ঘটনাস্থলের চিত্র তুলে ধরতেই করনদিঘি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছয়। তিনি ভাই বোনের দেহ উদ্ধার করে বিকেল বেলা পাঠানো হয়, রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য।
শুধু বেপরোয়া বালি মাফিয়ারা। ক্যামেরায় কেউ কিছু বলতে না চাইলেও, যেখান সেখান থেকে কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে যথেচ্ছ বালি সুতরাং কোথায় নদী গভীর কোথায় না অগভীর কেউই জানে না। অভিযোগ বালি চোরদের পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক নেতারা। তাঁরাই লুটে নিচ্ছে টাকা। প্রকৃতি আর শিশুদের প্রাণ।
Tags:
Madhyom
North Dinajpur
bangla news
Bengali news
Karandighi
sand mafia
Mafia
illegal sand mafia
west bengal sand mafia
sand mafia in karandighi
sand mafia news
north dinajpur sand mafia
sand mafia karandighi
uttar dinajpur sand mafia
bengal sand mafia
sudhani river
sudhani river sand mafia
river sand mafias
sand mafia north dinajpur
sand mafias
reckless mafia
reckless sand mafia
3 children died
3 children
3 children died of same family
reckless