শিক্ষক অপ্রতুল, বন্ধ হওয়ার মুখে স্কুল মুর্শিদাবাদে
Mur_SCHOOL NO TEACHER CONTRO_Koushik
কথা ছিল অন্তত প্রতি চল্লিশ জন ছাত্রছাত্রী পিছু একজন শিক্ষক থাকবেন। অথচ ক্লাসে ঘরে পঞ্চাশ ষাট জন ছাত্র ছাত্রী নিয়েও ক্লাস চালাচ্ছিলেন রাজ্যের শিক্ষকরা। এদিকে, গত এগার বছর রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ। কারণ নিয়োগ নিয়ে তৃণমূল নেতাদের দুর্নীতি। স্বজনপোষণ। দফায় দফায় আন্দোলন প্রতিশ্রুতি মামলা। সরকার অনড় তাঁদের অবস্থানে। পরীক্ষা সফলদের নিয়োগ হবে না। নিয়োগ হবে দলীয় সুপারিশে।
গত এগার বছরে, সময়ের নিয়মে অবসর নিয়েছেন একাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা। শূন্যস্থান পূরণ হয়নি। আবার গত ১১ বছরে নতুন নিয়োগও হয়নি। ফলশ্রুতি এবার শিক্ষকের অভাবে রাজ্যে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একের পর স্কুল। মুর্শিদাবাদের বড়ঞাঁ ব্লকের চৌতপুর জুনিয়র হাইস্কুলের অবস্থা প্রায় সেই রকমই।
যদিও স্থানীয় বিধায়কের দাবি বিরোধীদের চক্রান্তেই শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে না। তবে তিনিও কথা বলবেন শিক্ষা দফতরে। স্কুল চালু রাখার বিষয়ে।
ছাত্রছাত্রী সংখ্যা থেকে দুশো থেকে আড়াইশোর মধ্যে। কিন্তু শিক্ষকের সংখ্যা এক। অথচ শিক্ষক শিক্ষিকা থাকার কথা ন্যূনতম ৬ থেকে ৮ জন। আটখানা ক্লাস। সারাদিনে অন্তত আটজন শিক্ষক শিক্ষিকা লাগেই। বার বার চেয়েও সুরাহা হয়নি। ওই একজন শিক্ষককেই মিড ডে মিলের হিসেব রাখতে হয়, রান্না করাতে হয়, খাবার বিতরণ করাতে হয়,ছাত্রছাত্রীদের পড়াতে হয়, পরীক্ষা নিতে হয়। খাতাও দেখতে হয়। ফলে বর্তমান শিক্ষক পালিয়ে বাঁচতে চাইছেন।
ছাড়তে রাজি নন গ্রমের লোকজন। তাঁদের দাবি সবেধন মাত্র একজন শিক্ষক তিনিও চলে গেলে স্কুলটাই বন্ধ হয়ে যাবে। ছেলেমেয়েগুলো পড়বে কোথায়? আগের শিক্ষকরাও চলে গেছেন প্রধান শিক্ষকও তাই। এখন উপায়?
এই আবেদন নিবেদন ছাড়া এখন কি বা করতে পারেন গ্রামের মানুষ?